ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যেহেতু সে রমজানকে অস্বীকার করছে না, তাই তার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।তবে তার ঈমান যে দুর্বল, সেটা অনায়াসেই বুঝা যচ্ছে।
(২)
আপনার বিবরণমতে রোযার কোনো ক্ষতি হবে না।
(৩)
যদি রোযার কথা মনে না থাকে, এবং পায়ুপথে পানি ঢুকিয়ে দেয়,সে বিষয়ে সে নিশ্চিত থাকে, তাহলে যেহেতু তার রোযার কথা স্বরণে নেই, তাই তার রোযা ফাসিদ হবে না।
(৪)
অসুস্থতার মারাত্মক আকার ধারণ করলে রোযা ভঙ্গের অনুমোদন রয়েছে, প্রশ্নে বর্ণিত ব্যক্তির জন্য রোযা ভঙ্গ করার অনুমোদন রয়েছে, সুতরাং ঐ ব্যক্তিকে রোযা না রাখার কথা বলার কারণে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
(৫)
যিনি লিখছেন, উনার উদ্দেশ্য যদি হয়, রোযা বা ইফতারকে কটাক্ষ করা, তাহলে ঈমান থাকবে না।এবং যিনি হাসছেন, উনারও উদ্দেশ্য যদি হয়, রোযা বা ইফতারকে কটাক্ষ করা, তাহলে উনারও ঈমান থাকবে না। তবে কটাক্ষ করা উদ্দেশ্য না হলে, অবশ্যই রুখসত থাকবে।
(৬)
যদি ইসলামকে কটাক্ষ করা উদ্দেশ্য না হয়, তাহলে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
(৭)
তালাকের অনুমতি আছে এমন মেয়ে যদি তার স্বামীকে বলে" তালা★, তালা*,তালা* " তবে কি তালা* হবে না।বরং নিজের দিকে তালাককে নিসবত করতে হবে।
(৮)
এতেকরে কুফর হবে না।
(৯)
কেউ যদি বলে "তোমাকে আমার কসম দিলাম এটা করো না" এতেকরে সে কাফের হবে না।
(১০)
"হে নবী(সা:) আমাদের দেখা দিন/দিদার দিন" এই কথা বলা সঠিক নয়।কেননা নবী কখনো দিদার দিবেন না।দেখা দিবেন না।