আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
204 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (50 points)
edited by
১) ঘর সাজানোর জন্য বিভিন্ন ওয়ালমেট, লাইট বা মোমবাতি সাজানো যাবে কি না৷ বাচ্চারা খুশি হয় + নিজের ভালো লাগে এজন্যই।
২) কাপড়ের সাবান ছুটালেই পাক হবে কি না? নাকি তিনবার অবশ্যই চিপে নিতে  হবে?
৩) নিজের ব্যক্তিগত ডায়েরিতে অন্যের প্রতি থাকা কষ্ট গুলো লেখা যাবে কিনা?  যেগুলো কে গিবত বলে।
৪)  ঘরে বসে কার্ড খেলা( জুয়া না)   বা কুইজ খেলা,  ক্যারাম অথবা এই জাতীয় খেলাধুলা করা যাবে কি না।  শুধুমাত্র কিছু সময়ের জন্য একটু বিনোদনের জন্য।  এসব যদি জায়েয না হয় তবে বিনোদনের জন্য কি করা যেতে পারে?
৫) আমি একজন মানুষকে চিনি না।  অন্য কেউ সেই অচেনা মানুষের কাছ থেকে পাওয়া কিছু কষ্ট আমার কাছে বর্ণনা করল। অর্থাৎ,  নিজের কষ্টটা আমার সাথে শেয়ার করল।
আমি মানুষটাকে চিনি না।  তারপরও কি এটা গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবে? গীবতের মূল সংজ্ঞাটা আসলে কি?
৬)   যারা পাক - নাপাক বুঝে না তাদের সাথে বসবাসের ক্ষেত্রে কেমন হিকমাহ অবলম্বন করা উচিত? যেহেতু তারা বুঝে না তাই প্রায় সবখানেই বিভিন্নভাবে নাপাকী ছড়ায় যার কারণে অনেক অস্বস্তি বোধ হয়। আবার,  বারবার এটা নাপাক ওটা নাপাক বলতে থাকলেও তারা বিরক্ত হয়৷
মেহেরবানি করে একটু বুঝিয়ে বললে ভালো হবে যে যারা বুঝে না তাদের ক্ষেত্রে কেমন ছাড় দেয়া যাবে?
৭) বলা হয়েছে,  আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাঁকেই হেদায়েতের পথ দেখান।  যাকে আমল করার তাওফীক দেন সে ই আমল করতে পারে৷ এখন,  আল্লাহ তাওফীক না দেয়ার কারণে বা আল্লাহ কল্যাণ না চাইলে যদি কেউ হেদায়েত না পায়,  তবু কি তাঁকে পরকালে শাস্তি দেয়া হবে?
কারণ,  আল্লাহ না চাইলে তো কেউ কিছু করতে পারে না।


৮) ধুলিমলিন উপহার রমাদান নামক বই থেকে জানতে পেরেছি,  হায়েয অবস্থায় কুরআন পড়া যাবে না এই বিষয়ে কোনো স্পষ্ট হাদিস নেই। তাই,  হায়েয অবস্থায় কুরআন পড়া হারাম নয়। এই কথাটা কি সঠিক?
৯) আর রাহীকুল মাখতুম বইটি সীরাতের নির্ভরযোগ্য কিতাব হিসেবে ধরা যাবে?  এবং কোন প্রকাশনীরটা পড়লে ভালো হবে?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) ঘর সাজানোর জন্য বিভিন্ন ওয়ালমেট, লাইট বা মোমবাতি সাজানো যাবে৷ বাচ্চারা খুশি হয় + নিজের ভালো লাগে এজন্যই। তবে অতিরিক্ত সাজসজ্জা অনুচিৎ। 

(২) অদৃশমান নাজাসত যদি কাপড়ে লাগে, তাহলে তিনবার অবশ্যই চিপে ধৌত করতে হবে।নতুবা কাপড় পবিত্র হবে না।

(৩) নিজের ব্যক্তিগত ডায়েরিতে অন্যের প্রতি থাকা কষ্ট গুলো লেখা যাবে।এগুলো সাধারণত গিবতের আওতাভুক্ত হবে না।তবে এভাবে লিখার চেয়ে ক্ষমা করে দেয়াই উচিৎ। 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1707

(৪) যদি ফটো না থাকে,তাহলে সেই সব কার্ড দ্বারা ঘরে বসে খেলা করা যাবে, ক্যারাম অথবা এই জাতীয় খেলাধুলা করা যাবে। শর্ত হল, নামাযের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/673


(৫) আমি একজন মানুষকে চিনি না।  অন্য কেউ সেই অচেনা মানুষের কাছ থেকে পাওয়া কিছু কষ্ট আমার কাছে বর্ণনা করল। অর্থাৎ,  নিজের কষ্টটা আমার সাথে শেয়ার করল।আমি মানুষটাকে চিনি না।  

তাহলে এটা গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবেনা।

(৬)   যারা পাক - নাপাক বুঝে না, তাদের হাতে আপনি নিজের কাপড় দিবেন না। তাদের দ্বারা নিজের কাপড় ধৌত করাবেন না। তাছাড়া একটু সতর্কতা অবলম্বন করবেন। তাদের ব্যাপারে ছাড় দেয়ার চেষ্টা করবেন।


(৭) বলা হয়েছে,  আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাঁকেই হেদায়েতের পথ দেখান।  যাকে আমল করার তাওফীক দেন সে ই আমল করতে পারে৷ এখন,  আল্লাহ তাওফীক না দেয়ার কারণে বা আল্লাহ কল্যাণ না চাইলে যদি কেউ হেদায়েত না পায়,  তবু কি তাঁকে পরকালে শাস্তি দেয়া হবে?
কারণ,  আল্লাহ না চাইলে তো কেউ কিছু করতে পারে না।

এই প্রশ্নের জবাব হল,
.আল্লাহ তা'আলার বাণী, 
إِنَّ اللَّهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّىٰ يُغَيِّرُوا مَا بِأَنفُسِهِمْ ۗ وَإِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِقَوْمٍ سُوءًا فَلَا مَرَدَّ لَهُ ۚ وَمَا لَهُم مِّن دُونِهِ مِن وَالٍ
আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। আল্লাহ যখন কোন জাতির উপর বিপদ চান, তখন তা রদ হওয়ার নয় এবং তিনি ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।(সূরা রা'দ-১১)

অর্থাৎ নিজের মধ্যে প্রথমে উদ্যোগ গ্রহণের মনমানসিকতা নিয়ে আসতে হবে, তবেই আল্লাহ তা'আলা তাতে কামিয়াবি দান করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...