আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
160 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)

আসসালামুআলাইকুম।

একজন ডায়াবেটিসের রোগী গর্ভবতী।

সে অস্ট্রিয়াতে বসবাস করে।

তার দেশের রোজার সময়কাল ভোর 4 টা থেকে সন্ধ্যা 7.30 পর্যন্ত।

এমতাবস্থায় সে রাতে সেহরী করার পর সকালে তার ডায়াবেটিস এর মাত্রা অধিক বেড়ে যায়।

তাই সে এমন অবস্থায় এই রমজানের রোজাগুলো রাখতে চাচ্ছে না।

পরবর্তীতে কাজা রাখতে চাচ্ছে।

ইসলামি শরীয়াহ অনুযায়ী এমনটা করা জায়েজ হবে কি নাকি গুনাহ হবে?

দয়া করে জানিয়ে উপকৃত করবেন।

জাযাকাল্লাহ্ খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (616,950 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

ডাঃ নিশাত তাম্মিম লিখেন-
«وَعَوَارِضُ الصَّوْمِ الَّتِي قَدْ يُغْتَفَرْ ... لِلْمَرْءِ فِيهَا الْفِطْرُ تِسْعٌ تُسْتَطَرْ
حَبَلٌ وَإِرْضَاعٌ وَإِكْرَاهُ سَفَرْ ... مَرَضٌ جِهَادٌ جُوعُهُ عَطَشٌ كِبَرْ» - «حاشية ابن عابدين = رد المحتار ط الحلبي» 2/ 421)
নয়টি কারণে রোযা না রাখার অুনমোদন রয়েছে, গর্ভ,দুগ্ধপান,জোড়জবরদস্তী,সফর,অসুস্থতা,জিহাদ,অনাহার,পিপাসা,বৃদ্ধ( রদ্দুল মুহাতর-২/৪২১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি ডায়বেটিকসের কারণে রোযা রাখা সম্ভবপর না হয়, তাহলে তখন রোযাকে ভঙ্গ করার অনুমতি থাকবে। তবে আপনার বিবরণ থেকে বুঝা যাচ্ছে, আপনার তেমন কোনো অসুবিধে নাই। সুতরাং আপনি রোযা রাখবেন। আপনার প্রতি বিশেষ কিছু পরামর্শ জনৈক ডাক্তারের লিখা থেকে সংগ্রহ করে দিলাম।


ডায়াবেটিস:
নিয়ন্ত্রিত ও অনিয়ন্ত্রিত- উভয়েই রমজানের কয়েক মাস আগে সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধের ডোজ ও সময়সূচি ঠিক করিয়ে নেবেন। রমজানের আগে কয়েকদিন একটানা সিয়াম রেখে দেখে নিবেন সিয়াম রাখার কারণে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রায় উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন হচ্ছে কিনা। 
১। সাধারণত একবেলা নেয়ার ইনসুলিন ইফতারের আগে নিয়ে ইফতার করতে হবে।দুইবেলা নেয়ার ইনসুলিনে, সকালের ডোজটা ইফতারে পানি খেয়ে তারপর ডোজ নিয়ে সাথে সাথেই ইফতার করতে হবে, এবং রাতের ডোজটা ৩০-৫০% কমিয়ে সাহরীর আগে নিতে হবে। তিন বেলা নেয়ার ইনসুলিনে, সকালের ডোজটা একইভাবে ইফতারের আগে, দুপুরের ডোজটা রাতের খাবারের আগে এবং রাতের ডোজটা অর্ধেক কমিয়ে সাহরীর আগে নিতে হবে। রাতে নেয়ার লং একটিং ইনসুলিন আগের মত একই সময়েই নেয়া যাবে। এভাবে ডোজ পরিবর্তন করার পর ইফতারের আগে, পরে, সাহরীর পরে, বিকেলে এবং বিভিন্ন সময় গ্লুকোমিটার দিয়ে রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা করে দেখতে হবে। গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গেলে ইনসুলিনের পরিমানটাকেও ২ বা ৪ পর্যন্ত বাড়িয়ে নিতে হবে। আর দিনের বেলা পানির অভাবে ডিহাইড্রেশন হয়ে প্রেশার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে, রাতে অনেক বেশি করে পানি খেতে হবে। (ডক্টর ফিরোজ আমীন, এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট, এসোসিয়েট প্রফেসর, বারডেম)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (616,950 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 175 views
0 votes
1 answer 196 views
...