আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
199 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
edited by
আসসালামু'আলাইকুম।


আমার বাবা মা নানু এরা প্রায়সময়ই আমাকে খাওয়া নিয়ে জোর করে। এমনিতেও আমি সুন্নাহ মোতাবেক খুব সামান্য বা শুধু ক্ষুধা মেটানোর জন্য যে খাওয়া ওটার থেকে বেশিই খাই। এই রমাদ্বানেও ইফতারে খুব বেশি কিছু না হলেও প্রয়োজনের সীমা অতিক্রম করেই আইটেম করা হয়, আমি না খেলেও অন্যরা তো খাবেই,তাই তৈরি করবেও। ওদিকে আমার পছন্দেরও জিনিসগুলা + আমার ভাগ হিসেব করে বানানোর কারণে আমি একদম না খেলে বেঁচে থাকবে। তাই খাই মোটামুটি,পেট ভরেই যায়, একদম হালকা খেলে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে কিন্তু সেরকম করতে পারছি না।

তবুও বাবা মা সবসময় মনে করে খাই না ভালো করে। সেহরিতেও একই অবস্থা, ভাত একটু কম করে খাওয়ার চেষ্টা করি, কিন্তু তবুও সব মিলে পেট টইটম্বুর হয়ে যায়। এর মধ্যে একদিন লাস্টে দুধ খাওয়ার পর খুব খারাপ লাগে, ফজরের আগে সেদিন আবার কিছুক্ষণ বিছানায় রেস্ট করতে হলো। সেদিনই বলছিলাম বারবার যে খাওয়া বেশি হয়ে গেছে, খারাপ লাগছে।


তার পরেরদিন দুধ একদম সামান্য নিয়ে খেলাম, আগেরদিনের মতো খুব খারাপ লাগার মতো না হলেও পেট ভর্তি হয়েই গেছে একদম, এসময় আব্বু বলল দুধ তো খাই নাই, আমি বললাম খেয়েছি,তখন বলে দেখছি কত খেয়েছিস,...


আমি বলে উঠলাম "না আর পারবো না, আমার কষ্ট হয়" [স্বরটা খুব রাগী না, এমনেই একটু দ্রুত আর দৃঢ় মুডে হওয়ায় রাগী টাইপ মনে হতে পারে; তবে আমার স্বাভাবিক কথাও অনেকটা এরকমই হয়ে যায়,বেশি নম্র হয় না]


তখন আব্বু আম্মুকে বলল "দেখছ এটাই শোনার জন্য আমাকে বলতে বললা তো"...আরো বলতে লাগলো অনেকটা অভিশাপের মতো করে যেন ভবিষ্যতে বুঝব এই কষ্ট, আরো কী কী, এরপর আমিও আসলেই রাগ শুরু করে দিলাম, যেটা হয়তো ভুল হয়েছে। বললাম আমি তো বেয়াদবি করে বলি নাই,কষ্ট হবে সেটা বলছি, তোমরাই বেশি জুলুম করতেছো... তখন আব্বু বলল বাবা মার সাথে যুক্তি দিচ্ছি...


আমার প্রশ্ন, এভাবে যখন আমার কথা বিশ্বাস না করে আমার পেট ভর্তি হওয়া সত্ত্বেও খেতে বলে যেটা আমার কষ্টের কারণ হয়+ অনেক সময় পরে নামাজ থাকলে নামাজের ইচ্ছা কমে যায়(পড়তে তো হবেই কিন্তু উদাস মানসিকতা বা গড়িমসি আসে), এসব ক্ষেত্রে কি ওদের অবাধ্য হয়ে না খাওয়াটায় আমার গুনাহ হবে?
ধীরভাবে আমি আর খেতে পারবো না এটা বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করার পরেও যদি তারা বিশ্বাস না করেন তাহলে করণীয় কী? চুপ থেকেই খাওয়া থেকে বিরত থাকবো,নাকি কষ্ট হলেও খেতে হবে?

এসব পরিস্থিতি তে আমি অবাধ্য হয়েছি ভেবে বা রাগ লেগে কোনো কথা বলে ফেলায় আমার কথার প্রত্যুত্তরে যদি বাবা মা অভিশাপ দেন তাহলে কি সেটা লেগে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وفي الفتاوى الهندية : الأكل على مراتب :
فرض : وهو ما يندفع به الهلاك ، فإن ترك الأكل والشرب حتى هلك فقد عصى .ومأجور عليه ، وهو ما زاد عليه ليتمكن من الصلاة قائما ، ويسهل عليه الصوم .ومباح ، وهو ما زاد على ذلك إلى الشبع لتزداد قوة البدن ولا أجر فيه ولا وزر ويحاسب عليه حسابا يسيرا إن كان من حل .وحرام ، وهو الأكل فوق الشبع إلا إذا قصد به التقوي على صوم الغد ، أو لئلا يستحي الضيف فلا بأس بأكله فوق الشبع .
যদি কোনো বিষয়ে মাতাপিতার কোনো ফায়দা না থাকলে,অন্যদিকে সন্তানের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলে,তাহলে এমন বিষয়ে মাতাপিতার উক্ত বিধিনিষেধের উপর নফল/মুস্তাহাব-কে তারজিহ দেয়াই উত্তম হবে।সুতরাং পেঠভরে খাবার খাওয়ার মাতাপিতার আদেশকে না মেনে তখন মুস্তাহাব বিষয়ের উপর আমলই উত্তম হবে।হ্যা অবশ্যই মাতাপিতার সাথে উত্তম শব্দ ব্যবহার করতে হবে। তাদেরকে হেকমতের সাথে নরম ভাষায় মুস্তাহাবের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য বুঝাতে হবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3799

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পেঠভরে মা বাবা খেতে আদেশ করলে, মাতাপিতার সেই আদেশকে মান্য করা যাবে না। এজন্য মাতাপিতার অবাধ্যতা হবে না।গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...