আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
235 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম হুজুর।
আমার ১ বছর আগের রমজান মাসের একটা ঘটনা মনে পড়ে আমি খুবই টেনশন এ আছি। আমার খুব টেনশন হচ্ছে । একটু বিষয় টা দেখেন ।
বিষয় হলো যখন ঘটনা টা ঘটে তখন আমার বিয়ে হয়নি।  হুজুর বিষয় টা হলো, রমজান মাসে আমরা বাড়ির ৪ জন রোজা ছিলাম । আমি , আব্বা, মা , আমার বোন।
সংক্ষেপ এ বলছি, আমরা ৪ জন ইফতার এর জন্য বসে জাই এবং সবাই, দুয়া করছিলাম, আমার আব্বু একটু উচ্ছসর এ দুয়া করছিল, হটাৎ মা আব্বুর মুখের দিকে তাকায় কিছু একটা দেখে  মা এর একটু হাসি পায়, আমি আবার মা এর দিক তাকায় আমার ও একটু হাসি চলে আসে তারপর আমার বোনের ও হাসি পায়। সঙ্গে সঙ্গে আব্বা  চুপ করতে বলে চুপ হয়ে গিয়েছিলাম সবাই
আব্বুর কথা বলার ভঙ্গিমাতে কিছু একটা দেখে এমন হয়েছিল। আমি হাসিনাই, মা প্রথমে একটু এসেছিল তার পর সবার সবার মুখের দিক তাকিয়ে হাসতে লেগেছিল খুব জোরে জোরে হাসেনি।
হুজুর বিষয় টা হলো এখানে যে ইফতার এর আগে যে দুয়া করছিল, সেই দুয়া কে নিয়ে হাসেনি। বা তাচ্ছিল্য করেনি, বা ঠাট্টা করেনি। আমি সবাই কে জিজ্ঞাসা করেছি সবাই আল্লাহ  কসম করে বলেছে, কেউ দুয়া কে নিয়ে হাসেনি , বা তাচ্ছিল্য করেনি। আব্বার একটু মুখের ভঙ্গিমা বা কথা বলার ভঙ্গিমা , বা এমন কিছু দেখে হয়ত মা র হাসি একটু পাই , ইফতার এর দোয়া নিয়ে কোনো ঠাট্টা তামাশা করিনি। আর করতে পারিনা।  তারপর সবার চোখে চোখ পড়ে গিয়ে হাসি টা হয়েছে। কিন্তু ঠাট্টা তামাশা করে কেউ হাসিনাই।
১. হুজুর আল্লাহ কসম ইচ্ছা করে কেউ  হাসে নাই, আল্লাহ কসম করে বলছি। আর জানিনা যে এইরকম হাসলে ঈমানের জন্য মারাক্তক ক্ষতিকর তাহলে জাই হোক মরে গেলে ও হাসতাম না। হুজুর ভুল করে হয়েছে ইফতার এর দুয়া কে নিয়ে কেউ হাসেনি। আমি সবাই কে জিজ্ঞাসা করেছি, সবাই আল্লাহ কসম  করে বলেছে এমনি হাসি বেরিয়েছে কেউ দুয়া কে ঠাট্টা বা তামাশা করে হাসেনি । না জেনে বুঝে ভুল হয়েছে  হুজুর খুব ভয় হচ্ছে। এর জন্য কি আমাদের ঈমান চলে যাবে??
আল্লাহ কসম , আল্লাহ কসম, আল্লাহ কসম হুজুর না জেনে না বুঝে এমন ভুল হয়েছে। কিন্তু ইফতার এর দয়া কে নিয়ে কোনো ঠাট্টা বা তামাশা করা হয়নি।
২. আমি তো বিয়ের আগের ঘটনা ,তার কিছু মাস পর  আমার  বিয়ে হয়।  তাহলে কি বৈবাহিক সম্পর্ক এর কোনো প্রভাব পড়বে? আমার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো?
৩. আব্বু মার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো হুজুর??

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/47004/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে এর জন্য আপনাদের ঈমান চলে যাবেনা।

(০২)
আপনার বৈবাহিক সম্পর্ক এর কোনো প্রভাব পড়বেনা। আপনার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে।
আপনি নিশ্চিন্ত মনে থাকুন। কোনো সমস্যা হয়নি।

(০৩)
আপনার আব্বু মার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে,কোনো সমস্যা হয়নি 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...