মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন,
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।
উক্ত আয়াতের ভাষ্য হল যে, আল্লাহ তা'আলা রাসূলুল্লাহ সাঃ কে চারটি দায়িত্ব দিয়ে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন।(১)তেলাওয়াতে কুরআন(২)আত্মসংশোধন(৩)কিতাব শিক্ষা প্রদান(৪)হেকমত তথা সুন্নত শিক্ষা প্রদান।
যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাঃ এর এই চার দায়িত্বর অন্যতম দায়িত্ব হল, কুরআন শিক্ষা প্রদানের দায়িত্ব। সুতরাং এখান থেকেই কুরআন শিক্ষার গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য অনায়াসেই বুঝে আসে।আল্লাহ আপনাকে এ মহান মাহাত্ম্যপূর্ণ সাবজেক্ট সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার তাওফিক দান করুক।
আলী সাবুনী দাঃবাঃ ইবনে তাইমিয়াহ রাহ এর উদ্ধৃতিতে তিবইয়ান নামক কিতাবে উল্লেখ করেন,যে ইবনে তাইমিয়াহ রাহ বলেন,
মানুষ ঐ গাধার মত,যার পিঠে রয়েছে,কুরআনে কারীমের বোঝা।কিন্তু সে ঐ কিতাবের বোঝা থেকে যেভাবে কোনো ফায়দা গ্রহণ করতে পারে না,ঠিক তেমন যেন এখন কার সময়ের লোকজন।তাদের হাতের নিকটে কুরআন,অথচ তারা কোনো প্রকার ফায়দা গ্রহণ করতে পারছেনা বা আগ্রহী হয় না।
উনি আরেকটি দৃষ্টান্ত দিয়ে বলেন,যেমন কোনো হাকে পানির গ্লাস থাকার পরও মানুষ তৃষ্ণাতুর হয়ে মারা যায়।ঠিক তেমন যেন বর্তমান সময়ের মানুষ।দিকহারা পথিকের মত ভবঘুরে অথচ হেদায়ত রয়েছে তার হাতের সামনে কুরআনে কারীমের মধ্যে।
সুতরাং কুরআনকে শুধুমাত্র তেলাওয়াত করলে কুরআনের হক আদায় হবে না।বরং সাথে সাথে সেখান থেকে জীবনের মূলটার্গেট কে অর্জন করতে হবে।আল্লাহ সবাইকে তাওফিক দান করুক।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কুরআনের অনুবাদ জানতে সংগ্রহ করুনঃ-
(ক)তাওযীহুল কুরআন কুরআন- বাংলা(মুফতী তাকী উসমানী)
কুরআনে কারীমের তাফসীর শিখতে
(খ)মা'রিফুল কুরআন-বাংলা(মুহি উদ্দিন খান)
(গ) আনওয়ারুল কুরআন। (আবুল কালাম মাসুম দাঃবাঃ) ইসলামিয়া কুতুব খানা।