জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
চাশতের ওয়াক্ত শুরু হয় সূর্য উদিত হওয়ার পর থেকে দ্বিপ্রহরের আগ পর্যন্ত।
তবে উত্তম হলো এক চতুর্থাংশ দিক অতিবাহিত হওয়ার পর চাশতের নামাজ পড়া।
,
চাশতের নামাজ কমপক্ষে ২ রাকাত,আর সর্বোচ্চ ১২ রাকাত পড়া মুস্তাহাব।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৩/১৩৮)
★সুতরাং চাশতের নামাজ সুন্নাত নয়,বরং এটি মুস্তাহাব।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن أنس بن مالک رضي اللّٰہ عنہ قال: قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم: من صلی الضحی ثنتي عشرۃ رکعۃ بنی اللّٰہ لہ قصراً في الجنۃ من ذہب۔ (سنن الترمذي، أبواب الوتر / باب ما جاء في صلاۃ الضحی ۱؍۱۰۸ رقم: ۴۷۱)
সারমর্মঃ রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন যে ব্যক্তি বারো রাকাত চাশতের নামাজ পড়বে,আল্লাহ তায়ালা জান্নাতে তার জন্য স্বর্ণের বিল্ডিং এর ব্যবস্থা করবেন।
وندب أربع فصاعداً في الضحیٰ من بعد الطلوع إلی الزوال ووقتہا المختار بعد ربع النہار۔ (درمختار، الصلاۃ / باب الوتر والنوافل / مطلب سنۃ الضحیٰ ۲؍۴۶۵ زکریا، ۲؍۴۰۴-۴۰۵ زکریا، صغیري ۲۰۱)
সারমর্মঃ চাশতের ওয়াক্ত শুরু হয় সূর্য উদিত হওয়ার পর থেকে দ্বিপ্রহরের আগ পর্যন্ত।
তবে উত্তম হলো দিনের এক চতুর্থাংশ দিক অতিবাহিত হওয়ার পর চাশতের নামাজ পড়া।
وابتدأ من ارتفاع الشمس إلی قبیل زوالہا۔ (مراقي الفلاح ۲۱۶)
চাশতের ওয়াক্ত শুরু হয় সূর্য উদিত হওয়ার পর থেকে দ্বিপ্রহরের আগ পর্যন্ত।
وندب أربع فصاعدا في الضحی من بعد الطلوع إلی الزوال، ووقتہا المختار بعد ربع النہار، وفي المنیۃ: أقلہا رکعتان وأکثرہا اثنتا عشرۃ، وأوسطہا ثمان وہو افضلہا۔ (شامي ۲؍۴۶۵ زکریا)
সারমর্মঃ চাশতের নামাজ কমপক্ষে ২ রাকাত,আর সর্বোচ্চ ১২ রাকাত পড়া মুস্তাহাব।
,
(০২)
★যোহরের আগে চার রাকাত নামাজ পড়া সুন্নাত।
রাসূলুল্লাহ ﷺ-পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামাজের পূর্বে ও পরে বার রাকাত সুন্নত নামাজ নিয়মিত আদায় করতেন, বিশেষ কোন কারণ ছাড়া তা ত্যাগ করতেন না। এই জন্য এই বার রাকাত সুন্নতকে সুন্নাতে মুআক্কাদা বলা হয়।
এই বার রাকাত সুন্নত সালাতের অনেক বড় ফযীলত রয়েছে।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ ثَابَرَ عَلَى اثْنَتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً بَنَى اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ، أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعِشَاءِ، وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ
আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি দিবা-রাত্র বার রাকাত (সুন্নাতে মুআক্কাদা) আদায়ে অভ্যস্ত হয়ে যায় আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানিয়ে রাখেন। চার রাকাত জোহরের ফরয নামাযের পূর্বে এবং দু’রাকাত জোহরের ফরয নামাজের পরে, দু’রাকাত মাগরিবের ফরয নামাজের পরে, দু’রাকআত ইশার ফরয নামাজের পরে এবং দু’রাকআত ফজরের ফরয নামাজের পূর্বে।
(সুনানে নাসায়ী ১৭৯৫)