আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
262 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম হুজুর, লেখা টা বড়ো দুঃখিত তার জন্য
আমি একজন ভীষণ ওয়াসওয়াসা ও মানসিক রুগী।
আমি আপনাদের এইখানে অনেক প্রশ্ন করেছি এবং আপনারা আমাকে মাসায়েল এর উত্তর দিয়ে সাহায্য করেছেন।
হুজুর আমার বিষয় টা হলো আমি খুবই ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত রুগী। অনেক পুরানো পুরানো কথা মনে পড়ে ১০ বছর বা ৪ -৫ বছর এর আগের কথা ইত্যাদি মনে পড়ে দিয়ে ভয় হয়।সেই নিয়ে ভীষণ মানসিক রুগি ও চিন্তিত হয়ে জাই। যাইহোক হুজুর আসল বিষয় হলো ,
২-৩ বছর আগে একটা ফেস বুক এ ভিডিও দেখেছিলাম যেখানে নামাজ খুব ভুল ভাবে পড়ছিল কিছু ছেলে, যাকে বলে একদম দেয়াদবি ভাবে নামাজ কে নিয়ে তাচ্ছিল্য করছিল।
আমি সেই ভিডিওটা আমার কিছু বন্ধু দের কে দেখিয়ে বলছিলাম কি অসভ্য মানুষ এই গুলো ।
আর একদিন কিছু বন্ধু দের কে বলছিলাম ফেস বুক এ একটা ভিডিও দেখেছিলাম কিছু অসভ্য ছেলে নামাজ কে খুব জোরে জোরে আর উল্টো পাল্টা ভাবে পড়ছিল , আর বলছিলাম তাদের কি আল্লাহ কে একটুও ভয় হয়না কি সব ভন্ডামি করছে।
দিয়ে আমার বন্ধু বলছিলো কি ভাবে নামাজ পড়ছিল ,
দিয়ে আমি মনে হয় তাদের নামাজ পড়া নিয়ে যে নোংরামী করেছিলো আমি আমার বন্ধু দের কে বোঝানোর জন্য আমি কিছু টা তাদের অঙ্গ ভঙ্গি করে দেখিয়ে ছিলাম ।

 ( আমার কিন্তু মনে পড়ছে না যে আমি দেখিয়েছিলাম আমার ওয়াসওয়াসা র জন্য আর রোগের জন্য মনে হচ্ছে হয়ত আমি দেখিয়ে ছিলাম )
হুজুর যদিও আমি আমার বন্ধু দের কে বোঝানোর জন্য কিছু টা অঙ্গভঙ্গি করে দেখিয়ে থাকি , সেটা শুধুমাত্র সেই ছেলেগুলো যে ভন্ডামি করছিল সেটা বোঝানোর জন্য । আল্লাহ কসম হুজুর , আমি নামাজ নিয়ে কোনো ঠাট্টা বা তামাশা করিনি, আমি কোনো নামাজ ই পড়িনি এমনি দেখিয়েছিলাম।
আর আমি এই রকম নামাজ নিয়ে তাচ্ছিল্য করতে পারিনা । রমজান মাস এ আল্লাহ কসম করে বলছি আমি তাচ্ছিল্য বা তামাশা বা ঠাট্টা করিনি। আমি এই টা ই বোঝাতে চেয়েছিলাম অসভ্য গুলি কিভাবে নামাজ কে তাচ্ছিল্য করছিল ।
আল্লাহ কসম হুজুর আমি আমার বন্ধুদের বোঝানোর জন্য কিছুটা অঙ্গভঙ্গি দিতে বুঝিয়েছি। কিন্তু মন থেকে অন্তর থেকে কখনো নামাজ নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করিনি।

১. হুজুর আমার মনে হচ্ছে আমি বোঝানোর জন্য অঙ্গভঙ্গি করেদেখিয়ে ছিলাম কিন্তু মনে পড়ছে না। আবার মনে হচ্ছে আমি দেখাই নি। শুধুমাত্র বলেছি ।
আল্লাহ কসম আমি কোনো ঠাট্টা তামাশা করিনি । হুজুর আমার মনেও পড়ছে না আর করলেও বোঝানোর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বুঝিয়েছি । হুজুর আমার রোগের জন্য এমন মনে হয় । অনেক অনেক পুরনো কথা নিয়ে সন্দেহ হতে থাকে হুজুর আমি করেছি কি মনে নেই , আর যদি করে থাকি অঙ্গ ভঙ্গি করে বোঝানোর জন্য যদি করে থাকি মন থেকে ঘৃনা করে বন্ধু দের কে বোঝানোর জন্য ই কি রকম ভন্ডামি করছিল সেইটা বোঝানোর জন্য। হুজুর এর জন্য কি আমার ঈমান চলে যাবে ??

খুবই ভয় হচ্ছে হুজুর ঈমান চলে গেলে বাঁচবো না । শেষ হয়ে যাবো হুজুর । আমার মনে পড়ছে না আমি সেইরকম করেছি কি না । আর করলে ও আল্লাহ কসম বন্ধুদের বোঝানোর জন্য একটু ভঙ্গিমা টা দেখিয়েছিলাম। আল্লাহ কসম , আমি কোনো তামাশা, বা ঠাট্টা করিনি হুজুর। হুজুর ঈমান চলে গেলে বাঁচবো না।
১.১. নতুন বিয়ে করেছি এইগুলো বিয়ের আগের ঘটনা। হুজুর আমার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো?

২. হুজুর কেউ এমন বাজে শিরক কথা বললো সেটা শোনার পর সঙ্গে সঙ্গে আস্তাগিরুল্লাহ পড়লাম ।
পরবর্তী তে যদি সেই ঘটনা কাউকে এমনি বলা "জাই বা একটু হেসে বলে, দেখ এই রকম ও মানুষ কথা বলে কি আর বলা যাবে। কত বড় শিরক কথা বলেছে"
এই রকম ভাবে ঘটনা টা বললে কি ঈমান চলে যাবে ??

৩. একদিন একটা ঘটনা শুনলাম এক বন্ধু বলছিলো ,

মাদরাসায় সবাই পড়ছিল হটাৎ মাদ্রাসার হুজুর কোথায় গিয়েছে , ছাত্ররা সবাই চিৎকার করছিল, দিয়ে একজন বলছে বেশি চিৎকার করিস না হুজুর এসে চুদবে। ( আস্তাফিরুল্লাহ) এই ঘটনা শোনার পর যদি হাসি পাই ঈমান চলে যাবে ইসলামের কোনো জিনিস কে ছোট করে হাসিনাই, তাদের ঘটনা শুনে হেসেছি?

বা ছাত্রদের এই ঘটনা যদি কাও কে হেসে ঘটনা টা বলা হয় ঈমান চলের যাবে হুজুর ইসলামের কোনো জিনিস কে ছোটো করি নি আল্লাহ কসম ??
৪. ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে যদি কেউ শিরক বা কুফরী কিছু করে বা দেখে তাহলে কি ঈমান চলে যাবে??

৫. স্বামী স্ত্রীর সহবাস এর কিছু কথা আরেক স্বামী স্ত্রীর সঙ্গে সামান্য আলোচনা করলে কি ঈমান চলে যায়?

৬. ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে হিন্দু দের ধর্মের কিছু দেখলে কি ঈমান চলে যায়?

৭. আমার বয়স যখন ১২ কি ১৩ হবে , তখন আমার দাদী একটা পীর হুজুর এর কাছে যেত  । আমি কিন্তু কোনো দিন ও কোনো পীর ধরিনি। । আমি তখন ছোট ছিলাম আমাকে ও নিয়ে গিয়েছিল। দিয়ে দাদীরা ওই পীরের পা ধরে ছিল। দুয়া নেওয়ার জন্য আমাকে ও কাছে যেতে বলে , আমিও পা এ হাত দিয়ে ছুঁয়ে ছিলাম । এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?? আমি আল্লাহ বিশ্বাসী। দাদীর কথা শুনে শুধু হালকা করে পা এ হাত দিয়েছিলাম আর কিছুনা। আমি আল্লাহর সাতে কোনো শিরিক করিনি । বা তার কাছে কিছু চাইনি। হুজুর খুব ছোট ছিলাম ভয় হচ্ছে এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?  খুবই ছোট ছিলাম হুজুর তখন। আমি কোথাও সেজদা করিনি । আমি আল্লাহর সাতে কারো তুলনা করিনি । হুজুর আমার কি ঈমান চলে যাবে??
আবার মনে হয় হাত এ না পায়ে চুমু দিয়েছি কিন্তু মনে পড়েনা ।আল্লাহ কসম ওয়াসওয়াসা র জন্য মনে হচ্ছে কিন্তু মনে পড়ছে। না। না জেনে না বুঝে হয়েছে বয়স খুব ছোট্ট । হুজুর আমি সেজদা করিনি আল্লাহ কসম । আমার বয়স খুব ছোট ছিল । আল্লাহ কসম ঈমান চলে গেলে শেষ হয়ে যাবো
কিন্তু আমার বিশ্বাস চুমু দেইনি।  আমি আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে সেজদা করিনি। হুজুর খুব ছোট ছিলাম । দ্বীনের জ্ঞান না থাকার কারণে তখন ভুল হলে হতে পারে। তাদের খাবার ও খেয়েছি । তার জন্য কি ঈমান চলে যাবে??

৮. আমি একটু মোটা মানুষ , একদিন একটা পোশাক পরে ছিলাম দিয়ে একদম কেমন লাগছিল। কার্টুনের গোপাল ভাঁড় মোটা তাই আমি এমনি মুখ দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে আমাকে তহ গোপাল গোপাল লাগছে। মুখ থেকে ভুল করে বেরিয়ে গিয়েছে এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?

৯.একদিন  যখন আমি ক্লাস সেভেন এ পড়ি ১২ বছর বয়স। পরীক্ষা দেওয়ার আগে মা এর পা ছুঁইয়ে ছিলাম । দুয়া নেওয়ার জন্য প্রণাম করেছিলাম। তখন শিরিক বা ঈমান বিষয় এ বুদ্ধি ছিলনা হুজুর। অনেক ছোট ছিলাম এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে??
১০..হুজুর আমার রোগের জন্য নানা কথা এমন মনে হয় এই রকম বার বার মনে হওয়ার জন্য কি আগের অনেক বছর এর পুরনো কিছু মনে পড়লে ভয় হয়। খুব চিন্তা হয় এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?আমি অনেক  বার তৌবা করেছি । বার বার কিছু মনে পড়লে বার বার প্রশ্ন করার দরকার আছে ? আর বার বার তৌবা কোরার দরকার আছে? আমি খুবই দুঃখিত আগের সব কিছুর জন্য। তৌবা করেছি।

১১.  হুজুর আমি একদিন ভীষণ চিন্তা তে ছিলাম । খুবই চিন্তা তে ছিলাম আর আল্লাহর কাছে কান্না করছিলাম । বলছিলাম আল্লাহ আমাকে সাহায্য করো এই চিন্তা থেকে বেরোতে।
আর আমি নামাজ পড়তে গিয়েও দুয়া করছিলাম । তখন মনে হচ্ছিল যদি আমার চিন্তা দূর হয় , একটা ফাঁকা জায়গা তে গিয়ে মানে একটু আড়ালে যেখানে একটা মাঠ আছে সবাই খেলা ধুলা করে সেইখানে  গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে  আল্লাহ হু আকবর বলে সেজদা দিব । নামাজ পড়ে বেরিয়ে যা শুনলাম আমার চিন্তা দূর হলো। আমিও  ওই ফাঁকা জায়গাতে গিয়ে আল্লাহু আকবর বলে সেজদা দিয়ে কান্না করতে লাগলাম । আমার দয়া কবুল হয়েছে বলে। এইরকম করার জন্য কি ঈমান চলে যাবে?? আমি তো আল্লাহ কে নিয়ত করে সেজদা করেছি। আর আল্লাহ ছাড়া তহ কাও কে সেজদা করা যায়না। আমি আবেগ অনুভূতি তে আল্লাহর প্রতি অন্তরে ভালোবাসতে ওই মাঠে আল্লাহু আকবর বলে সেজদা করেছি এর জন্য কি ঈমান এর কোনো সমস্যা হবে?

১২. হুজুর আপনাদের এই খানে প্রশ্ন করে খুব চিন্তা হয় কি উত্তর আসবে দিয়ে আল্লাহ কে ডাকি ভয় হয়  ।
আর মাজে মাজে এমনি আপনাদের কথা মনে হয় আপনাদের কে কি প্রশ্ন করলাম না করলাম মনে মনে এমন হয়। এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে??
১৩. হুজুর আজকে যুহুর এর নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম। হুজুর নামাজ পড়তে পড়তে যখন সেজদা দিচ্ছি আল্লাহু আকবর বলে তখন মনে হচ্ছে কোনো হুজুর কে সেজদা দিচ্ছি নাকি বা নবীজীর রওযা মোবারক এ সেজদা দিচ্ছি নাকি এমন মনে ভাবনা চলে এসেছে। আল্লাহ কসম করে বলছি হুজুরে আমি আল্লাহ কে সেজদা দিয়েছি। আমার মনে মনে এমন হঠাৎ শয়তানের ওয়াসওয়াসা তে এমন মনে হয়েছিলো।  হুজুর আল্লাহ কসম করে বলছি আমার মনে মনে শয়তানের ওয়াসওয়াসা এর জন্যই এমন হয়েছে । আমি তো আর অন্তর থেকে এমন করিনি বা ভাবিনি। হুজুর  শয়তানের এমন ওয়াসওয়াসা র জন্য আমার কি ঈমান চলে যাবে ?? শুধু মাত্র মনে মনে হয়েছে । আমি আমার মনকে সঙ্গে সঙ্গে কন্ট্রোল করে নিয়েছি। আমি ওয়াসওয়াসা রুগী এর জন্য এমন হয়েছে। মনে মনে হয়েছে হুজুর। বাস্তব এ আমি আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে সেজদা করতে পারিনা। হুজুর মনে মনে এমন হওয়ার জন্য কি ঈমান চলে যাবে?

১৪.  হুজর আগে জানতাম না যে আল্লাহ ছাড়া আর কারো কসম কাটা যায়না । না জেনে , নার বুঝে , নানা  কিছুর কসম কেটেছি। আল্লাহ কসম করে বলছি আমি জানতাম না । যে আল্লাহ ছাড়া আর কারো কসম কাটা যায়না। যেদিন থেকে জেনেছি আর কখনো অন্য কোনো কসম করিনি। না জেনে না বুঝে এমন ভুল হয়েছে। এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?

১৫.যখন বেশি বুদ্ধি ছিল না তখন বলতাম কোনো মেয়ে কে, সব থেকে বেশি ভালোবাসি আল্লাহ কে। তার পর তোমাকে । এইটা ভয় এ বলতাম যদি শিরক হয়ে জাই সেই ভয় এ বলতাম সব থেকে আল্লাহ কে ভালোবাসি তার পর তোমাকে । হুজুর এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে??
১৬.আমার বৈবাহিক জীবন ঠিক আছে তো হুজুর??

খুব চিন্তা হচ্ছে হুজুর কিছুদিন হলো বিয়ে করেছি।

1 Answer

0 votes
by (583,380 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহি গ্রন্থ "আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যা"গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে,
نَقَل ابْنُ عَابِدِينَ عَنِ اللَّيْثِ: فِي مَسْأَلَةِ طَلاَقِ الْمُوَسْوَسِ  أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ  الْمُوَسْوَسِ  ، قَال: يَعْنِي الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
وَنَقَل ابْنُ الْقَيِّمِ: إِنَّ الْمُطْلِّقَ إِنْ كَانَ زَائِل الْعَقْل بِجُنُونٍ أَوْ إِغْمَاءٍ أَوْ وَسْوَسَةٍ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ،  قَال: وَهَذَا الْمَخْلَصُ مُجْمَعٌ عَلَيْهِ بَيْنَ عُلَمَ ـ اءِ الأُْمَّةِ

- رِدَّةُ الْمُوَسْوَسِ:  
٢١ - إِنْ تَكَلَّمَ الْمُوَسْوَسُ  بِكَلاَمٍ يَقْتَضِي الرِّدَّةَ لَمْ يَكُنْ فِي حَقِّهِ رِدَّةٌ. صَرَّحَ بِذَلِكَ الْحَنَفِيَّةُ، يَعْنُونَ الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
ইবনে আবেদিন শামী রাহ বর্ণনা করেন,ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ ব্যক্তি -যার বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে বসেছে-তার তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।
ইবনুল কাইয়িম রাহ বলেন, যদি তালাক প্রদানকারী ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা,বেহুশি বা পাগলামির দরুণ বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে থাকে, তাহলে তার তালাকও গ্রহণযোগ্য হবে না। এর উপর সমস্ত উলামাদের ঐক্যমত রয়েছে।

বিবেক বুদ্ধি লোপ পেতে বসা ওয়াসওয়াসা রোগীর এমন কোনো কথা বার্তা যা মুরতাদ হওয়াকে লাযিম করে দেয়, সেই কথাবার্তার দরুণ উক্ত ওয়াসওয়াসার রোগী মুরতাদ হবে না।(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যাহ-৪৩/১৫৬)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি ওয়াসওয়াসাতে আক্রন্ত। আপনার যতটা সমস্যা মাস'আলা নিয়ে তার চেয়ে বেশী সমস্যা আপনার চিকিৎসাগত।তাই দয়াকরে ওডিসি চিকিৎসা গ্রহণ করুন। আপনি যেহেতু ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত, তাই আপনার ঈমানেও কোনো সমস্যা হবে না, এবং আপনার কোনো তালাকও পতিত হবে না।আপনার বিয়েতেও কোনো সমস্যা হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,380 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...