আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
144 views
in সাওম (Fasting) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর আমার 3 টে প্রশ্ন ছিলো,,,

1) রোজা রাখা অবস্থায় যদি দাড়ি বাড়ানোর জন্য গালেতে আয়ুর্বেদিক তেল ব্যাবহার করা হয় তাহলে রোজা ভেঙে যাবে কী ? আর দাড়ি বাড়ানোর জন্য আয়ুর্বেদিক তেল ব্যাবহার করা জায়েজ হবে কী?

2) রোজা রাখা অবস্থায় কোনো মহিলা যদি স্তনের সাইজ বাড়ানোর জন্য আয়ুর্বেদিক তেল স্তনের উপর ব্যাবহার করে তাহলে রোজা ভেঙে যাবে কী? আর স্তনের সাইজ বাড়ানোর জন্য আয়ুর্বেদিক তেল ব্যাবহার করা জায়েজ হবে কী?

 3) দাড়ি বাড়ানোর জন্য ও স্তনের সাইজ বাড়ানোর জন্য আয়ুর্বেদিক তেল ব্যাবহার করার পর ফরয গোসল করতে হবে নাকি??

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


রোজা অবস্থায় তেল মালিশ করলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রাযি. থেকে বর্ণিত-

ذكر عنده الوضوء من الطعام، قال الأعمش مرة والحجامة للصائم، فقال : إنما الوضوء مما يخرج وليس مما يدخل، وإنما الفطر مما دخل وليس مما خرج.


শরীর থেকে (কোনো কিছু) বের হলে অযু করতে হয়, প্রবেশ করলে নয়। পক্ষান্তরে রোযা এর উল্টো। রোযার ক্ষেত্রে (কোনো কিছু শরীরে) প্রবেশ করলে রোযা ভেঙ্গে যায়, বের হলে নয়। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪০২)

ইবনু আব্বাস (রা.) বলেন:
‘কোন কিছু প্রবেশের দ্বারা রোজা ভঙ্গ হয়। বের হওয়ার দ্বারা রোজা ভঙ্গ হয় না।’ [সহিহ বুখারি, ১/২৬০, (তালীক)] মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদিস: ৭৯১২।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
রোজা রাখা অবস্থায় যদি দাড়ি বাড়ানোর জন্য গালেতে আয়ুর্বেদিক তৈল ব্যাবহার করা হয় তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবেনা।
দাড়ি বাড়ানোর জন্য আয়ুর্বেদিক তৈল ব্যাবহার করা জায়েজ হবে।

(০২)
রোজা রাখা অবস্থায় কোনো মহিলা যদি স্তনের সাইজ বাড়ানোর জন্য আয়ুর্বেদিক তৈল স্তনের উপর ব্যাবহার করে তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবেনা।
স্বামীকে সন্তুষ্ট করার নিয়তে বা অন্য কোনো বৈধ নিয়তে স্তনের সাইজ বাড়ানোর জন্য আয়ুর্বেদিক তৈল ব্যাবহার করা জায়েজ হবে। 
তবে শর্ত হলো এতে শারীরিক কোনো ক্ষতি না হওয়া।

(০৩)
না,এক্ষেত্রে ফরজ গোসল করতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...