আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
201 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (61 points)
১. কেও যদি বলে, সব বছর রমজান আসলে আনন্দ লাগে, কেনো জানি এই বছর রমজান আসায় ভালো লাগছে না/ রমজান আসায় রাগ লাগছে/ রমজান আসায় বিরক্ত লাগছে.
এরকম বললে কি সে কাফের হয়ে যাবে?
(রোজা রাখবে সেই নিয়ত ও আছে, ফরজ হিসাবেও মানছে, মূলত সে ওই দিন তার স্ত্রীর সাথে সময় কাটাতে না পারায় এমন এক্টা কথা বলেছিলো)

২. ঢেকুর আসার ফলে মনে হচ্ছে গলার ওই উপরি ভাবে তরল জাতীয় কিছু চলে আসে, পুরোপুরি মুখে এসেছিলো এমন টা মনে পরছে না। পরে তা আবার পেটে চলে যায়,যতো টুক মনে হচ্ছে অটোমেটিক নিচে চলে গেছে আবার, নিজ থেকে নিচে নিয়েছি বলে মনে হচ্ছে না। *আমার কি রোজা কজা করতে হবে?*
৩. বাথরুমের পরে পরিষ্কার হওয়ার সময় আমার পানি দিয়ে চাপ দেওয়ার অভ্যাস যাতে পায়ুপথ দিয়ে পানি ভিতরে গেছে এমনটা মনে হয়। রোজারত অবস্থায় যদি খেয়ালে থাকে না যে আমি রোজা আছি, তখন এই ভাবে পরিষ্কার হওয়ার পরে রোজার কথা মনে হলে, *তা কি কাজা করতে হবে?*
৪. একজন মানুষ কিছু অসুস্থ খেলেই বমি করছেন, তাই তার ঘরের মানুষেরা তাকে রোজা রাখতে না করেছেন।
রোজা রাখতে না করায় কি তাদের কুফর হয়েছে?

৫. একজন একটি ছবি পোস্ট করলো যাতে ক্যাপশনে লেখা, আলহামদুলিল্লাহ। ছবিটি মুলত ছিলো একজন ইফতার খেতে খেতে উল্টে পরে শুয়ে আছে। কোনো মানুষকে একজন ছবিটি দেখালো, আর আলহামদুলিল্লাহ বলে হাসতে থাকলো। এটা দেখে ওই লোক প্রথমে মনে করেছে বিড়ালের ছবি তাই সেও হাসতেছিলো। এবং পরে দেখে মানুষের ই ছবি ইফতার খেয়ে উল্টে আছে। *এই হাসার ফলে কি কুফরী হবে?* যেহেতু আলহামদুলিল্লাহ লিখা ছিলো পোস্টে।

৬. কেও যদি পোস্ট করে,সে হয়তো ছুটি চায়, ক্লাস করতে চায় না, তাই পোস্ট করে   "রমজান মাসে পরনারীদের সাথে কিভাবে ক্লাস করবো?" এটা দেখে সবাই হাহা রিয়েক্ট দিচ্ছিলো,সবাই হয়তো ভাবছিলো সে ক্লাস করতে না চাওয়ায় এই ধরনের পোস্ট দিচ্ছে।
*আর এই পোস্ট দেখে কারো যদি হাসি উঠে যায় তবে কি তার কুফর হবে?*
৭. তালাকের অনুমতি আছে এমন মেয়ে যদি  তার স্বামীকে বলে" তালা★, তালা*,তালা* " তবে কি তালা* হবে? না কি নারী তার নিজের দিকে নিসবত না করায় তা পতিত হবে না।

৮. কেও যদি মনে মনে ভাবে রোজা রেখে স্ত্রী সহবাস করবো আমি পাগল না কি? সো জানতো হাদীসে আছে, এক সাহাবী এমনটা করে ফেলেছিলেন, তখন তার মনে পরে, তাহলে ওই সাহাবীকে কি সো পাগল বলে ফেললো? ওই সাহাবীওতো এমন করেছিলেন। *এতে করে কি সাহাবী সম্পর্কে বিরুপ ধারনা পোষন বুঝায় এতে কি তার কুফর হবে?*

৯. কেও যদি বলে "তোমাকে আমার কসম দিলাম এটা করো না" এতে কি সে কাফের হয়ে যাবে?

১০. "হে নবী(সা:) আমাদের দেখা দিন/দিদার দিন" বিভিন্ন সময়ে এই কথা বলতে শোনা যায় অনেককেই।
এভাবে কি বলতে সমস্যা আছে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যেহেতু সে রমজানকে অস্বীকার করছে না, তাই তার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।তবে তার ঈমান যে দুর্বল, সেটা অনায়াসেই বুঝা যচ্ছে।

(২)
আপনার বিবরণমতে রোযার কোনো ক্ষতি হবে না।

(৩)
যদি রোযার কথা মনে না থাকে, এবং পায়ুপথে পানি ঢুকিয়ে দেয়,সে বিষয়ে সে নিশ্চিত থাকে, তাহলে যেহেতু তার রোযার কথা স্বরণে নেই, তাই তার রোযা ফাসিদ হবে না।

(৪)
অসুস্থতার মারাত্মক আকার ধারণ করলে রোযা ভঙ্গের অনুমোদন রয়েছে, প্রশ্নে বর্ণিত ব্যক্তির জন্য রোযা ভঙ্গ করার অনুমোদন রয়েছে, সুতরাং ঐ ব্যক্তিকে রোযা না রাখার কথা বলার কারণে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।


(৫)
যিনি লিখছেন, উনার উদ্দেশ্য যদি হয়, রোযা বা ইফতারকে কটাক্ষ করা, তাহলে ঈমান থাকবে না।এবং যিনি হাসছেন, উনারও উদ্দেশ্য যদি হয়, রোযা বা ইফতারকে কটাক্ষ করা, তাহলে উনারও ঈমান থাকবে না। তবে কটাক্ষ করা উদ্দেশ্য না হলে, অবশ্যই রুখসত থাকবে।

(৬)
যদি ইসলামকে কটাক্ষ করা উদ্দেশ্য না হয়, তাহলে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(৭)
তালাকের অনুমতি আছে এমন মেয়ে যদি  তার স্বামীকে বলে" তালা★, তালা*,তালা* " তবে কি তালা* হবে না।বরং নিজের দিকে তালাককে নিসবত করতে হবে।

(৮)
এতেকরে কুফর হবে না।

(৯)
কেউ যদি বলে "তোমাকে আমার কসম দিলাম এটা করো না" এতেকরে সে কাফের হবে না।

(১০)
 "হে নবী(সা:) আমাদের দেখা দিন/দিদার দিন" এই কথা বলা সঠিক নয়।কেননা নবী কখনো দিদার দিবেন না।দেখা দিবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 175 views
...