ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) ঘর সাজানোর জন্য বিভিন্ন ওয়ালমেট, লাইট বা মোমবাতি সাজানো যাবে৷ বাচ্চারা খুশি হয় + নিজের ভালো লাগে এজন্যই। তবে অতিরিক্ত সাজসজ্জা অনুচিৎ।
(২) অদৃশমান নাজাসত যদি কাপড়ে লাগে, তাহলে তিনবার অবশ্যই চিপে ধৌত করতে হবে।নতুবা কাপড় পবিত্র হবে না।
(৩) নিজের ব্যক্তিগত ডায়েরিতে অন্যের প্রতি থাকা কষ্ট গুলো লেখা যাবে।এগুলো সাধারণত গিবতের আওতাভুক্ত হবে না।তবে এভাবে লিখার চেয়ে ক্ষমা করে দেয়াই উচিৎ।
(৪) যদি ফটো না থাকে,তাহলে সেই সব কার্ড দ্বারা ঘরে বসে খেলা করা যাবে, ক্যারাম অথবা এই জাতীয় খেলাধুলা করা যাবে। শর্ত হল, নামাযের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।
(৫) আমি একজন মানুষকে চিনি না। অন্য কেউ সেই অচেনা মানুষের কাছ থেকে পাওয়া কিছু কষ্ট আমার কাছে বর্ণনা করল। অর্থাৎ, নিজের কষ্টটা আমার সাথে শেয়ার করল।আমি মানুষটাকে চিনি না।
তাহলে এটা গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবেনা।
(৬) যারা পাক - নাপাক বুঝে না, তাদের হাতে আপনি নিজের কাপড় দিবেন না। তাদের দ্বারা নিজের কাপড় ধৌত করাবেন না। তাছাড়া একটু সতর্কতা অবলম্বন করবেন। তাদের ব্যাপারে ছাড় দেয়ার চেষ্টা করবেন।
(৭) বলা হয়েছে, আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাঁকেই হেদায়েতের পথ দেখান। যাকে আমল করার তাওফীক দেন সে ই আমল করতে পারে৷ এখন, আল্লাহ তাওফীক না দেয়ার কারণে বা আল্লাহ কল্যাণ না চাইলে যদি কেউ হেদায়েত না পায়, তবু কি তাঁকে পরকালে শাস্তি দেয়া হবে?
কারণ, আল্লাহ না চাইলে তো কেউ কিছু করতে পারে না।
এই প্রশ্নের জবাব হল,
.আল্লাহ তা'আলার বাণী,
إِنَّ اللَّهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّىٰ يُغَيِّرُوا مَا بِأَنفُسِهِمْ ۗ وَإِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِقَوْمٍ سُوءًا فَلَا مَرَدَّ لَهُ ۚ وَمَا لَهُم مِّن دُونِهِ مِن وَالٍ
আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। আল্লাহ যখন কোন জাতির উপর বিপদ চান, তখন তা রদ হওয়ার নয় এবং তিনি ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।(সূরা রা'দ-১১)
অর্থাৎ নিজের মধ্যে প্রথমে উদ্যোগ গ্রহণের মনমানসিকতা নিয়ে আসতে হবে, তবেই আল্লাহ তা'আলা তাতে কামিয়াবি দান করবেন।