আসসালামু আলাইকুম। আমার শাশুড়ি আমার মায়ের সাথে মোবাইলে খুব অশ্রাব্য কথা বার্তা ও তুই-তোকারি করে কথা বলেন ২০ তারিখে। এই ঘটনার পর আমি যদি মনে কষ্টের কারণে আমার শ্বশুর শাশুড়ির সাথে কিছুদিন কথা না বলি, তাদের খোঁজ খবর না নেই সেটা কি আমার জায়গা থেকে অন্যায়? (স্বাভাবিক দৃষ্টিতে) আর শরীয়ত অনুযায়ী উনাদের সাথে কথা না বলা কি আমার জন্যে গুনাহের কারণ? আমার গত ২৪ তারিখ শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই ঘটনার কারণে আমি আগামী ৫ তারিখ আমার স্বামীর সাথে যাবো ইনশাআল্লাহ। যেতে ইচ্ছে করছে না। কিন্তু নিজের স্বামীর জন্যে যাচ্ছি। কিন্তু তাও আমার ননাশ আমাকে বলেন আমি যেন আমার শ্বশুর-শাশুড়িকে কল দেই। কিন্তু ইচ্ছা করছেনা মন থেকে। আমার ননাশ আর স্বামীর দাবি তাদের মা মানসিকভাবে অসুস্থ তাই হুট করে এরকম বাজে আচরণ করেছেন। অথচ উনার সাথে থেকে আমার মনে হয়েছে আমার শাশুড়ি স্বভাবগতভাবেই এমন । আমি উনাদের আগেও বলেছি ভালো চিকিৎসা করাতে। সেটায় উনাদের কারোরই তেমন তৎপরতা দেখিনি। উনার মায়ের অসুস্থতার দোহাই দিয়ে এসব যে করছেন এসব কি আমার তাই মেনে নেওয়া উচিত?
আর উনাদের বাসায় গেলে আমাকে নিয়ে ও আমার মা বাবাকে নিয়ে উনাদের বিরূপ মন্তব্য/ কথা-বার্তার সময় আমার কেমন আচরণ একজন মুসলিম হিসেবে করা উচিত? উনাদের এমন আচরণের পর আমার যে উনাদের প্রতি সম্মানবোধ ও আন্তরিকতা নষ্ট হয়েছে এটা কি আমার অন্যায়? এর আগে আমি চুপচাপ থাকতাম। শুধুমাত্র একজন মেয়ে দেখে কি আমাকে এসব সহ্য করে নিতে হবে? এসব দেখেও হাসিমুখে তাদের সেবা করতে হবে?
আমার স্বামীকে নিষেধ করেছি উনি যেন উনার মা বাবার সাথে অন্যায় না করেন। কথা না বলে না থাকেন। কারণ তাদের প্রতি আমার স্বামী দায়বদ্ধ। তাও যদি আমার দোষ না থাকা সত্ত্বেও উনি আমাকে মনে মনে দোষী ভাবেন তাহলে কি আমি গুনাহগার হব?