(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন-
أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَىٰ نِسَائِكُمْ ۚ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ ۗ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَخْتَانُونَ أَنفُسَكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ وَعَفَا عَنكُمْ ۖ فَالْآنَ بَاشِرُوهُنَّ وَابْتَغُوا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَكُمْ ۚ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ۖ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ ۚ وَلَا تُبَاشِرُوهُنَّ وَأَنتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ ۗ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَقْرَبُوهَا ۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ آيَاتِهِ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ
রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যে, তোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরন কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। আর যতক্ষণ তোমরা এতেকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান কর, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেও না। এমনিভাবে বর্ণনা করেন আল্লাহ নিজের আয়াত সমূহ মানুষের জন্য, যাতে তারা বাঁচতে পারে। সূরা বাকারা,১৮৭
★চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডারে সতর্কতামূলক ৩ মিনিট পূর্বে সেহরীর শেষ টাইম লিখে দেয়া থাকে, সুতরাং নিজ ইবাদতকে হেফাজত করার স্বার্থে সতর্কতামূলক ৩ মিনিট পূর্বেই খাবারদাবার শেষ করা ও উচিৎ ও জরুরী।তবে যদি সঙ্গত কোনো কারণে দু-তিন মিনিট দেড়ী হয়ে যায়,তাহলেও রোযা হবে।কেননা ৩ মিনিট তো রিজার্ভ রয়েছে।যা প্রয়োজনের মূহুর্তে ব্যবহার করা হবে।কিন্তু ৩ মিনিট থেকে একটি মূহুর্তও আর ক্ষমাযোগ্য হবে না।
আরো জানুনঃ-
https://www.ifatwa.info/1959
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি যখন পানি পান করেছিলেন, ঘড়িতে তখনো ৪ঃ৩৭ বাজে নি।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত আপনার রোযা হবে।
(০২)
ফরজ গোসলের মাঝে কথা বললেও গোসল হয়ে যাবে।
পুনরায় আদায় করতে হবেনা।
(০৩)
এক্ষেত্রে গোসল হয়ে যাবে।
পুনরায় করতে হবেনা।
(০৪)
এখন আপনার পুনরায় ঈমান আনতে হবেনা।
(০৫)
আপনি আগে নিশ্চিত হোন যে নামাজের মধ্যেও বের হয়েছিলো কিনা?
যদি নামাজের মধ্যেও বের হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে যেই অঙ্গের অংশ বের হয়েছিলো,এটি যদি সেই অঙ্গের এক চতুর্থাংশ থেকে কম হয়,সেক্ষেত্রে নামাজ হবে।
সেই অঙ্গের এক চতুর্থাংশ বা তার চেয়ে বেশি হলে নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।
(০৬)
এক্ষেত্রে সত্যি সত্যি তার ইমান চলে যাবেনা। তাকে পুনরায় ইমান আনতে হবেনা।
(০৭)
আযান যদি সাহরীরে সময় শেষ হওয়ার ৩ মিনিট পরে দেয়া হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে তাদের রোযা হবেনা।
এক্ষেত্রে মূলত আপনাত জেলার স্থায়ী ক্যালেন্ডার দেখবেন যে তারা মূলত সাহরীর সময় শেষ হওয়ার কতক্ষন পর পানি খেয়েছে।
যদি সাহরীরে সময় শেষ হওয়ার ৩ মিনিট এর আগেই পানি খায়,সেক্ষেত্রে তাদের রোযা হবে।
৩ মিনিট পরে পানি খেলে সেই রোযা পুনরায় আদায় করতে হবে।