জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
নখ ও শরীরের অবাঞ্ছিত লোম কাটার সর্বোচ্চ সময়সীমা হল ৪০ দিন। কোন ওজর ছাড়া ৪০ দিনের অতিরিক্ত সময় তা না কাটলে ব্যক্তি গোনাহগার হবে।
সপ্তাহ, পনের দিন সর্বোচ্চ ৪০ দিন হল এসব অবাঞ্ছিত লোম কাটার সর্বোচ্চ সময়সীমা।
ফুকাহায়ে কেরামগন শরীরের অবাঞ্ছিত লোম, নখ ইত্যাদি বিনা ওজরে চল্লিশ দিন পর কাটাকে মাকরূহ তাহরীমি বা গোনাহর কাজ বলেছে।
আনাস রাযি. বলেন,
وُقِّتَ لَنَا فِي قَصِّ الشَّارِبِ، وَتَقْلِيمِ الأَظْفَارِ، وَنَتْفِ الإِبِطِ، وَحَلْقِ الْعَانَةِ، أَنْ لاَ نَتْرُكَ أَكْثَرَ مِنْ أَرْبَعِينَ يَوْماً.
অর্থাৎ, গোঁফ ছোট রাখা , নখ কাঁটা, বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলা এবং নাভীর নিচের লোম চেঁছে ফেলার জন্যে আমাদেরকে সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল যেন, আমরা তা করতে চল্লিশ দিনের অধিক দেরী না করি। (মুসলিম ২৫৮)
★নখ বড় হওয়ার দরুন কোনো কারণে যদি নখের গোড়ায় পানি না পৌঁছে, তাহলে অজু শুদ্ধ হয় না।
(খুলাসাতুল ফাতাওয়া, খণ্ড: ০১, পৃষ্ঠা: ২২)
আবু ওয়াসিল বলেন, আমি আবু আইয়ুব (রা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলাম। মুসাফাহার সময় তিনি আমার নখ বড় দেখে বললেন, নবী (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ কেউ আসমানের খবর জিজ্ঞাসা করো, অথচ তার হাতের নখগুলো পাখির নখের মতো, যাতে ময়লা-আবর্জনা জমে থাকে! (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ২৩০১১)
★সামান্য বড় হলে এমনিতেই পানি পৌছে যায়।
তবে বেশি বড় হলে সাধারণত পানি পৌছেনা।
তাই সেদিকে লক্ষ্য রেখে পানি পৌছাতে হবে।
,
★ ১ সপ্তাহে যে পরিমান নখ বড় হয় তাতে নরমালি পানি পৌছে যায়, কোনো সমস্যা নেই।