আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
623 views
in ওয়াসওয়াসা by (7 points)
reopened by
আসসালামু আলাইকুম।
আমি একজন ওয়াসওয়াসা রুগী। আমার ইমদাদুল
হুজুরের নিকট প্রশ্ন আছে৷ আশা করি তিনি উত্তর দিবেন।
Note (* স্বামী  পান খায়। আমি পান খেতে নিষেধ
করায় বলছে পান আমি খাবোই। যার ইচ্ছে হয় থাকবে যার ইচ্ছে হয় চলে যাইবে।এটা স্বামী বলছে। এতে কি সারাজীবন এর জন্য তালাক গ্রহনের অধিকার পাাাও হইছে?       
প্রশ্ন ক) ** আর আমি শুনছি সে বলছে পান আমি খাবোই ভালো লাগলে থাকো না থাকলে যাও। এতে কি সারাজীবন এর জন্য তালাক গ্রহনের অধিকার পাওয়া
 হইছে?                
* তালাক  গ্রহনের  অধিকার  নিয়ে আলোচনা  চলছিল  তখন  স্বামী  বলছে  অধিকার দিলাম।
* অন্য একদিন  তালাক গ্রহনের অধিকার নিয়ে আলোচনা চলছিল তখন স্বামী বলছে তোমার  যা ইচ্ছে  করো।
*আমার  যতটুকু মনে পড়ে স্বামী  একদিন বলছে  তুমি যখন ইচ্ছে তখন তালাক গ্রহন করতে পারবে।
আর স্বামী  বলতেছে  আমি এটা বলি নায়। আমি
একেবারে শিওর  না  সে বলছে  কিনা।
* প্রশ্ন খ) আর কাবিননামায়ও তালাক গ্রহনের
অধিকার দিছে।)
 *** আমার মসজিদে বিয়ে হয়।  কাজি যখন
কাবিননামা   লিখেছে তখন  আমার স্বামী সেখানে ছিল না। পরে যখন আসছে কাজি তাকে ১৮ নং ছকের
অধিকারের  কথা জিজ্ঞেস করেনি। তাকে স্বাক্ষর
করতে বলায় সে শুধু স্বাক্ষর করেছে।
এখন প্রশ্ন আমার স্বামীকে না জানিয়ে কাজি বা অন্য কেউ যদি অধিকার লিখে দেয় তাহলে আমি অধিকার পাবো?
*শয়তান আমায় বুঝাইতেছে কাজি যেহুতু স্বামীকে কাবিন লেখার সময় কাছে পায় নি৷ তাই তাকে না জিজ্ঞেস করে অধিকার দিলেও পাওয়া হইছে।

 *** প্রশ্ন গ)  মুফতি লুৎফর রহমান ফরাজি বলছেন,
যদি  জীবনে একবার হলেও কাবিননামার ১৮ নংং ছক সম্পর্কে জানে। তাহলেই অধিকার পাওয়া হয়, আর জীবনে কখনো না জানে ১৮ নং ছকের কথা তাহলে অধিকার পাবেন না৷ ।এটাই মূল মাসালা।
আমার স্বামী বিয়ের আগে ১৮ নং ছকের অধিকারের
কথা জানতো।  তাহলে তার স্বাক্ষর করায় আমি কি
 অধিকার পাইছি?

প্রশ্ন ঘ) আমাকে একজন কাজি বলেছেন ১৮ নং ছকে নাকি সিল মারা হয়। এটা নাকি দস্তখত করার পরে মারে।
আমার কাবিননামায় যদি স্বামীর স্বাক্ষর আগে নিয়ে তারপর সিল মারে, তবে কি আমি তালাকের অধিকার পাবো?                                      
আমার যে বিষয়গুলোনিয়ে সম্যসা সেগুলো উল্লেখ
করছি। আশা করি উত্তর দিবেন।     
প্রশ্ন ১)  এক আলেমা আপুর  সাথে কথা বলতাম  তাকে একদিন বলছি,, 'তোমারে সেদিনকা আমি বলছিলাম  নিজ নফসের উপর তালাক দিলাম বা দিছি   এই
কথাটা।"

প্রশ্ন হলো উপরের ওই কথাগুলো লেখায়  আমার স্বামী   কি তালাক হবে  ?
প্রশ্ন ২) আমি বলছি " শয়তান আমাকে বুঝাইতেছ তুই যে বলছো সেদিন তোমারে বলছিলাম তাইলে  নিজ
 নফসের উপর তালাক দিলাম বা দিছি৷  
এখন  প্রশ্ন  উপরের কথাগুলো বলায় এবং  লেখায়
আমার স্বামী কি তালাক হবে?

২.১)
সেদিন যখন বলছি তখন তাইলে বলি নায়। কিন্ত পরে
যখন বলছি ওই একই কথা তার আগে তাইলে যুক্ত করে বলছি এরকম (*তাইলে  নিজ নফসের উপর তালাক দিলাম বা দিছি)

 
এখন প্রশ্ন হলো উপরের কথাগুলো  বলায় এবং লেখায় আমার স্বামী  তালাক হবে কি?
প্রশ্ন ৩)  "সেদিন তোমারে  এই কথাটা  বলছিলাম না যে, নিজ নফসের উপর তালাক দিলাম বা দিছি এই কথা সেদিন তোমারে আমি বলছিলাম অই আপুরে বলছি এইরকম"।
প্রশ্ন উপরের কথাগুলো লেখায় কি আমার স্বামী তালাক হবে?                        
প্রশ্ন ৪) এক মুফতিকে জিজ্ঞেস করছি-
" আমিঃ- মুফতি সাহেব  আমি  কাবিননামায়  অধিকার পাইছি এখন  বনিবনা না হওয়ার কারনে   যদি নিজ
 নফসের উপর তালাক দেই   তাহলে তালাক হবে?
মুফতিঃ কি বলছেন?
আমিঃ নিজ নফসের উপর তালাক দিলাম বা দিছি।( মুফতির কাছে মিথ্যে বলছি।এই কথাগুলো   এর আগে এভাবে স্পষ্টভাবে   কখনো বলি নায়।মুফতি জিজ্ঞেস  করার পর  কথাগুলো  প্রথমবারের মতো   ওইভাবে
 বলছি)
এখন প্রশ্ন মুফতির জিজ্ঞেস করায় উপরে যে আমি লিখেছি  ----
"আমিঃ নিজ নফসের উপর তালাক দিলাম বা দিছি।"
এই কথা বলার  কারনে এবং লেখার কারনে  আমার স্বামী কি তালাক হবে?

৫) আরেকজন মুফতিকে  জিজ্ঞেস করছি,  আমি   যদি নফসের উপর তালাক দেই তাহলে হবে?

মুফতিঃ কেমনে?  কি শব্দে

আমিঃ  নিজ নফসের উপর তালাক দিলাম বা দিছি
 এইটা বলে।

এখন প্রশ্ন আমি যে উপরে  লিখছি " নিজ নফসের
উপর তালাক  দিলাম বা দিছি   এইটা বলে"। এই লেখার কারনে আমার স্বামী কি তালাক হবে?   
প্রশ্ন ৬)  আমি অন্য এক মুফতিকে  বলছি আমি যদি নিজ নফসের উপর তালাক দেই তাহলে হবে?

মুফতিঃ আপনার ওই শব্দ বুঝতে হবে আগে।
আমিঃ আমি বলছি যে নিজ নফসের উপর তালাক দিলাম বা দিছি।
এখন প্রশ্ন আমি যে উপরে লিখেছি, " আমি বলছি নিজ নফসের উপর তালাক দিলাম বা দিছি " এইটা বলার কারণে এবং  লেখার কারনে আমার স্বামী কি তালাক
 হবে?  
প্রশ্ন ৭) একদিন আমি বলছিলাম নফসের উপর তালাকের কথা বলছি। এই কথা বলায় এবং লেখায়
 আমার স্বামী কি তালাক হবে?
প্রশ্ন ৮) একদিন আমি জোড়ে জোড়ে শব্দ করে বলছি  সেদিন তোমারে  বলছি নিজ নফসের উপর তালাক দিলাম বা দিছি এই কথাটা ।
প্রশ্ন উপরের কথাগুলো লেখায় এবং বলার কারণে
 আমার স্বামী কি তালাক হবে?

প্রশ্ন ৯)         যদি  কেউ মুফতিকে ফোনে  বলে   অন্য এক মেয়ে বলছে  নিজ নফসের উপর তালাক দিলাম বা দিছি।
( আসলে অন্যকোন মেয়ে ওই কথাগুলো  বলে নায় কখনো।  সে নিজেই বলেছে  উপরের কথাগুলো।নিজেকে অন্য মেয়ে হিসেবে উপস্থাপন করে কথাগুলো
  মুফতিকে  বলেছে৷)
তাহলে প্রশ্ন মুফতির কাছে অন্য মেয়ে  সেজে কথাগুলো  বলায় এবং লেখায় তার স্বামী  তালাক  হবে  কি?
প্রশ্ন ১০)  আমি যদি শব্দ করেই  নফসের উপর তালাক দিলাম এই লেখাটা  পড়ি তবে আমার স্বামী  তালাক হবে কিনা।
এখন প্রশ্ন উপরের কথাগুলো  বলায়  এবং  লেখায়
আমার স্বামী তালাক হবে কি?

প্রশ্ন ১১) আমি একদিন বলছি অই নাম্বারে ফোন দিলে স্বামীর সাথে সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে। তারপরে সেই নাম্বারে ফোন দিছি। এতে কি আমার স্বামী তালাক
হবে?
প্রশ্ন ১২)  একদিন মনে মনে বলছি অই নাম্বারে ফোন দিলে। কিন্ত জোরে জোরে বলছি  স্বামীর সাথে সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে। তারপরে ওই নাম্বারে ফোন দিছি। এই
 কথায় কি স্বামী তালাক হবে?

প্রশ্ন ১৩) একদিন বলছি আমার মেয়েকে কোলে নিলে তালাক হয়ে যাবে।(বলার নিয়ত ছিল না  মুখ থেকে বের হয়ে গেছিলো). ভবিষ্যতে মেয়েকে কোলে নিলে স্বামী কি তালাক হবে?

প্রশ্ন ১৪) স্বামী বলছে যদি কখনো তালাক হয় তাহলে এমনিতেই অটোমেটিক আলাদা হয়ে যাবো। এখন প্রশ্ন হলো যদি কখনো এক  তালাক হয় তাহলে এই কথায়
 অটোমেটিক আবার তালাক হবে?
by (7 points)
edited by
প্রশ্ন ১৫) যদি কেউ তালাক গ্রহনের অধিকার পায়। এবং   নিচের লেখাটা শব্দ করে পড়ে  ("আমি আমার নিজেকে তালাক প্রদান করিলাম")
তাহলে তার স্বামী তালাক হয়ে যাবে কি?   

প্রশ্ন ১৬) বিয়ের দেনমোহর আদায় না করে স্বামী স্ত্রী এক সাথে থাকলে পাপ হবে?

প্রশ্ন ১৭) পান খাওয়ার একটা বিষয় উল্লেখ করা হয় নি। পান খাওয়ার বিষয়ে স্বামী আপনাদের পেইজে একটা পোস্টে লিখছে  , 
"  পান আমি খাবোই,   যার ইচ্ছে  হয় থাকবে যার   ইচ্ছে হয় চলে যাবে। "        

অন্য এক পোস্টে লিখছে,   
আমি পান খাবোই এবং যে থাকতে চায় সে থাকবে, আর যে থাকতে না চায় সে যেন চলে যায়।"
 তার এই কথায় কি সারাজীবন এর জন্য তালাক গ্রহনের অধিকার পাওয়া হইছে?  
এখন সে আসলে ঠিক কোনটা বলছে তা  শিওর না।  

প্রশ্ন ১৮) স্বামী  যদি  এমন কথা বলে  যাতে স্ত্রীর তালাক গ্রহনের  অধিকার  পাওয়া  হয়।  কিন্ত তার তালাকের   গ্রহণের  অধিকার  দেওয়ার নিয়ত ছিল না। তাহলে কি স্ত্রী  তালাক গ্রহনের অধিকার পাবে?যেমনঃ ( তোমার  যা ইচ্ছে  করো।
যে থাকতে  চায়  থাকবে  আর  যে  থাকতে  চায়  না  সে যেন চলে যায়। 
ভালো  লাগলে  থাকো  না থাকলে  যাও। 
 যার ইচ্ছে  থাকবে  যার  ইচ্ছে  চলে যাইবে।) 
    
 প্রশ্ন ১৯) যদি আমার কথা বা লেখায় সত্যই তালাকে তাফয়ীজ হয়ে যায়।আর আমি কোন মুফতিকে এ বিষয়ে  জিজ্ঞেস না করে স্বামীর সাথে থাকি তাহলে আমার পাপ হবেনা?  
             
প্রশ্ন ২০) তালাকের আলোচনা চলছিল। তখন স্বামী রাগ করে বলছে  তোমার যা ইচ্ছে  করো। (তার তালাক দেওয়ার নিয়ত ছিল না) 
এখন প্রশ্ন  স্বামী  যে বলছে  যা ইচ্ছে করো এতে কি স্বামীর পক্ষ থেকে  কেনায়া  বা অন্যকোন  তালাক হবে?
 

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার সমস্ত প্রশ্ন পড়ে যা বুছেছি যে, আপনি ওয়াসওয়াসার রোগে আক্রান্ত আছেন।আর ওয়াসওয়াসার রোগীদের কোনো তালাক হয় না। প্রশ্নগুলোতে যা লিখা হয়েছে, এর মধ্যে কিছু প্রশ্ন এমন রয়েছে, যদি আপনি ওয়াসওয়াসার রোগী না হতেন, তাহলে কিছু প্রশ্নের দ্বারা তালাক হতো এবং কিছু দ্বারা তালাক হতো না। কিন্তু আপনি যেহেতু ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত, তাই আপনার বেলায় এদ্বারা কোনো তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (588,060 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 199 views
...