বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
এক্ষেত্রে রোযা হবে,এতে কোনো সমস্যা নেই।
(০২)
শরীয়তের বিধান হলো সেজদায়ের আয়াত নিজে তিলাওয়াত করলে অথবা অন্যের তেলাওয়াত শুনলে সেজদাহ ওয়াজিব হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن ابن عمرؓ قال انما السجدۃ علی من سمعہا۔(المصنف لابن
ابي شیبہ ۳؍۳۹۰ رقم : ۴۲۵۲)
হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নিশ্চয়ই সেজদাহ ঐ ব্যাক্তির উপর ওয়াজিব হবে যে উহা শুনেছে।
والسجدة واجبة في هذه المواضع على التالي والسامع سواء قصد سماع القرآن أو لم يقصد، كذا في الهداية.
তেলাওয়াত কারী এবং শ্রবণকারী উভয়ের উপর তেলাওয়াতে সেজদা ওয়াজিব।চায় তারা শ্রবণের ইচ্ছা করুক বা না করুক।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩২)
মোবাইল বা অন্যত্রে রেকর্ড কৃত তিলাওয়াত শুনলে এতে সেজদাহর আয়াত শুনলেও সেজদাহ ওয়াজিব হবেনা।
,
বাদাইউয়ুস সানায়ে' গ্রন্থে আছেঃ-
البدائع الصنائع :
بخلاف السماع من الببغاء والصدى فإن ذلك ليس بتلاوة وكذا إذا سمع من المجنون ؛ لأن ذلك ليس بتلاوة صحيحة؛ لعدم أهليته لانعدام التمييز .
(کتاب الصلاۃ،فصل بیان من تجب علیہ سجدۃ التلاوۃ:2/266)
সারমর্মঃ সেজদার আয়াত তোতা পাখি,টিয়া পাখি থেকে,প্রতিধ্বনির মাধ্যমে শোনার দ্বারা সেজদাহ ওয়াজিব হয়না। অনুরুপ ভাবে পাগল থেকে সেজদার আয়াত শোনার দ্বারা সেজদাহ ওয়াজিব হয়না।
কেননা এটি সহীহ তিলাওয়াত নয়,পার্থক্যকরনের যোগ্যতা না থাকার কারনে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নেশগ্রস্থ ব্যাক্তির মস্তিস্ক এমন বিকৃত হয়ে যায় যে সে ভালো মন্দের মাঝে পার্থক্যকরন করতে না পারে,সেক্ষেত্রে উক্ত নেশাগ্রস্ত ব্যাক্তি থেকে কেউ সিজদার আয়াত শ্রবণ করলে তার উপর সিজদাহ আবশ্যক হবেনা।
(০৩)
এতে তার সেজদাহ আদায় হয়ে যাবে,আলাদা সেজদাহ দিতে হবেনা।
(০৪)
এক্ষেত্রে এর কোনো কাজা নেই।
সালাতে সেজদাহ আদায় না করার কারনে তার গুনাহ হবে।
(০৫)
যাকাতের খাত সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
যাকাত হল কেবল (১)ফকির, (২)মিসকীন, (৩)যাকাত উসূলকারী ও (৪)যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক (৫)এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে ও (৬)ঋণগ্রস্তদের জন্য, (৭)আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং(৮) মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান।আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।(সূরা আত-তাওবাহ-৬০)