আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
234 views
in পবিত্রতা (Purity) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম,
এক বোনের হায়েজ এর নিয়ম হলো প্রথম এক দুই দিন হলদে বা লালচে স্রাব গিয়ে তারপর স্বাভাবিক রক্তস্রাব শুরু হয়।

ফেব্রুয়ারীর ২৬ তারিখ হায়েজ এর ডেইট ছিলো,২৬ তারিখ থেকে টানা পাঁচ  দিন রক্তস্রাব (ব্লিডিং)  হয়নি,শুধুমাত্র হলদে বা লালচে ভাব মিশ্রিত স্রাব গিয়েছে। তখন নামাজ ত্যাগ করেছেন তিনি।পাঁচ দিন পর তিনি স্বাভাবিক সাদা স্রাব দেখতে পান।

মাঝখানে মার্চের ১ তারিখে ইমার্জেন্সি পিল খেয়েছিলেন,তার পর মার্চের ৯ তারিখ পুনরায় রক্তস্রাব ( ব্লিডিং)  শুরু হয়ে স্বাভাবিক হায়েজ এর মত স্থায়ী ছিলো পাঁচ-ছয় দিন।

এখন আজকে মার্চের ২৯ তারিখ পুনরায় হায়েজ শুরু হওয়ার পূর্বে যেমন হলদে বা লালচে স্রাব বের হয় তেমনটা বের হচ্ছে।
প্রশ্ন হলো এখন

১) এখনকার (আজকের ২৯ মার্চ) এই হলদে বা লালচে স্রাব বের হওয়াকে কি তিনি হায়েয হিসেবে ধরবেন?ধরে কি নামাজ ও কুরআন তিলাওয়াত ছেড়ে দিবেন? নাকি ইস্তিহাযা ধরবেন?
এক্ষেত্রে তুহুর হিসেব করবেন কোনটা ধরে? ২৬ ফেব্রুয়ারীর হলদে স্রাব কে ধরে হিসাব করবে নাকি ৯ মার্চের রক্তস্রাবকে ধরে হিসাব করবে?
২)যেহেতু কনফিউশান তাই পূর্বে ২৬ তারিখ থেকে ছাড়া পাঁচ দিনের নামাজ ও ৯ তারিখ থেকে ছাড়া পাঁচ দিনের ( যেহেতু হায়েয এর মত অবস্থা তৈরি হয়েছিলো দুই বারই)  নামাজ কি কাযা আদায় করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 
,
আরো জানুনঃ

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
এখনকার (২৯ মার্চ) এই হলদে বা লালচে স্রাব বের হওয়াকে তিনি হায়েজ হিসেবে ধরবেন। নামাজ, রোযা ও কুরআন তিলাওয়াত ছেড়ে দিবেন।

তুহরের বিষয়টি ২৬ ফেব্রুয়ারীর হলদে স্রাবকে হায়েজ ধরে হিসাব করবে। 
৯ মার্চের রক্তস্রাব মূলত ইস্তেহাজা,সেটি হায়েজ নয়। তাই সেটির দ্বারা তুহরের গণনা করবেনা।

(০২)
প্রশ্নের বিবরন মতে ২৬ ফেব্রুয়ারীর হলদে স্রাব যেহেতু হায়েজ,তাই ২৬ তারিখ থেকে ছাড়া পাঁচ দিনের নামাজের কাজা আদায় করতে হবেনা। 

আর ৯ মার্চের রক্তস্রাব যেহেতু ইস্তেহাজা,সেটি হায়েজ নয়। তাই ৯ তারিখ থেকে ছাড়া পাঁচ দিনের নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...