আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
144 views
in পবিত্রতা (Purity) by (23 points)
edited by

জনাব, আরেকটা জরুরি জিজ্ঞাসা। দয়া করে জানাবেন। 

 

আমি জেনেছি, "শরীরের কোথাও নাপাকি লাগলে তা ধোয়ার সময় পানি ছিটে গায়ের বিভিন্ন জায়গায় লাগে। এক্ষেত্রে এই ছিটার পরিমাণ যদি এক দিরহাম অপেক্ষা কম হয়,তবে তা পাক হিসেবে ধর্তব্য হবে। উক্ত শরীর নিয়ে নামায পড়া যাবে। "

 

কিন্তু, 

 

নাপাকির পরিমাণ যদি এক দিরহামের কম পরিমাণ হয়

এবং ওই নাপাকি ধোয়ার সময় যদি শরীরের অন্য কোনো অংশে নাপাকি ধোয়ার ওই পানি লাগে

তারপর শরীরের ওই অংশ (নাপাকি ধোয়ার পানি যেখানে লেগেছে) ধোয়ার সময় যদি সেই পানির ছিটা বালতিতে পরে

 সেক্ষেত্রে কী বালতির পানি নাপাক হবে?

 

আরেকটা প্রশ্ন হচ্ছে, ওযু করার সময় যদি নাপাক কিছুর স্পর্শ লাগে, সেক্ষেত্রে কি ওযু সম্পন্ন হয়?

 

*ভীষণ সন্দেহে আছি জনাব। জানাবেন দয়া করে.. দুঃখিত পুনরায় জিজ্ঞেস করার জন্যে

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
edited by
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم (سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}

আসলে মাসয়ালাটি হলোঃ-
"শরীরের কোথাও নাপাকি লাগলে তা ধোয়ার সময় পানি ছিটে গায়ের বিভিন্ন জায়গায় লাগে। এক্ষেত্রে এই ছিটার পরিমাণ যদি এক দিরহাম অপেক্ষা কম হয়,তবে তা মাফ বলে গন্য হবে। উক্ত শরীর নিয়ে নামায পড়া যাবে। "

বিস্তারিত জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!  
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বালতির পানি নাপাক হবে। 

(০২)
অযু করার সময় যদি নাপাক কিছুর স্পর্শ লাগে, সেক্ষেত্রে অযু সম্পন্ন হয়।
কেননা এক্ষেত্রে অযু ভঙ্গকারী কিছুই পাওয়া যায়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 159 views
...