আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
2,257 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (63 points)
edited by
রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা এবং আলাইহিস  সালাম পরিভাষাগুলো ব্যবহারের সীমারেখা কী রকম?

 দুইজনের  ক্ষেত্রে এই পার্থক্য কেনো?
আছিয়া রাঃ বলা হয়,মারয়াম আঃ কেনো বলা হয়?

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

عليه السلام ‘আলাইহিস সালাম।
 ’ অর্থ, তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক।

যারা নবী নন,তাদের নামের শেষে সরাসরি আলাইহিস সালাম বলা জায়েজ নয়।
হ্যাঁ যদি আম্বিয়ায়ে কেরামদের নাম আলোচনার সাথে তারা ব্যাতিত অন্য কোনো নেককারদের নামও আলোচনা করা হয়,তাহলে শেষে তাবে' হিসেবে আলাইহিস সালাম বলা,লেখা ছহীহ আছে। 
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৫/৯০,আহসানুল ফাতওয়া ৯/৩৫,)
(আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ১/১০২),

رضي الله عنه 
‘রাদিয়াল্লাহু আনহু’ ‘রাযিয়াল্লাহু আনহু’, 
 বাক্যের অর্থ হলো- আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন।  
‘রাদিয়াল্লাহু আনহুম’ আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন।  
,
রাদিয়াল্লাহু আনহু এটা সাধারণ ভাবে ছাহাবায়ে কেরাম রাঃ দের জন্য ব্যবহার করা হয়,অন্যান্য ব্যাক্তিদের জন্য রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলা যায়।

হ্যা যদি কেহ অন্যান্য ব্যাক্তিদের ক্ষেত্রেও রদিয়াল্লাহু আনহু বলে,লিখে,তাহলে সেটি নাজায়েজ নয়।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৫/৯১)
,
পারিভাষিক অর্থে আলাইহিস সালাম আম্বিয়ায়ে কেরামদের নামের সাথেই খাছ।
তবে যিমানান,তাবআন তাদের সংশ্লিষ্টদের নামের সাথেও এটা বলা,লেখা জায়েজ আছে।
সুতরাং যখন শুধু হযরত মারয়াম এর নাম বলা হবে,তখন রাদিআল্লাহু  আনহু বলতে হবে।
আর যদি নাবীদের নামের সাথে হযরত মারয়াম এর নামও আলোচনা করা হয়,তাহলে শেষে আলাইহিস সালাম বলা যাবে।

আল্লাহ তায়ালার বানী 
سَلاَمٌ عَلیٰ اِلْیَاسِیْنَ
ইলয়াস আঃ এর উপর শান্তি বর্ষিত হোক।

قولہ تعالیٰ: {سَلاَمٌ عَلیٰ اِلْیَاسِیْنَ} کما یقال في إسماعیل: إسماعین، وہي لغۃ بني أسد … وقرأ آخرون {سلام علی إدراسین} وہي قراء ۃ ابن مسعود رضي اللّٰہ عنہ۔ وقرأ آخرون: {سلام علی آل یاسین} یعني آل محمد صلی اللّٰہ علیہ وسلم۔ (تفسیر ابن کثیر [الصفت: ۱۳۰] ۴؍۲۸ دار السلام ریاض)
সারমর্মঃ যখন ইলয়াস আঃ এর পরিবারের সাথে ইলয়াস আঃ এর নাম উল্লেখ করা হয়,তখন নামের শেষে আলাইহিস সালাম বলা যাবে।    

قولہ: {سلام} منا سعادۃ وسلامۃ {علی آل یاسین} علی آل محمد علیہ السلام۔ (تفسیر ابن عباس علی ہامش الدر المنثور [الصفت] ۴؍۳۴۵ مؤسسۃ الرسالۃ بیروت)

সারমর্মঃ যখন মুহাম্মাদ সাঃ  এর পরিবারের সাথে হযরত মুহাম্মদ সাঃ   এর নাম উল্লেখ করা হয়,তখন নামের শেষে আলাইহিস সালাম বলা যাবে।    

 وأما السلام فنقل اللقاني في شرح جوہرۃ التوحید عن الإمام الجویني أنہ فيٍ معنی الصلاۃ، فلا یستعمل في الغائب، ولا یفرد بہ غیر الأنبیاء فلا یقال: ’’علي علیہ السلام‘‘ وسواء في ہٰذا الأحیاء والأموات۔ (شامي، کتاب الخنثیٰ / مسائل شتی ۱۰؍۴۸۳ زکریا) 
সারমর্মঃ আম্বিয়া ব্যাতিত অন্য কাহারো নামে আলাইহিস সালাম বলা যাবেনা। 
۔
وفي الخلاصۃ أیضًا: إن في الأجناس عن أبي حنیفۃ رحمہ اللّٰہ: لا یصلي علی غیر الأنبیاء والملائکۃ، ومن صلی علی غیرہما لا علیٰ جہۃ التبعیۃ فہو غالٍ من الشیعۃ التي سمیت بالروافض، انتہی۔ ومفہومہ أن حکم السلام لیس کذٰلک ولعل وجہہ أن السلام تحیۃ أہل الإسلام، ولا فرق بین ’’السلام علیہ‘‘ و ’’علیہ السلام‘‘ إلا أن قولہ: عليٌ علیہ السلام من شعار أھل البدعۃ، فلا یستحسن فی مقام المرام۔ (شرح الفقہ الأکبر ۱۶۶-۱۶۷)
সারমর্মঃ আম্বিয়া ব্যাতিত অন্য কাহারো নামে দরুদ, আলাইহিস সালাম বলা যাবেনা। 

ولا یصلی علی غیر الأنبیاء ولا علی غیر الملائکۃ إلا بطریق التبع۔ (تنویر الأبصار علی الدر المختار، کتاب الخنثیٰ / مسائل شتی ۶؍۷۵۳ دار الفکر بیروت، ۱۰؍۴۸۳ زکریا، معارف القرآن ۲۲۳۷، کذا في النووي علی شرح صحیح مسلم ۱؍۱۷۶، مستفاد: فتاویٰ احیاء العلوم ۱؍۱۵۴) 
সারমর্মঃ আম্বিয়া ব্যাতিত অন্য কাহারো নামে দরুদ, আলাইহিস সালাম বলা যাবেনা। 
তবে তাবে' হিসেবে সকলের নামের শেষে বলা যাবে। 
۔
یستحب الترضي والترحم علی الصحابۃ والتابعین، فمن بعدہم من العلماء والعباد وسائر الأخیار، فیقال: رضي اللّٰہ عنہ، أو رحمہ اللّٰہ ونحو ذٰلک۔ وأما ما قالہ بعض العلماء: إن قولہ: رضي اللّٰہ عنہ مخصوصٌ بالصحابۃ، ویقال في غیرہم: رحمہ اللّٰہ فقط، فلیس کما قال، ولا یوافق علیہ؛ بل الصحیح الذي علیہ الجمہور استحبابہ، ودلائلہ أکثر من أن تحصر۔ فإن کان المذکور صحابیًا ابن صحابي قال: قال ابن عمر رضي اللّٰہ عنہما، وکذا ابن عباس، وابن الزبیر، وابن جعفر، وأسامۃ بن زید ونحوہم، یشملہ وأباہ جمیعًا۔ (کتاب الأذکار للنووي، باب الصلاۃ علی الأنبیاء واٰلہم تبعًا لہم صلی اللّٰہ علیہ وسلم / فصل: یستحب الترضي والترحم علی الصحابۃ والتابعین ۱۶۰ دار البیان بیروت)
সারমর্মঃ ছাহাবায়ে কেরামদের নামের সাথে রাদিআল্লাহু আনহু বলা মুসতাহাব।
কেহ কেহ এটা ছাহাবায়ে কেরামদের সাথেই খাছ বলেছেন।
,
কেহ কেহ বলেছেন যে অন্যান্য ব্যাক্তিদের নামের সাথেও এটা বলা যাবে।

ویستحب الترضي للصحابۃ، وکذا من اختلف في نبوتہ کذي القرنین ولقمان والترحم للتابعین ومن بعدہم من العلماء والعباد وسائر الأخیار، وکذا یجوز عکسہ الترحم للصحابۃ والترضي للتابعین ومن بعدہم علی الراجح (الدر المختار) قولہ: ویستحب الترضي للصحابۃ: لأنہم کانوا یبالغون في طلب الرضاء من اللّٰہ تعالیٰ، ویجتہدون في فعل ما یرضیہ، ویرضون بما یلحقہم من الابتلاء من جہتہ أشد الرضا، فہٰؤلاء أحق بالرضا، وغیرہم لا یحلق أدناہم، ولو أنفق ملء الأرض ذہبًأ۔ (الدر المختار مع الشامي، کتاب الخنثیٰ / مسائل شتی ۱۰؍۴۸۵ زکریا، ۶؍۷۵۴ کراچی) 
সারমর্মঃ ছাহাবায়ে কেরামদের নামের সাথে রাদিআল্লাহু আনহু বলা মুসতাহাব।
কেহ কেহ এটা ছাহাবায়ে কেরামদের সাথেই খাছ বলেছেন।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হযরত আছিয়া এবং মারয়াম উভয়ের নামকেই যখন আলাদা ভাবে একাকী আলোচনা করা হবে,তখন উভয়ের নামের সাথেই রাদিআল্লাহু আনহু বলতে হবে।
আলাইহিস সালাম বলা যাবেনা।
আর যখন হযরত আছিয়া বা হযরত মারয়াম এর সাথে অন্য কোনো আম্বিয়ার নাম আলোচনা করা হবে,তখন উভয়ের নামের সাথেই আলাইহিস সালাম বলা যাবে।
,
এখানে এই দুই নামের মাঝে বিধানগত দিক থেকে কোনো পার্থক্য নেই।        


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।

হুজুর, 

তাহলে "  হাফিজাহুল্লাহ, রহিমাহুল্লাহ দামাত বারাকাতুহুম"  কখন বলা হয়? 

জাজাক আল্লাহ
by (671,200 points)
এটা যেকোনো সম্মানিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে বলতে পারবেন।
নিজ বাবার নামেও বলতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই 
এগুলো দুয়া বাচক শব্দ।  

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...