আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
266 views
in পবিত্রতা (Purity) by (16 points)
১. স্ত্রীর জন্য শশুর শাশুড়ীর দেখাশোনা খোঁজখবর রাখা এবং স্বামীর জন্য শশুর শাশুড়ীর দেখাশোনা খোঁজখবর রাখা এই দুইয়ের মধ্যে কোনো তফাত আছে কি?
(যেমন কারোর কম বা বেশি কিংবা আবশ্যকতা ভেদে)। কিংবা বিষয়টা আসলে কেমন উস্তাদ?

২. টাকা জমিয়ে ওমরাতে যেতে চাই।একজন বলে আশেপাশে অনেক গরীব আছে তাদের সাহায্য কেন করছিনা এই টাকা দিয়ে?কোনটা আগে করা উচিত?কোনটা জরুরী?

৩.উমরা/হজ্জে যাওয়ার জন্য টাকা জমাচ্ছি একটা প্লাস্টিকের ব্যাংকে।তাই দশটা টাকা হাতে আসলেও ব্যাংকে ফেলে দেই। ফলস্বরূপ আমি নিজেই ফিল করি যে আমার দান করার পরিমাণ কমে গেছে।হজ্জ সঞ্চয়ে না রাখলে হয়ত আমি টাকাটা কোন গরীবকে দিয়ে দিতাম। এভাবে হজ্জের নিয়তে যে টাকা জমাচ্ছি এটা কি উত্তম হচ্ছে উস্তাদ?

৪.লজ্জাস্থান দিয়ে অল্প সামান্য কিছু বের হলেও অজু ভেঙে যায় এবং কাপড় নাপাক হয়ে যায়? প্রায়ই চেক করতে গিয়ে দেখি পায়জামায় সাদা ছিটে ফুটা(খুবই ছোট ছোট ফুটা),এই পায়জামায় নামাজ হবে? আর যদি নামাজ পড়েও ফেলি, তখন করনীয় কী?

৫. তিলাওয়াতে সিজদার জন্য অজু এবং পবিত্র কাপড় আবশ্যক? যদি অপবিত্র কাপড় এবং বিনা অজুতে সিজদা দিয়ে ফেলি তাহলে করনীয় কি?কুরআন খতম করে পুনরায় সবগুলো সিজদা একসাথে আদায় করলে হবে?

৬.মুসহাফ কুরআন ধরা এবং তেলাওয়াতের জন্য পবিত্র কাপড় আবশ্যক?যেমন অজু আছে কিন্তু পড়নে সাদাস্রাব বা বাচ্চাদের প্রসাব লেগেছে এমন কাপড়

৭.প্রায়ই মনে হয় লজ্জাস্থান দিয়ে কিছু বের হচ্ছে।অনেক সময় নামাজেও এমন মনে হয়।এরজন্য মাঝে মাঝে অজু ভেঙেছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহে পড়ে যাই,নিশ্চিত হতে পারিনা। তাই আমি কুরআনের মুসহাফ না পড়ে মোবাইলে কুরআন তেলাওয়াত করি খতমের উদ্দেশ্যে। যাতে আমার অজান্তে অজু ভাঙলেও পাপ না হয়। অনেক সময় তো বুঝতেও পারিনা কিছু,শুধু চেক করতে গিয়ে দেখি পায়জামায় সাদাসাদা ছিটে।
এভাবে কি পড়া উচিত হচ্ছে?

1 Answer

0 votes
by (597,600 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)স্ত্রীর জন্য শশুর শাশুড়ীর দেখাশোনা খোঁজখবর রাখা এবং স্বামীর জন্য শশুর-শাশুড়ীর দেখাশোনা খোঁজখবর রাখা এই দু'টো বিষয় প্রায় সমান। তবে যেহেতু স্বামী কাজে ব্যস্ত থাকবে, তাহলে স্বামীর দায়িত্বকে স্ত্রী নিজ কাদে তুলে নিয়ে স্বামীর মাতাপিতার দেখভাল করবে। অর্থাৎ আনুষাঙ্গিক বিবেচনায় স্ত্রীর দায়িত্ব বেশী।

(২) উমরাহ করাই উত্তম হবে। তবে বারংবার করা থেকে গরীবকে সাহায্য করাই উত্তম হবে।

(৩) অর্ধেক হজ্ব উমরাহর জন্য সঞ্চয় করুন এবং বাকী অর্ধেক সদকাহ করে দিন।

(৪) একদিরহাম থেকে কম হলে নামায হয়ে যাবে।তবে বেশী হলে নামায হবে না।

(৫)তিলাওয়াতে সিজদার জন্য অজু এবং পবিত্র কাপড় আবশ্যক? যদি অপবিত্র কাপড় এবং বিনা অজুতে সিজদা দিয়ে দেয়া হয়, তাহলে তিলাওয়াতে সিজদা আদায় হবে না। 

بدائع الصنائع: (186/1، ط: دار الکتب العلمیہ)
وأما شرائط الجواز فكل ما هو شرط جواز الصلاة من طهارة الحدث وهي الوضوء والغسل، وطهارة النجس وهي طهارة البدن والثوب، ومكان السجود والقيام والقعود فهو.
شرط جواز السجدة؛ لأنها جزء من أجزاء الصلاة فكانت معتبرة بسجدات الصلاة.

و فیہ ایضا: (135/1، ط: دار الفکر)
وشرائط هذه السجدة شرائط الصلاة إلا التحريمة

الھندیۃ: (52/1، ط: دار الفکر)
تسعة أوقات يكره فيها النوافل وما في معناها لا الفرائض. هكذا في النهاية والكفاية فيجوز فيها قضاء الفائتة وصلاة الجنازة وسجدة التلاوة. كذا في فتاوى قاضي خان.
منها ما بعد طلوع الفجر قبل صلاة الفجر. كذا في النهاية والكفاية يكره فيه التطوع بأكثر من سنة الفجر.

الدر المختار: (374/1، ط: دار الفکر)
(۔۔و)۔۔۔۔(بعد صلاة فجر و) صلاة (عصر) ولو المجموعة بعرفة (لا) يكره (قضاء فائتة و) لو وترا أو (سجدة تلاوة وصلاة جنازة۔۔)

(৬)মুসহাফ বা কুরআন ধরা এবং তেলাওয়াতের জন্য পবিত্র কাপড় শর্ত নয়। যেমন অজু আছে কিন্তু পড়নে সাদাস্রাব বা বাচ্চাদের প্রসাব লেগেছে এমন কাপড় পরিহিত থাকলেও কুরআনকে স্পর্শ করা যাবে।তবে এটা সর্বদা অনুত্তম হিসেবে বিবেচিত হবে।

(৭) অজু ভঙ্গের সন্দেহ দ্বারা অজু ভঙ্গ হবে না,যতক্ষণ না নিশ্চিত বুঝা যাচ্ছে যে, আপনার অজু ভঙ্গ হয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,600 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (16 points)
আসলে ১ নং প্রশ্নটা হয়ত আমি বুঝাতে পারিনি উস্তাদ। প্রশ্ন ছিল :- স্ত্রীর জন্য শশুর শাশুড়ীর(স্বামীর পিতামাতার) দেখাশোনা খোঁজখবর রাখা এবং স্বামীর জন্য শশুর শাশুড়ীর(স্ত্রীর পিতামাতার) দেখাশোনা খোঁজখবর রাখা এই দুইয়ের মধ্যে কোনো তফাত আছে কিনা?
by (597,600 points)
না, কোনো তফাৎ নাই।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 229 views
...