আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
233 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (32 points)
আসসালামু আ'লাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
মার্চের ৬ তারিখ হায়েজ শুরু হয়ে মার্চের ১৪ তারিখ পবিত্র হই।কিন্তু এই মাসেরই আবার ২৪ তারিখ গোসল এর পর ব্লাড দেখা যায়,এরকম পর পর ৩ দিন শুধুমাত্র গোসলের পর ব্লাড দেখতেছি।যেহেতু এক হায়েজ থেকে আরেক হায়েজ এর মধ্যবর্তি সময় ১৫ দিন।কিন্তু এখানে আমার ১০ দিন হয়েছে এরমধ্যেই আবার ব্লাড দেখলাম তারমানে তো এটা ইস্তিহাযা তাইনা?
এখন আমার প্রশ্ন হলো:
১: পর পর ৪ দিনই আমি গোসলের পর হালকা ব্লাড দেখতেছি এরপর আর তেমন দেখা যায়না এরকম কতো দিন হবে তাও আমি জানিনা এমতাবস্থায় আমি আমার সালাত,সিয়াম,তিলাওয়াত কনটিনিউ রেখেছি,এটা কি ঠিকআছে?
২: ইস্তিহাযা থেকে পবিত্র হওয়ার কি কোন নিয়ম আছে যেভাবে হায়েজ থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য আমরা ফরজ গোসল করি?
৩: এটা যদি ইস্তিহাযা হয়ে থাকে তাহলে আমার আবার যখন পিরিয়ড হবে আমি বুঝবো কিভাবে?আমি বলতে চাচ্ছি ইস্তিহাযা শেষ হয়ে যাওয়ার পর কয়দিন গ্যাপ গেলে আমি আবার সেটাকে হায়েজ হিসেবে ধরবো?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض)
সারমর্মঃ দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে   
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
এটি যেহেতু ইস্তেহাই,তাই এমতাবস্থায় আপনি যে সালাত,সিয়াম,তিলাওয়াত কনটিনিউ রেখেছেন,এটা ঠিক আছে।

(০২)
আপনি পবিত্র শরীর ও পবিত্র কাপড়ে নামাহ আদায় করবেন,তার মানে নামাজের আগ দিয়ে উক্ত স্থান পাক করবেন।
কোনো গোসল করতে হবেনা।

(০৩)
১৫ দিন গ্যাপ যাওয়ার পর অর্থাৎ ৩০ শে মার্চ বা তার পরে ব্লাড আসলে (এবং তাহা কমপক্ষে তিনদিন তিন রাত হলে) সেটিকে পিরিয়ড হিসেবে ধরবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...