আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
145 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (108 points)
১,কেনায়া তালাক হতে পারে যদি নিয়ত থাকে এমন বাক্য যদি ফোন মেসেজে লিখি।লিখার সময় নিয়ত আসা-যাওয়া করে তাহলে কি হবে? স্ত্রীর প্রতি রাগ হলে তখন সাধারণ বকাবকি কথাতেও তালাকের নিয়ত এসে যায়,অথবা ওয়াসোয়াসা হয়।

উদাহরণ: আমি মেসেযে লিখছি 'তুমি নিযের বাসায় চলে যাও'। এখানে যখন 'তুমি নিজের বাসায় চলে' এটুক লিখি ততক্ষন সত্যিকার অর্থে তালাকের নিয়ত থাকে।কিন্তু 'যাও' শব্দটি লিখার আগে নিজেকে সাম্লিয়ে নিয়ে নিয়ত সরিয়ে তারপর 'যাও' শব্দ লিখি।এখন যেহেতু 'যাও' শব্দের আগে বাক্যটি অর্থপূর্ণ নয় তাই তালাক হবেনা,আর 'যাও' শব্দ টা লেখার সময় যেহেতু তালাকের নিয়ত থাকেনা সাধারণ রাগের নিয়তে বলি।এতে তালাক হবেনা।ঠিক?

২, কেউ যদি আমাকে বলে ' তুর স্ত্রী দাজ্জালি আচরণ যখন করবে তখন বুঝবি', আমি উত্তরে যদি বলি, 'বেশি বাড়াবাড়ি করলে বাদ' এখানে বাদ অর্থ 'ওকে আর রাখবনা', সাথে সাথে তালাক হবে এমন নয়।এতে কি তালাক হবে?,

৩,একভাই জানে আমি বিবাহিত না,সে আমাকে জিজ্ঞেস করে ২ বছর পর পর যখন অমুক নারীকেবিয়ে করবে(যেহেতু সে জানেনা আমি বিয়ে করেছি,কিন্তু অমুক মেয়ের সাথে সম্পর্ক আছে এটা জানে,আসলে আমি ইতোমধ্যে অমুক নারীকেই বিয়ে করেছি) তখন তার ঠেলা বুঝবে। আমি উত্তরে বলি, 'বেশি বাড়াবাড়ি করলে তালাক'। এখানে আমার বর্তমান স্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে বলেছি কিনা আমি নিশ্চিত নই,আর উনিও যেহেতু জানেন না আমার স্ত্রী আছে কিনা(বা উনি আমার বিয়ের কথা জানেন কি জানেন না এটাও আমি জানিনা,অন্য মাধ্যমে জান্তেও পারেন হয়ত আমার বর্তমান স্ত্রীকেই মিন করে বলতেসে,কিন্তু আমি জানিনা) তাহলে কি তালাক পড়বে শর্তযুক্ত তালাক?

৪, এক হোটেলে কিছু খাবার পানি ছিল,আমি তাদের না বলে সেই পানিতে অযু করেছি।নামাজ হবে কি?

৫, আমি একবার তাড়াহুড়ো করে নামাজ পড়তে গিয়ে সুরা ফাতিহার সাথে পরের সুরা মিলাইনি(এটা অনিচ্ছাক্রিত ছিল),এমনকি সুরা ফাতিহার দোয়াল্লিনের শেষের কিছু অংশ রুকুর মধ্যে বলে বসি।অর্থাৎ,সুরা ফাতিহা পুরাপুরি শেষ হবার আগে রুকুতে যাওয়া শুরু করি,হাটুতে হাত দেয়ার কিছু মুহুর্ত পর সুরা ফাতিহা পুরাপুরি শেষ হয়।এরপর তাকবীর সে অবস্থাতে বলেই তাসবীহ পড়ি।আর সুরা না মেলানোর দরুন,নামাজ শেষে সাহু সিজদা দিই।নামাজ হবে কি?

৬,নামাজের প্রতি রাকাতের শুরুতে আমি যদি আয়ুযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ বলে তেলাওয়াত শুরু করি নামাজের সমস্যা হবে কি?

৭,নামাজের যেকোনো পজিশানে (১ম রাকাতের দাঁড়ানো ব্যতিরেকে) ইচ্ছাক্রিত ভাবে ছানা র কিছ্য অংশ পড়লে নামাজ নিষ্ট হবে কি? ধরুন, বসা অবস্থায়।অথবা ২য়/৩য় রাকাতের শুরুতে

৮, বৈধ স্বামী স্ত্রী পূর্নাংগ পর্দা সহিত বাইরে বের হলে একে অপরের হাত ধরে হাটা কি গুনাহ? স্বামীর কবজি ধরে হাটা বা তার ভেতর হাত ঢুকাই হাটা
৯,আব্বু বারবার জামাতে যাওয়ার জন্য তাগাদা দিচ্ছিল কিন্তু আমি বাসায় পড়তে চাইসিলাম। আব্বুকে বলি তুমি যাও আস্তেসি।আমি ভাব্লাম বাসায় পড়ি,তখন ভাব্লাম যদি কেউ দেখে আব্বুকে বলে।তখন মসজিদের দিকে যাই,কিন্তু আমি জানতাম জামাত ততক্ষনে শেষ।অন্য একটা মসজিদে যেয়ে একাকি নামাজ পড়ি আর বাসায় বলি মসজিদে গেলাম। এখন আব্বু বকা দিবে দেখে ৩মন টি করা কি শির্ক হয়েছে?

১০, বিভিন্ন দুয়া মাঝে 'ইল্লা' শব্দ আছে,যেমন লা ইলাহা ইল্লা আনতা,। এইরকম দুয়া গুলোতে ইল্লা শব্দে এক আলিফ টান না দিয়ে সিজদায় পড়লে নামাজ নষ্ট হবে কি?

১১,রব্বানা য্বলাম্না আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফিরলানা ওয়াতারহাম্না লানা কু নান্না মিনাল খসিরিন।এই দুয়াতে প্রতি শব্দে যে 'না' আছে,এতে টান পড়লে বা না পড়লে সিজদার মাঝে,নামাজ নষ্ট হবে কি

১২,রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ, তে হা ছোট হা উচ্চারিত হলে,সময় থাকা সত্ত্বেও যদি ঠিক না করে নিই সালাতে।নামাজ হবে কি?

১৩, শাইত্বন শব্দে,শাই--ত্বন,মানে শাই লীন হরফ রেখে এক দু আলিফ টানলে ইস্তিয়াযা কি ভুল উচ্চারণের জন্য নামাজ নষ্ট হবে?

১৪,স্বামী স্ত্রীর নিজেদের গোপন কথা বাইরে বলে ফেললে অনুতপ্ত হলে স্ত্রীর হক্ব নষ্ট হবে কি? তার কাছ থেকে ক্ষমা চাওয়া দাম্পত্য জীবনে অশান্তি আনতে পারে।কারণ জেনে যাবে যেহেতু।করনীয় কি

১৫,কোনো সতী নারীকে নিয়ে ইচ্ছা করে খারাপ চিন্তা করলে কি তার হক্ব নষ্ট হবে?, তার থেকে ক্ষমা নেব কিভাবে?

1 Answer

0 votes
by (564,060 points)
edited by
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ شِهَابٍ يَقُولُ فِي الرَّجُلِ يَقُولُ لِامْرَأَتِهِ بَرِئْتِ مِنِّي وَبَرِئْتُ مِنْكِ إِنَّهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ بِمَنْزِلَةِ الْبَتَّةِ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَقُولُ لِامْرَأَتِهِ أَنْتِ خَلِيَّةٌ أَوْ بَرِيَّةٌ أَوْ بَائِنَةٌ إِنَّهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ لِلْمَرْأَةِ الَّتِي قَدْ دَخَلَ بِهَا وَيُدَيَّنُ فِي الَّتِي لَمْ يَدْخُلْ بِهَا أَوَاحِدَةً أَرَادَ أَمْ ثَلَاثًا فَإِنْ قَالَ وَاحِدَةً أُحْلِفَ عَلَى ذَلِكَ وَكَانَ خَاطِبًا مِنْ الْخُطَّابِ لِأَنَّهُ لَا يُخْلِي الْمَرْأَةَ الَّتِي قَدْ دَخَلَ بِهَا زَوْجُهَا وَلَا يُبِينُهَا وَلَا يُبْرِيهَا إِلَّا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ وَالَّتِي لَمْ يَدْخُلْ بِهَا تُخْلِيهَا وَتُبْرِيهَا وَتُبِينُهَا الْوَاحِدَةُ قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي ذَلِكَ

মালিক (রহঃ) বলেনঃ তিনি ইবন শিহাব (রহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন, যে ব্যক্তি তাহার স্ত্রীকে বলিলঃ “আমার তোমা হইতে দায়িত্বমুক্ত হইয়াছি। তুমিও আমা হইতে দায়িত্বমুক্ত।” ইহা দ্বারা তালাকাই আল-বাত্তা-এর মতো তিন তালাক প্রযোজ্য হইবে।

যে ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে বলিলঃ (أَنْتِ خَلِيَّةٌ أَوْ بَرِيَّةٌ) “তুমি দায়মুক্ত” (أَنْتِ بَائِنَةٌ) “তুমি আমা হইতে পৃথক।” মালিক (রহঃ) বলেনঃ সে স্ত্রী যাহার সঙ্গে সহবাস করা হইয়াছে এইরূপ হইলে তবে তাহার স্বামীর উপরিউক্ত বাক্যগুলির দ্বারা তাহার উপর তিন তালাক বর্তাইবে। আর যদি সেই স্ত্রী এমন হয় যাহার সহিত সহবাস করা হয়নি, তবে ধর্মত স্বামীকে বিশ্বাস করা হইবে এবং তাহার নিকট জিজ্ঞাসা করা হইবে-সে উপরিউক্ত বাক্যগুলি দ্বারা এক তালাক উদ্দেশ্য করিয়াছে, না তিন তালাক। যদি সে এক তালাক উদ্দেশ্য করিয়াছে বলিয়া প্রকাশ করে তাহা হইলে এই বিষয়ে সেই ব্যক্তিকে হলফ দেওয়া হইবে। (যেহেতু স্বামীর উক্তির দ্বারা স্ত্রীর প্রতি এক তালাক বায়েন প্রযোজ্য হইয়াছে, তাই পুনর্বিবাহ ছাড়া স্বামী সেই স্ত্রীকে গ্রহণ করিতে পারবে না) তাই সে বিবাহের প্রস্তাবকারী হিসাবে অন্য লোকদের মতো একজন বলিয়া পণ্য হইবে। ইহার কারণ এই যে, যে স্ত্রীর সহিত সঙ্গম করা হইয়াছে সেই স্ত্রী তিন তালাক ছাড়া দায়িত্বমুক্ত বা স্বামী হইতে পৃথক হইবে না। আর যাহার সহিত সঙ্গম হয় নাই সেই স্ত্রী এক তালাক দ্বারা দায়িত্বমুক্ত ও পৃথক হইয়া যায়।

মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ এ বিষয়ে যাহা আমি শুনিয়াছি তন্মধ্যে ইহাই আমার নিকট উত্তম।
(মুয়াত্তা মালিক ১১৬৫)

ফাতওয়ার কিতাবে আছেঃ 

وَالضَّرْبُ الثَّانِي: الْکِنَايَاتُ، وَلاَيَقَعُ بهَا الطلاَقُ إلاَّبِنِيَةٍ، اَوْ دَلالَةٍ حَالٍ. وَهِيَ عَلَی ضَرْبَيْنِ: مَنْها ثَلاَثَةُ اَلْفَاظٍ يَقَعُ بهَا الطّلاقُ الرَّجْعِيُّ،وَلاَيَقَعُ بهَا إِلا وَاحَدَةٌ، وَهِيَ قَوْلُهُ: اعْتَدِّي، وَاسْتَبْرِئِي رَحِمَکِ، وَاَنْتِ وَاحِدَةٌ، وَبَقِيَةُ الْکِنَايَاتِ إِذا نَوَی بهَا الطلاَقَ کَانَتْ وَاحِدَةً بَائِنَةً، وَإِنْ نَوَی بِهَا ثَلاَثاً کَانَتْ ثَلاَثاً، وَإِنْ نَوَی اثْنَتَيْنِ کَانَتْ وَاحِدَةً، وَهَذَا مِثْلُ قَوْلِهِ: اَنْتِ بَائِنٌ، وَبَتَّةٌ، وَبَتْلَةٌ، وَحَرَامٌ، وَحَبْلُکِ عَلَی غَارِبِکِ، وَالْحَقی بِاَهْلِک، وَخَلِيَةٌ، وَبَرِيّةٌ، وَوَهَبْتُکِ لاهْلِکِ، وَسَرَّحْتُکِ، وَاخْتَارِيْ، وَفارَقْتُکِ، وَاَنْتِ حُرَّةٌ، وَتَقَنَّعِي، وَتَخَمَّرِي، وَاسْتَتِرِيْ، وَاغْرُبِيْ، وَابْتَغِي الاَزْوَاجَ، فَإِنْ لَمْ يَکُنْ لَهُ نِيَةٌ لَمْ يَقَعْ بِهٰذِهِ الاَلْفَاظِ طَلاَقٌ؛ إِلا اَنْ يَکُوْنَا فِيْ مُذَاکَرَةِ الطّلاَقِ؛ فَيَقَعُ بِهَا الطّلاَقُ فِيْ الْقَضَاءِ، وَلاَيَقَعُ فِيْمَابَيْنَةُ وَبَيْنَ اﷲِ تَعَالَی إِلاَّ اَنْ يَنْوِيَهُ، وَإِنْ لَمْ يَکُوْنَا فِيْ مَذَاکَرَةِ الطّلاَقِ، وَکَانافِيْ غَضَبٍ اَوْ خُصُوْمَةٍ، وَقَعَ الطّلاَقُ بِکُلِّ لَفْظٍ لاَ يُقْصَدُ بِهِ السَّبُّ وَالشَّتِيْمَةُ، وَلَمْ يَقَعْ بِمَا يُقْصَدُبِهِ السَّبُّ وَالشَّتِيْمَةُ إِلاَّ اَنْ يَنْوِيَةُ.
احمد بن محمد البغدادي المعروف بالقدوري، مختصر القدوري: 363. 364، موسسة الريان للطباعة والنشر والتوزيع، بيروت
برهان الدين علي المرغيناني، الهداية شرح البداية، 1: 241، المکتبة الاسلامية

সারমর্মঃ  
২য় প্রকার,কেনায়া বাক্য।
এর দ্বারা তালাক হবেনা,কিন্তু তালাকের নিয়ত অথবা অবস্থার ভিত্তিতে তালাক হবে। কেনায়া বাক্য দুই প্রকার। এর মধ্যে তিনটি শব্দ এমন আছে, যার দ্বারা  তালাকে রজয়ী পতিত হয়। 
সেগুলো হলোঃ- তুমি ইদ্দত পালন করো,তুমি তোমার গর্ভাশয় মুক্ত করো,তুমি এক।

আর কেনায়া তালাকের অন্যান্য শব্দ,যেক্ষেত্রে তালাকের নিয়ত করলে বায়েন তালাক হয়। তিন তালাকের নিয়ত করলে তিন তালাক পতিত হয়। 
যদি দুই তালাকের নিয়ত করে,সেক্ষেত্রে এক তালাক পতিত হয়।
যেমনঃ- তুমি বিচ্ছিন্ন, তুমি সম্পর্ক মুক্ত,তুমি ভিন্ন,তুমি হারাম,তুমি শুণ্য,তুমি মুক্ত,তোমার রশি তোমার কাঁধে,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হও,আমি তোমাকে তোমার পরিবারের জন্য হেবা-দান করলাম,আমি তোমাকে মুক্ত করে দিলাম,আমি তোমাকে বিচ্ছিন্ন করে দিলাম,তোমার বিষয় তোমার হাতে,তুমি আযাদ,তুমি ঘোমটা পড়,তুমি ওড়না দ্বারা নিজেকে আবৃত করো,তুমি আড়াল হও (পর্দা করো), তুমি বিদূরিত হও, তুমি বের হয়ে যাও,তুমি চলে যাও,তুমি দন্ডায়মান হও (দাঁড়িয়ে যাও), তুমি অন্য স্বামী খুজো।
স্বামীর যদি এখানে নিয়ত না থাকে,তাহলে এ সব বাক্য দ্বারা তালাক হবেনা। তবে মুযাকারায়ে তালাকের ক্ষেত্রে হলে কাযা'আন তালাক হবে। দিয়ানাতান তালাক হবেনা।
(কুদুরী ৩৬৩.৩৬৪. হেদায়া শরহুল বিদায়াহ ১/২৪১,শরহে বিকায়াহ ২/৭৭)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এতে তালাক হবেনা। 

(০২)
এতে তালাক হবেনা। 

(০৩)
এক্ষেত্রে শর্তযুক্ত তালাক হবেনা।

(০৪)
এতে আপনার নামাজ হবে।

(০৫)
উক্ত নামাজ হবে।

(০৬)
এতে নামাজের সমস্যা হবেনা।

(০৭)
এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে। 

(০৮)
এটি গুনাহ নয়,তবে শালীনতার খেলাফ কাজ।
তাই লোকালয়ে এমনটি করা অনুচিত। 

(০৯)
এমনটি করা শিরক হয়নি।

(১০)
এইরকম দুয়া গুলোতে ইল্লা শব্দে এক আলিফ টান না দিয়ে সিজদায় পড়লে নামাজ নষ্ট হবেনা।

(১১)
এই দোয়াতে প্রতি শব্দে যে 'না' আছে,এতে টান পড়লে বা না পড়লে সিজদার মাঝে,নামাজ নষ্ট হবেনা।

(১২)
এক্ষেত্রেও নামাজ হবে।
তবে ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটি করবেননা।

(১৩)
এক্ষেত্রে নামাজ নষ্ট হবেনা।

(১৪)
এক্ষেত্রে তিনি বিষয়টি না জেনে থাকলে স্পষ্ট আকারে না বলে অস্পষ্ট ভাবে ক্ষমা চেয়ে নিতে পারেন। 
বলবেন যে আমার দ্বারা তোমার যেকোনো হক নষ্ট হয়ে থাকলে ক্ষমা করে দিও।

(১৫)
এতে তার হক্ব নষ্ট হবেনা।
তার থেকে ক্ষমা নিতে হবেনা।
এক্ষেত্রে আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...