ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে।
সেজদায়ে সাহু না দিলে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।
(০২)
বেতর নামাযের আগে যদি তারাবির নামাজ পড়া হয়,আর তারাবির পরে বিতরের নামাজ পড়লে সমস্যা হবেনা।
এটিই মূলত নিয়ম।
কেননা হাদীসে বিতর নামাজকে শেষ নামাজ বানাতে বলা হয়েছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " اجْعَلُوا آخِرَ صَلاَتِكُمْ بِاللَّيْلِ وِتْرًا ".
‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বিতরকে তোমাদের রাতের শেষ সালাত করবে। (মুসলিম ৬/২০, হাঃ ৭৫১ আহমাদ ৪৭১০, ৫৭৯৮) (বুখারী ৯৯৮.আধুনিক প্রকাশনীঃ ৯৩৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৯৪৪)
مُسَدَّدٌ قَالَ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ سَأَلَ رَجُلٌ النَّبِيَّ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ مَا تَرَى فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ قَالَ مَثْنَى مَثْنَى فَإِذَا خَشِيَ الصُّبْحَ صَلَّى وَاحِدَةً فَأَوْتَرَتْ لَهُ مَا صَلَّى وَإِنَّهُ كَانَ يَقُولُ اجْعَلُوا آخِرَ صَلاَتِكُمْ وِتْرًا فَإِنَّ النَّبِيَّ أَمَرَ بِهِ.
ইবনু ‘উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে প্রশ্ন করলেন, তখন তিনি মিম্বারে ছিলেন- আপনি রাতের সালাত কীভাবে আদায় করতে বলেন? তিনি বলেনঃ দু’রাক‘আত দু’রাক‘আত করে আদায় করবে। যখন তোমাদের কারো ভোর হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হয় তখন সে আরো এক রাক‘আত আদায় করে নিবে। আর এটি তার পূর্ববর্তী সালাতকে বিত্র করে দেবে। [নাফি‘ (রহ.) বলেন] ইবনু ‘উমার (রাযি.) বলতেনঃ তোমরা বিতরকে রাতের শেষ সালাত হিসেবে আদায় কর। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ নির্দেশ দিয়েছেন। (বুখারী ৪৭২.৪৭৩, ৯৯০, ৯৯৩, ৯৯৫, ১১৩৭; মুসলিম ৬/২০, হাঃ ৭৪৯, ৭৫৩, আহমাদ ৬০১৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৫৮)
(০৪)
না,এমন কোনো দোয়া কুরআন হাদীসে নেই।