আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
239 views
in সাওম (Fasting) by (20 points)
আস্সালামুআালাইকুম
 হুজুর আমার কিছু প্রশ্ন ছিলো
(১) যদি কেউ সাহরি এর সময় অতিবাহিত হওয়ার পর  অর্থাৎ যদি এমন হয় যে মসজিদে না করে দিয়েছে যে সাহরি এর সময় শেষ তবে কেউ যদি তখন দ্রুত পানি খেয়ে তারপর রোজা রাখে তবে কি তার রোজা হবে? ( সাহরি এর শেষ সময় যদি হয় ৪ঃ৩৬ এবং মসজিদে না করেছে ৪ঃ৩৬ এ তবে ঘড়িতে তখনো ৪ঃ৩৭ বাজে নি তাই পানি পান করেছিলাম)

(২) ফরজ গোসলের মাঝে কথা বললে কি গোসল হয়ে যাবে?নাকি পুনরায়  আদায় করতে হবে?

(৩) ফরজ গোসলের সময় কুলি করে নাকে পানি দেওয়ার পর কিছু সময়  অতিবাহিত হয়ে গেলে বা অন্যমনষ্ক হয়ে গেলে বা যদি নাকে পানি দিতে বেশি সময় নিয়ে ফেললে পরে যথারীতি ফরজ গোসলের বাকি নিয়ম অনুযায়ী গোসল করে নিলে কি গোসল হয়ে যাবে? নাকি পুনরায় করতে হবে?

(৪) কিছুদিন আগে একটা বিষয়  নিয়ে  অনেক কথা হয়েছিল আকাশে চাঁদ  দেখা নিয়ে বিভিন্নজন বিভিন্নরকম কথা বলছিলো তখন আমি যেই শিক্ষিকার  এর কাছে পড়ি তিনি এই বিষয় নিয়ে উনার মায়ের সাথে হাসাহাসে করছিলেন বিষয়টির ভিতর এরকম ছিলে  যে, তিনি বলছিলেন অনেকে ভাবছে এটা ইমাম মাহদি বা এরকম কিছু আমার সঠিক মনে নেই  উনার হাসির কারনে আমি বুঝতেও পারি নি তিনি আসলে ইসলামের কিছু বলছিলেন কিনা আমার এখন মনে হচ্ছে তিনি এরকমই কিছু বলেছিলেন এখন উনার হাসি শুনে আমিও হেসেছিলাম তবে বুঝি নি তিনি এরকম কিছু বলছেন কিনা তিনি হাসছেন দেখে আমারও হাসি পেয়ে গিয়েছিলো এখন এই ঘটনায় হাসার কারনে কি আমার ইমান চলে যাবে?  আমি বুঝি নি উনার কথা তখন স্পষ্ট শুধু উনি চাঁদ নিয়ে কিছু একটা বলছিলেন তবে তাতে হাদিসের কিছু বিষয় ছিলে কিনা আমি জানি না। এটা কি ইসলাম নিয়ে মজা করা হয়ে গেলো?এখন কি আমার পুনরায় ইমান আনতে হবে?
(৫) নামাজের পর যদি দেখি সতরের কিছু অংশ বের হয়ে আছে হয়ত নামাজেও বের হয়ে ছিলো তবে কি নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে?

(৬) যদি কেউ মাঝে মাঝে বিভিন্ন কথার কারনে ভয়ে ভেবে নেয় তার ইমান নেই তবে কি সত্যি সত্যি তার ইমান চলে যাবে? তাকে কি পুনরায় ইমান আনতে হবে?

(৭) সাহরি এর সময় আমার মা ও বোন ভাবে আজান দেওয়া  অবদি সাহরি এর সময় থাকে তবে আমি তাদের বলি যে সাহরি এর সময় আজানের আগেই শেষ হয়ে যায় তবে তারা তেমন গুরুত্ব দেয় না আমার কথাই এক্ষেত্রে কি তাদের রোজা হবে?আমার করনিয় কি হবে তাদের জন্য?

1 Answer

0 votes
by (560,700 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন-

أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَىٰ نِسَائِكُمْ ۚ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ ۗ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَخْتَانُونَ أَنفُسَكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ وَعَفَا عَنكُمْ ۖ فَالْآنَ بَاشِرُوهُنَّ وَابْتَغُوا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَكُمْ ۚ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ۖ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ ۚ وَلَا تُبَاشِرُوهُنَّ وَأَنتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ ۗ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَقْرَبُوهَا ۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ آيَاتِهِ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ

রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যে, তোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরন কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। আর যতক্ষণ তোমরা এতেকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান কর, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেও না। এমনিভাবে বর্ণনা করেন আল্লাহ নিজের আয়াত সমূহ মানুষের জন্য, যাতে তারা বাঁচতে পারে। সূরা বাকারা,১৮৭


★চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডারে সতর্কতামূলক ৩ মিনিট পূর্বে সেহরীর শেষ টাইম লিখে দেয়া থাকে, সুতরাং নিজ ইবাদতকে হেফাজত করার স্বার্থে  সতর্কতামূলক ৩ মিনিট পূর্বেই খাবারদাবার শেষ করা ও উচিৎ ও  জরুরী।তবে যদি সঙ্গত কোনো কারণে দু-তিন মিনিট দেড়ী হয়ে যায়,তাহলেও রোযা হবে।কেননা ৩ মিনিট তো রিজার্ভ রয়েছে।যা প্রয়োজনের মূহুর্তে ব্যবহার করা হবে।কিন্তু ৩ মিনিট থেকে একটি মূহুর্তও আর ক্ষমাযোগ্য হবে না। 


আরো জানুনঃ- 

https://www.ifatwa.info/1959


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি যখন পানি পান করেছিলেন, ঘড়িতে তখনো ৪ঃ৩৭ বাজে নি। 
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত আপনার রোযা হবে।

(০২)
ফরজ গোসলের মাঝে কথা বললেও গোসল হয়ে যাবে।
পুনরায় আদায় করতে হবেনা।

(০৩)
এক্ষেত্রে গোসল হয়ে যাবে।
পুনরায় করতে হবেনা।

(০৪)
এখন আপনার পুনরায় ঈমান আনতে হবেনা।

(০৫)
আপনি আগে নিশ্চিত হোন যে নামাজের মধ্যেও বের হয়েছিলো কিনা?

যদি নামাজের মধ্যেও বের হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে যেই অঙ্গের অংশ বের হয়েছিলো,এটি যদি সেই অঙ্গের এক চতুর্থাংশ থেকে কম হয়,সেক্ষেত্রে নামাজ হবে।

সেই অঙ্গের এক চতুর্থাংশ বা তার চেয়ে বেশি হলে নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।

(০৬)
এক্ষেত্রে সত্যি সত্যি তার ইমান চলে যাবেনা। তাকে পুনরায় ইমান আনতে হবেনা।

(০৭)
আযান যদি সাহরীরে সময় শেষ হওয়ার ৩ মিনিট পরে দেয়া হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে তাদের রোযা হবেনা।

এক্ষেত্রে মূলত আপনাত জেলার স্থায়ী ক্যালেন্ডার দেখবেন যে তারা মূলত সাহরীর সময় শেষ হওয়ার কতক্ষন পর পানি খেয়েছে।
যদি সাহরীরে সময় শেষ হওয়ার ৩ মিনিট এর আগেই পানি খায়,সেক্ষেত্রে তাদের রোযা হবে। 
৩ মিনিট পরে পানি খেলে সেই রোযা পুনরায় আদায় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (20 points)
জাযাকাল্লাহু খাইরন। হুজুর (৪) নং প্রশ্নে উল্লেখিত ঘটনার ফলে আমার শিক্ষিকার কি ইমান চলে গেয়েছে?তিনি হয়ত না বুঝেই বিষয়টি নিয়ে হেসে ফেলেছেন।
by (560,700 points)
আপনার শিক্ষিকার ঈমান চলে যায়নি।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...