জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো নামাজে তেলাওয়াত করতে করতে যদি মাঝের কোনো আয়াত ভুলে যায়,বা বাফ যায়,তাহলে নামাজ ফাসেদ হওয়ার মতো অর্থ বিকৃত হল নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
আর যদি সেরকমটি না হয়,তাহল্র নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
উদাহরণ স্বরুপ কেহ যদি নামাজে তেলাওয়াত করতে গিয়ে
ر رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَیْنَا إِصْرًا کَمَا حَمَلْتَہُ عَلَی الَّذِینَ مِنْ قَبْلِنَا
ছেড়ে দিয়ে,বাদ দিয়ে
رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِہِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا
,,,أَنْتَ مَوْلَانَا فَانْصُرْنَا
পড়ে,তাহলে এর দ্বারা যেহেতু অর্থ বিকৃত হয়না,তাই নামাজ হয়ে যাবে।
,
আর যদি নামাজ ফাসেদ হওয়ার মতো অর্থ বিকৃত হল নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
.
(০২)
মুক্তাদি ইমাম সাহেবের সাথে মুনাজাত উঠিয়ে আল্লাহর কাছে তৃপ্তি ভরে চাওয়ার জন্য ইমাম সাহেব মুনাজাত শেষ করার পরেও ব্যক্তিগত ভাবে মুনাজাত দীর্ঘায়িত করা যাবে।
কোনো সমস্যা নেই।
তবে যেসব ফরজ নামাজের পর সুন্নাত নামাজ আছে,সেসব ফরজ নামাজ পর দীর্ঘ দোয়া উচিত নয়।
,
(০৩)
কবি শেখ সাদি (রহঃ) রচিত শেরঃ
بلغ العلى بكماله
كشف الدجى بجماله
حسنت جميع خصاله
صلوا عليه و آله
বালাগাল উলা বি কামালিহি,
কাশাফাদ্দুজা বি জামালিহি,
হাসুনাত জামিয়ু খিসালিহি,
সাল্লু আলাইহি ওআলিহি...
অর্থ: তিনি পৌঁছে গেছেন সর্বোচ্চ মর্যাদায় তাঁর সুমহান চরিত্রের দ্বারা।
বিদুরিত হয়েছে সকল অন্ধকার তাঁর সৌন্দর্যের ছটায়।
সম্মিলন ঘটেছে তাঁর মাঝে সকল উন্নত চরিত্রের।
পেশ করুন তাঁর প্রতি ও তাঁর সম্মানিত আহলে বাইতদের প্রতি দরুদ ও সালাম।
.
(০৪)
هُرَيْرَة [هرر]
[আরবী উচ্চারন হুরাইরাহ]
অর্থঃ ছোট বিড়াল
বিড়ালছানা
,
এই নামে বিড়ালের নাম রাখা যাবে,কোনো সমস্যা নেই।
,
তবে ছাহাবী আবু হুরাইরাহ রাঃ এর প্রতি যেনো বিষোদগার অন্তরে না আসে।
.
(০৫)
আপনাদের গ্রামে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস এজেন্ট যেই কথা বলছেন,তাহা যেহেতু মিথ্যা,তাই সে ধোকা দিয়ে আপনার থেকে টাকা নিতে চাচ্ছে।
ইসলামে ধোকা দেওয়া হারাম।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
,
ইসলামে কাহারো সম্পদকে তার সন্তুষ্টি চিত্ত ব্যাতিত নেওয়া থেকে নিষেধ করেছে।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার উপর কোনো টাকা ওয়াজিব নয়।
আপনি যদি এমনতেই খুশি মনে তাকে দেন,তাহলে তার জন্য এটি নেওয়া জায়েয হবে।
আর যদি আপনি তাকে টাকা চাপে পড়ে দেন,বা অসন্তুষ্টি চিত্তে দেন,তাহলে তা গ্রহন করা তার জন্য জায়েজ হবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছে
وَعَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ»
আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
(আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২,মিশকাতুল মাসাবিহ ২৯৪৬)