ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) গুনাহ থেকে বাচার উদ্দেশ্যেও গোপন গোনাহের কথা প্রকাশ করা জায়েয হবে না। তবে প্রকাশ্য কোনো গোনাহ থাকলে, বিশেষ হেকমতে সেই গোনাহের কথা প্রকাশ করা যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/906
(২) গোনাহের কথা ইতিপূর্বে কাউকে বলে থাকলে, সেজন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
(৩) গুনাহ এর কথা বললেই যে তা হাশর এর ময়দানে প্রকাশিত হয়ে যাবে, বিষয়টা এমন নয়। তবে গোপন রাখলে আল্লাহও গোপন রেখে রেখে ক্ষমা করে দেন।
(৪) পড়াশোনাতে মূল ফোকাসে রেখে ইবাদত বন্দেগী করার জন্য আল্লাহ নারাজ হবে না।কেননা আপনি তো ফরয, ওয়াজিব এবং সুন্নতে মু'আক্কাদা গুলোকে যথাযথভাবে আদায় করছেন।
(৫)
তাফসীরে জালালাইন গ্রন্থে উক্ত আয়াতের ব্যাখায় লিখা হয়,
ﻣِﻤَّﺎ ﺫُﻛِﺮَ ﺃَﻱْ اﻟﻻَّﺋِﻖ ﺑِﺎﻟْﺨَﺒِﻴﺚِ ﻣِﺜْﻠﻪ ﻭَﺑِﺎﻟﻄَّﻴِّﺐِ ﻣِﺜْﻠﻪ
উক্ত আয়াতে যে বলা হয়েছে,'দুশ্চরিত্রা নারীকূল দুশ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে'(শেষ পর্যন্ত)
এই আয়াতের সহজ অর্থ হচ্ছে,দুশ্চরিত্র নারীর জন্য দুশ্চিত্র পুরুষই উপযোক্ত এভাবে ঠিক তার উল্টো।এ অর্থ নয় যে,দুশ্চরিত্র নারী দুশ্চরিত্র পরুষকেই পাবে।হতে পারে আবার নাও পেতে পারে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4612
(৬) কেউ যদি মিথ্যা বলে আপনার কাছ থেকে কিছু নিয়ে নেয়, তাহলে আপনি বিশুদ্ধ নিয়তের দরুণ পরিপূর্ণ সওয়াব পেয়ে যাবেন।
(৭) কাছের মাদ্রাসার পরিবর্তে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করতে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা হবে না।