বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
এখন প্রশ্ন হল কতটুকু জ্ঞানার্জন একজন মুসলমানের উপর ফরয?
এ সম্পর্কে ইবনে আবেদীন শামী রাহ,বলেনঃ
لَا شَكَّ فِي فَرْضِيَّةِ عِلْمِ الْفَرَائِضِ الْخَمْسِ وَعِلْمِ الْإِخْلَاصِ؛ لِأَنَّ صِحَّةَ الْعَمَلِ مَوْقُوفَةٌ عَلَيْهِ وَعِلْمِ الْحَلَالِ وَالْحَرَامِ وَعِلْمِ الرِّيَاءِ؛ لِأَنَّ الْعَابِدَ مَحْرُومٌ مِنْ ثَوَابِ عَمَلِهِ بِالرِّيَاءِ، وَعِلْمِ الْحَسَدِ وَالْعُجْبِ إذْ هُمَا يَأْكُلَانِ الْعَمَلَ كَمَا تَأْكُلُ النَّارُ الْحَطَبَ، وَعِلْمِ الْبَيْعِ وَالشِّرَاءِ وَالنِّكَاحِ وَالطَّلَاقِ لِمَنْ أَرَادَ الدُّخُولَ فِي هَذِهِ الْأَشْيَاءِ
দ্বীনের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি ফারাইয(ভিত্তি) তথা কালেমা,নামায,রোযা,হজ্ব,যাকাত সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞানার্জন ফরয। এতে কোনো প্রকার সন্দেহের অবকাশ নেই।কেননা উপরোক্ত ফারাইযের উপর আমল করা সে সম্পর্কে জানাশোনা এবং হালাল-হারাম ও রিয়া সম্পর্কে জানাশোনার উপর নির্ভরশীল।কারণ এবাদত কারী রিয়ার কারণে তার কৃত আমলের সওয়াব থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়।এবং হিংসা-নিন্দা ও অন্যর ভালোতে অপচন্দনীয় মনোভাব সবই আ'মলের সওয়াব বিনষ্টকারী।এমনভাবে যে,যেমনভাবে আগুন লাকড়িকে জ্বালিয়ে দেয়।এবং ক্রয়-বিক্রয় ও বিবাহ-তালাকে প্রবেশকারী ব্যক্তিবর্গের জন্য সে সম্পর্কে জ্ঞানার্জন ফরয।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার জন্য দ্বীন শিক্ষা ফরয।এবং দ্বীনের সঠিক জ্ঞানার্জনও আপনার উপর ফরয। ইসলামিক স্টাডিজ এবং ইসলামের সংস্কৃতি ও ইতিহাসে বিকৃতি করা হয়েছে কি না? সেটা সঠিকভাবে আমাদের জানা নেই।কেননা সবগুলো কিতাব অধ্যায়ন করা সম্ভব হয়নি। আপনার যদি সঠিক জ্ঞানার্জন করার দৃঢ় প্রত্যয় থাকে, তাহলে আপনি ঐসাবজেক্ট নিয়ে পড়তে পারেন।পাশাপাশি কওমী মাদরাসার কিতাবাদিকেও সংরক্ষণে রাখতে পারেন, তাহলে কোনটি ভুল আর কোনটি শুদ্ধ তা নির্ধারণ করতে পারবেন। অথবা ইসলামিক অনলাইন মাদরাসাতেও ভর্তি হতে পারেন, তাহলে বুঝতে পারবেন যে, কোনটি ভুল আর কোনটি শুদ্ধ।