ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
রোজা অবস্থায় তেল মালিশ করলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রাযি. থেকে বর্ণিত-
ذكر عنده الوضوء من الطعام، قال الأعمش مرة والحجامة للصائم، فقال : إنما الوضوء مما يخرج وليس مما يدخل، وإنما الفطر مما دخل وليس مما خرج.
শরীর থেকে (কোনো কিছু) বের হলে অযু করতে হয়, প্রবেশ করলে নয়। পক্ষান্তরে রোযা এর উল্টো। রোযার ক্ষেত্রে (কোনো কিছু শরীরে) প্রবেশ করলে রোযা ভেঙ্গে যায়, বের হলে নয়। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪০২)
ইবনু আব্বাস (রা.) বলেন:
‘কোন কিছু প্রবেশের দ্বারা রোজা ভঙ্গ হয়। বের হওয়ার দ্বারা রোজা ভঙ্গ হয় না।’ [সহিহ বুখারি, ১/২৬০, (তালীক)] মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদিস: ৭৯১২।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
রোজা রাখা অবস্থায় যদি দাড়ি বাড়ানোর জন্য গালেতে আয়ুর্বেদিক তৈল ব্যাবহার করা হয় তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবেনা।
দাড়ি বাড়ানোর জন্য আয়ুর্বেদিক তৈল ব্যাবহার করা জায়েজ হবে।
(০২)
রোজা রাখা অবস্থায় কোনো মহিলা যদি স্তনের সাইজ বাড়ানোর জন্য আয়ুর্বেদিক তৈল স্তনের উপর ব্যাবহার করে তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবেনা।
স্বামীকে সন্তুষ্ট করার নিয়তে বা অন্য কোনো বৈধ নিয়তে স্তনের সাইজ বাড়ানোর জন্য আয়ুর্বেদিক তৈল ব্যাবহার করা জায়েজ হবে।
তবে শর্ত হলো এতে শারীরিক কোনো ক্ষতি না হওয়া।
(০৩)
না,এক্ষেত্রে ফরজ গোসল করতে হবেনা।