আসসালমুআলাইকুম হুজুর,
আমি খুবই ওয়াসওয়াসা ও মানসিক রুগী আমি মানসিক রোগের ওষধ খাচ্ছি , পুরনো কথা মনে পড়ে আর ভয় হয়। আজ থেকে ৫-৬ বছর আগে এখন আমার বয়স ২৪ আমি যখন পশ্চিমবঙ্গের একটা স্কুল এ পড়তাম । সেখানে যখন পড়তাম ছাত্র অবস্থায় শিক্ষক রা আমাদের কে বোঝাত
সকল ধর্ম কে সমান চোখে দেখবে, কোনো ধর্ম কে অসম্মান করবে না।
১. হুজুর আমি আল্লাহ কে বিশ্বাস করি এবং আমার নবী কে বিশ্বাস করি, বিষয় হচ্ছে। আমি মুখের কোথায় সকল ধর্ম কে সমান চোখে দেখতাম তার মানে এই না যে আমি সকল ধর্ম কে মানতাম বা বিশ্বাস করতাম। ইসলাম ধর্ম কেই আমি মানি ।
হুজুর সকল ধর্ম কে সমান চোখে দেখা এই যে কথা এটা তো আমার না জেনে না বুঝে হয়েছে , হয়ত মনে ভাবনা ছিল আল্লাহ ভগবান একই , সকল ধর্ম ই একজনই র ইবাদাত করে এমন ভাবনা ছিল। । আল্লাহ কসম আমি ধর্ম সম্পর্কে এত কিছু জানতাম না , অনেক বছর হয়ে গেল আখন মনে পড়েছে দিয়ে ভয় হচ্ছে ঈমান চলে গিয়েছে বলে আল্লাহ কসম আমি জানতাম না , জানতাম না যে ঈমান নষ্ট হয় অনেক কিছু তে হুজুর শেষ হয়ে যাচ্ছি । আল্লাহ কসম না জেনে ভুল হয়েছে । কিন্তু আমি আমর ইসলাম ধর্ম কেই মানতাম।আমি ইসলাম ছাড়া মরে জাবি । হুজুর সেখানে অনেক হিন্দু বন্ধু ছিল তাদের সাতে খেলতাম গল্পঃ করতাম , ঘুরে বেড়াতাম আর মাজে মাঝে যখন ধর্ম নিয়ে কথা হতো তখন হিন্দু বন্ধু দের বলতাম , তোরা ভগবান কে বিশ্বাস করিস , আমরা আল্লাহ কে বিশ্বাস করি। আমরা রোজা করি তোরা উপস করিস, আমরা নামাজ পড়ি তোরা পূজো করিস এই কথা গুলো এমনি সাধারণ ভেবে বলেছি আল্লাহ কসম সাধারণ ভেবে বলছি তখন ছোট ছিলাম বুদ্ধি ছিলনা । , । আমরা সবাই ভাই ভাই । মানে ধর্ম নিয়ে প্রতি হিংসা করতাম না
হুজুর না জেনে না বুঝে ভুল হয়েছে হুজুর আল্লাহ কসম না জেনে না বুঝে ভুল হয়েছে ওই যে সকল ধর্ম কে সমান চোখে দেখা । হুজুর না জেনে না বুঝে ভুল হয়েছে এর জন্য কি আমার ঈমান চলে যাবে?? আমি এক আল্লাহর ওপর বিশ্বাসী ছিলাম আছি ,থাকবো। অনেক ছোট ছিলাম তখন ইসলাম ও দ্বীনের জ্ঞান ছিল না ।
২. না জেনে না বুঝে ভুল কথা হয়ে গিয়েছে। এর জন্য কি আমার ঈমান চলে যাবে ? অনেক বছর এর আগের সি সব কথা। ৮-৯ বছর হয়ে গেলো। বিয়ে করেছি হুজুর কিছু মাস হলো । আমাদের সম্পর্ক ঠিক আছে তো ?
৩. হুজুর আজকে স্ত্রীর সঙ্গে একটু মন কষা কষি হয়, স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। আমি স্ত্রী কে বলেছিলাম তুমি আমার মন বুঝলে না এইসব কথা, স্ত্রী বলছে আরেকটা বিয়ে করো। পরবর্তী তে জিজ্ঞাসা করেছি বলছে রেগে গিয়ে বলছে। তার পর স্ত্রী বলছে তোমার ভাবনা আমার ভাবনা সম্পূর্ণ আলাদা। আমি বললাম হ্যা তাই ই।
হুজুর এখন সব ঠিক করে নিয়েছি স্ত্রী যে ভালোবেসে সব রাগ মিটিয়ে দিয়েছি। স্ত্রী এমনি রেগে গিয়ে কথা টা বলছে এর জন্য কি কোনো কিছু হবে?? স্ত্রী বলছে আল্লাহ কসম করে কোনো কিছু না ভেবে এমনি বলছে। আমিও সাধারণ ভেবে নিয়েছি।
**হুজুর এই সব এর জন্য কি কোনো তালাক হবে নাকি?
***আপনাদের কে বললাম তার জন্য কিছু হবে নাকি ?
*** আমাদের সম্পর্ক ঠিক আছে তো হুজুর??
৪. হুজুর আমার বউয়ের মাথায় চুল কম আর আমার বোনের ও মাথায় চুল কম । দিয়ে স্ত্রীর মাথায় হাত দিয়ে বলছি ফাঁকা চুল, চুল ই নেই, দিয়ে বলেছি বর্ষা র মানে আমার বোনের ও চুল নেই ফাঁকা।
হুজুর আল্লাহ কসম আল্লাহ কসম আল্লাহ কসম ভুল করে মুখ দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। এমন ভাবে কথা বলার জন্য কি জিহার হবে নাকি?? হুজুর আল্লাহ কসম ভুল করে মুখ দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। আসলে মাথায় চুল ছিল না সেই টা দেখে বোনের কথা মনে পড়ে যায় তাই বলেছি । আমি কিন্তু শরীর এর কোনো অঙ্গ নিয়ে তুলনা করিনি আল্লাহ কসম । আমি বলেছি বর্ষার ও চুল নেই ফাঁকা। দুজনের ফাঁকা চুল বলার জন্য হুজুর এর জন্য কি যিহার হবে?? আমি তুলনায় করনি আমি বউ এর মাথা দেখে ছি চুল কম দিয়ে বলেছি আমার বোন এর ও চুল নেই । কিন্তু বলিনি তোমার টা আমার বোনের মত এইরকম বলিনি। হুজুর আমি জাস্ট বলেছি আমার বোনের ও চুল নেই । এর জন্য কি জীহার হবে? খুব চিন্তা হচ্ছে হুজুর। আমি শরীর এর কোনো অঙ্গ নিয়ে কথা বলিনি ।
৫. মেয়ে দের পক্ষ থেকে যীহার হয়? আমার স্ত্রী যদি বলে তুমি তোমার আব্বুর মত দেখতে বা অন্য কিছু তাহলে কি জিহার হবে?? মানে মেয়েদের পক্ষ থেকে জিহার হবে?
৬. হুজুর আমি যখন ১২ ক্লাস এ পড়ি তখন আন্দোলন করেছিলাম যে। কারণ আমাদের হোস্টেলে রোজা করতে দিবে না । আর আমি রোজা করবো। তাই আন্দোলন করে ছিলাম , আর আমি চুল খুব ছোট ছোট করে কেটেছিলাম। একটা শিক্ষক আমাকে বলত সাহাবা হয়ে গিয়েছিস তুই । হুজুর আমি সঙ্গে সঙ্গে আস্তাগিরুল্লাহ পড়ি। হুজুর আমাকে শিক্ষক এমন বলতো আমি সঙ্গে সঙ্গে আস্তাগিরুল্লাহ পড়ি অনেক দিন আগে র কথা ৫ বছর হয়ে গেল শিক্ষক এমন বলেছিল , আমি আস্তাগিরুল্লাহ পড়েছিলাম। হুজুর কিছু ক্ষন আগে ফেস বুক এ একটা বন্ধুর ছবিতে কমেন্ট করতে গিয়ে মনে মনে বলি, *আমর সাহাবা* আমার টা উচ্চরণ করি বাকি টা মনে মনে বা উচ্চরণ করেছি তা মনে পড়ছে না । মনে মনে সাহাবা টা বলেছি সেটা মনে পড়ছে আবার পড়ছে বা না একদম ভুল বশত হয়েছে। মনে হয় উচ্চরণ করেছি । কিন্তু আল্লাহ কসম ভুল বশত হয়েছে ওয়াসওয়াসা জনিত কিছু খন আগে হলো। । মুখ ফস কে হয়েছে হুজুর এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?? খুব ভয় হচ্ছে হুজুর আমি তো কিছুই করিনি আমার ঈমান ঠিক আছে তো? আল্লাহ কসম আমার অনিচ্ছাকৃত হয়েছে , ওয়াস্বার জন্য হয়েছে । আল্লাহ কসম আমি ইচ্ছা কৃত বলিনি। ভুলে এমন হয়েছে। হুজুর ৬ নম্বর প্রশ্নের ঘটনা। অনুযায়ী আমার ঈমান ঠিক আছে তহ? চিন্তায় শেষ হয়ে যাচ্ছি হুজুর আল্লাহ কসম শেষ হয়ে যাচ্ছি।
৭. হুজুর এরটাগ্রুল গাজী, কুরুলাস ওসমান সিরিজ দেখছিলাম , দিয়ে ঐখানে কিছু অন্য ধর্মের মানুষ দেখছিলাম , দিয়ে হটাৎ মনে হলো এটা আমার ধর্ম। মনে মনে হলো হুজুর । আস্তাগিরুল্লাহ । আমি ওয়াসওয়াসা রুগী ৩ বছর ধরে। হুজর আল্লাহ কসম আমর মনে মনে হয়েছে।আমি মুখে উচ্চরণ করিনি। আল্লাহ কসম । হুজুর আমি এইরকম শব্দ আমি মুখে উচ্চরণ করতে পারিনা । আমি জাই দেখি শুধু ওয়াসওয়াসা হয়ে যাচ্ছে খুব কষ্ট তে আছি। আমি মুখে উচ্চরণ করিনি। আমর ঈমান চলে যাবে হুজর??আল্লাহ কসম আল্লাহ কসম মনে মনে হয়েছে , আমি মুখে উচ্চরণ করিনি শয়তানের ওয়াসওয়াসা হুজুর। আল্লাহ কসম আমি এমন শব্দ মুখে উচ্চরণ করতে পারিনা । হুজুর এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?. মনে মনে হয়েছে
**আপনাদের কে লিখে জানলাম এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
***সমস্ত ঘটনা অনুযায়ী আমর বৈবাহিক সম্পর্ক ও ঈমান ঠিক আছে তো?
**** একটা ভিডিও দেখছিলাম দিয়ে ভিডিও তে মৌলবির দাড়ি হালকা ছিল আবু তহ আদনান এর দিয়ে মনে মনে ভাবনা হলো এর হালকা দাড়ি । এর জন্য ঈমান চলে যাবে?? আল্লাহ কসম দাড়ি নিয়ে কোনো ঠাট্টা তামাশা করিনি। আল্লাহ কসম । শুধু মাত্র মনে মনে হলো এর হাল্কা দাড়ি। এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে? আল্লাহ কসম দাড়ি নিয়ে কোনো খারাপ কথা মনে আসেনি আর যা হয়েছে সব মনে মনে শুধু মাত্র মনে মনে বলেছি হালকা দাড়ি । এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?