ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এগুলো আপনার নিছক সন্দেহ মাত্র।
তারপরেও নামামে রাকাত সংখ্যা,রুকু সেজদার সংখ্যা নিয়ে এমন সন্দেহ আসলে আপনি প্রবল ধারনার উপর আমল করবেন।
কোনোদিকেই প্রবল ধারনা না হলে কম সংখ্যাকে ধরে পুনরায় সেই রুকন আদায় করবেন। এবং এক্ষেত্রে শেষে সেজদায়ে সাহু আদায় করবেন।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০২)
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِنَّمَا الْوُضُوءُ مِمَّا خَرَجَ ، وَلَيْسَ مِمَّا دَخَلَ
শরীর থেকে যা কিছু বের হয় এ কারণে অযু ভেঙ্গে যায়, প্রবেশের দ্বারা ভঙ্গ হয় না। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী ৫৬৮)
الريح الخارجة من الذكر وفرج المرأة، فإنها لا تنقض الوضوء على الصحيح؛ لأن الخارج منهما اختلاج، وليس بريح خارجة، ولو سلم فليست بمنبعثة عن محل النجاسة والريح لا ينقض إلا لذلك لا؛ لأن عينها نجسة؛ لأن الصحيح أن عينها طاهرة. (البحر الرائق: 1/ 31).
সারমর্মঃ-
পুরুষের লিঙ্গ হতে এবং মহিলাদের লজ্জাস্থান থেকে যেই বাতাস বের হয়,এর দরুন অযু ভেঙ্গে যায়না।
والریح الخارجة من الذکر و فرج المرأة لا تنقض الوضو علی الصحیح الا ان تکون المرأة مفضاة فانہ یستحب لھا الوضو۔“ (الجوهرة النيرة: 1/ 8).
সারমর্মঃ-
পুরুষের লিঙ্গ হতে এবং মহিলাদের লজ্জাস্থান থেকে যেই বাতাস বের হয়,সহীহ মত অনুসারে এর দরুন অযু ভেঙ্গে যায়না।
بخلاف الريح الخارجة من قبل المرأة وذكر الرجل لأنها لا تنبعث عن محل النجاسة حتى لو كانت المرأة مفضاة يستحب لها الوضوء لاحتمال خروجها من الدبر. (الهداية: 1/ 18).
সারমর্মঃ-
পুরুষের লিঙ্গ হতে এবং মহিলাদের লজ্জাস্থান থেকে যেই বাতাস বের হয়,সেটি নাপাকি স্থান থেকে সৃষ্ট নয়।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অযু ভেঙ্গে যাবেনা।
(০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِيْ بَكْرٍ عَنْ أَبِيْ صَالِحٍ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ قَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ فِيْ يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ كَانَتْ لَهُ عَدْلَ عَشْرِ رِقَابٍ وَكُتِبَتْ لَهُ مِائَةُ حَسَنَةٍ وَمُحِيَتْ عَنْهُ مِائَةُ سَيِّئَةٍ وَكَانَتْ لَهُ حِرْزًا مِنْ الشَّيْطَانِ يَوْمَهُ ذَلِكَ حَتَّى يُمْسِيَ وَلَمْ يَأْتِ أَحَدٌ بِأَفْضَلَ مِمَّا جَاءَ بِهِ إِلَّا أَحَدٌ عَمِلَ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে লোক একশ’বার এ দু‘আটি পড়বেঃ "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়াহুদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া হুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই; রাজত্ব একমাত্র তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও একমাত্র তাঁরই জন্য, আর তিনি সকল বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান। তাহলে দশটি গোলাম আযাদ করার সমান সাওয়াব তার হবে। তার জন্য একশটি সাওয়াব লেখা হবে এবং আর একশটি গুনাহ মিটিয়ে ফেলা হবে। ঐদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সে শয়তান হতে মাহফুজ থাকবে। কোন লোক তার চেয়ে উত্তম সাওয়াবের কাজ করতে পারবে না। তবে হ্যাঁ, ঐ ব্যক্তি সক্ষম হবে, যে এর চেয়ে ঐ দু‘আটির ‘আমল বেশি পরিমাণ করবে। (বুখারী শরীফ ৩২৯৩.৬৪০৩) (মুসলিম ৪৮/১০ হাঃ ২৬৯১, আহমাদ ৮০১৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৬০)
উক্ত হাদীস সহীহ।
এখানে দিন বলতে সুবহে সাদিক থেকে নিয়ে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত উদ্দেশ্য।
একবারে ১০০ বার না পড়ে যদি আপনি সারাদিন অল্প অল্প করে ( ১০ বার / ২০ বার / ৫ বার) করে করে পড়েন, তাহলেও এই ফজিলত পাবেন।
(০৪)
পেশাবের পর পেশাব স্থান ধোয়ার সময় ছিটে আসা পানি নাপাক।
পায়খানা করার পর সেই স্থান ধোয়ার ক্ষেত্রে সেখান হতে পানি ছিটে আসলে যেখানে পানির ছিটা লেগেছে,সেই স্থান দেখতে হবে।
তাতে পায়খানার চিন্হ পাওয়া গেলে নাপাক ধরবেন,নতুবা পাক ধরবেন।
(০৫)
নাবিইইয়ু এর পরিবর্তে যদি নাবিইয়ু পড়েন, তাহলে নামাজ হবে। এতে সমস্যা নেই।