আসসালামু আলাইকুম ।
১. আল্লাহর এক বান্দার প্যানিক অ্যাটাক/প্যানিক ডিজঅর্ড ার এর রোগ ছিলো । প্যানিক অ্যাটাক যখন হয় তখন মনে হয় একটু পরে ই বুঝি মানুষটার মৃত্যু হতে যাচ্ছে । একবার প্যানিক অ্যাটাক এর সময় মানুষ টা মারা যাচ্ছে অনুভূত করলো, এ সময় মনে তার এলো আমি যদি এখন মারা যাই তাহলে আমার তো কোন আমল ই নেই, আমি জান্নাতে যাবো কিভাবে ? তোহ, আল্লাহ পাক যাতে জান্নাত দান করেন সে জন্য তার মনে এলো আমলের নিয়ত করি, যাতে করে নিয়ত এর উসিলাহ’য় আল্লাহ পাক জান্নাত দেন ।
যাতে জান্নাতে যত উচ্চ সম্ভব মর্যাদা/আসন পায় সে আশায় নিয়ত মানুষ টা নিয়ত করলো এভাবে “আমি যত অধিক সম্ভব যত উন্নত সম্ভব আমলকারী হয়ে গেছি (কত অধিক, কত উন্নত তা আমি নিজেও জানিন না; অগনিত)” । এভাবে নিয়ত করা কি ঠিক হয়েছে ? এর পরিবর্তে তার নিয়ত কি হওয়া উচিৎ/উত্তম ছিলো ?
প্যানিক অ্যাটাক স্বাভাবিক হলো। আল্লাহর রহমতে মৃত্যু হলো না । এখন তার করা ওই নিয়ত টা তাকে সব ছেড়ে ছুড়ে আবেদ হতে অনুপ্রাণিত করছে; সে কিছু তে ই এই নিয়ত পরিবর্তন করতে পারছে না; পরিবর্তন করলে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হবেন, এমন অপরাধবোধ হচ্ছে । এ অবস্থায় তার করণীয় কি ? সে এর পরিবর্তে একটি উত্তম নিয়ত এর সাজেশন্স চায় ।
২. আল্লাহর এক বান্দার স্ত্রী ও তার মধ্যে বিবাহের পূর্বে অল্প কিছুদিনের সম্পর্ক ছিলো । সে সময় তাদের দুজনের মধ্যে বিবাহের কমিটমেন্ট ছিলো । এমতাবস্থায় আল্লাহর সেই বান্দা দ্বীন এর বুঝ পায়, সে অনুভব করে এই মেয়ে কে বিয়ে করলে দ্বীন পালন পরির্পূর্ণ নাও করা যেতে পারে; যদিও মেয়ের সাথে আলাপ আলোচনায় মেয়ে নিজে দ্বীন পালনের চেষ্টা করবে ও ছেলের দ্বীন পালনে বাধা দিবে না জানায়; ভবিষ্যতে পুরো হুজুর হয়ে গেলেও তার সমস্যা নেই, সে জানায় । কিন্তু বর্তমানে যেহেতু এই মেয়েকে বিয়ে করলে এখন ই সুন্নতি লেবাস পরা যাবে না তাই ছেলে ইতস্তত করতে থাকে । কিন্তু পরে আবেগ ও নাফস এর কাছে হেরে বিয়ে করে ফেলে । সুন্নতি লেবাস ছাড়া অন্যান্য বিষয় পালনে সে বাধা অনুভব করছে না । তারপরও তার মনের মধ্যে অপরাধবোধ কাজ করছে কেমন যেনো, দ্বীন এর উপর নিজের নাফস কে/মেয়েটি কে প্রাধ্যন্য দিয়ে ফেললো বুঝি, আল্লাহ সম্ভবত এই বিয়েতে সন্তুষ্ট না, তাই সে মন থেকে চাচ্ছে তাও কেমন জানি নিজের বউ এর প্রতি ভালোবাসা অনুভব করতে পারছে না আল্লাহর ভয়ে । ওকে ভালোবাসলে ওকে সাথে রাখলে বুঝি আল্লাহ অসন্তুষ্ট থাকবেন সব সময় তার প্রতি! এমন খেয়াল আসছে তার মাথায়। এমতবস্থায় তার কি করনীয় ?
প্রশ্ন দুটোর উত্তর দিবেন । জাযাকাল্লাহু খয়রান ফিদ্দ্বীন ।