আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
94 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
#আধুনিক_মাসায়েল

আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করি। আমার স্যালারি ব্যাংক একাউন্ট এর মাধ্যমে প্রদান করা হয়। যেহেতু ব্যাংক আমাকে সেবা দিচ্ছে সেহেতু তারা কিছু সার্ভিস চার্জ (ATM card, SMS service, online banking, bank statement) আমার একাউন্ট থেকে কেটে নেয়। আবার আমি যেই পরিমাণ টাকা স্যালারি পাই পুরো টাকা আমার খরচ হয় না। কিছু টাকা একাউন্টে থেকেই যায়। সেই টাকার উপর৩ মাস অথবা ৬ মাস অথবা ১ বছর পর অটোমেটিক কিছু সুদ চলে আসে (কি পরিমাণ সুদ জমা হয় সেটা আবার মোবাইল SMS এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়)। আমি নরমালি সেই টাকা গরীব দুস্থকে সওয়াবের নিয়্যাত ছাড়া দিয়ে দেই। এখন আমার প্রশ্ন দুইটিঃ

১. এই টাকা কি আমি এতিমখানায় এতিমদের খানা বাবদ (সওয়াবের নিয়্যাত ছাড়া) অথবা ইফতার বাবদ গরীব মানুষ অথবা সাধারণ মানুষকে দিতে পারব কিনা??

২. ব্যাংক আমার নিজের মূল টাকা (স্যালারির টাকা) থেকে বেশ কিছু সার্ভিস চার্জ কেটে রাখে। আবার কিছু টাকা সুদও আসে। এখন এই সুদের টাকার সাথে সার্ভিস চার্জ এর কিছু টাকা কাটাকাটি করা যাবে কিনা?? অথবা আমার জন্য কি পরামর্শ??
জাঝাকুমুল্লহু খইরন

1 Answer

0 votes
by (713,720 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবাজনকল্যাণ মূলক কাজে ব্যবহার করবেন(জাদীদ ফেকহি মাসাঈল-৪/৫২) কিংবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
 من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪) 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1900

في الشامية:
والحاصل: أنه إن علم أرباب الأموال وجب رده عليهم، وإلا فإن علم عين الحرام لايحل له ويتصدق به بنية صاحبه''. (5/99،مَطْلَبٌ فِيمَنْ وَرِثَ مَالًا حَرَامًا، ط: سعید)   فقط واللہ اعلم

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
এই টাকাকে এতিমখানায় এতিমদের খানা বাবদ (সওয়াবের নিয়্যাত ছাড়া) অথবা ইফতার বাবদ গরীব মানুষদের দিতে পারবেন। তবে ধনী কাউকে দিতে পারবেন না। 

(২) 
সুদের টাকাকে সার্ভিস চার্জ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।সার্ভিস চার্জ পৃথক এবং সুদ পৃথক জিনিষ। সুদের টাকার একমাত্র রাস্তাই হল সদকাহ করা। সার্ভিস চার্জ যেহেতু বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার বিপরীতে দেয়া হয়, তাই সার্ভিস চার্জ গ্রাহক নিজ পকেট থেকেই দিবে।সুদের টাকা দিয়ে দিবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...