আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
233 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (10 points)

আগের লিঙ্ক - https://ifatwa.info/71075/

৪) নং প্রশ্ন এর বিষয়ে আমার একটু কথা ছিল - 

আমি প্রায় পাঁচ মাস আগে একটা ভুলের কারণে সতর্কতা মূলক ভাবে  ঈমান নবায়ন করা হয়েছে আবার বিবাহ করা ও হয়েছে।ঈমান নবায়ন এর পূর্বে এই গানটি গাইছি কিন্তু এখন আমি মনে করতে পারতেছিনা - ৪ নং গান টি  lord শব্দটির অর্থ জানার পর এবং  পাঁচ মাস আগের সতর্কতা মূলক ভাবে  ঈমান নবায়ন এর পর  গাইছি কিনা। আমার শুধু মনে পড়ে একদিন পানি দিয়ে কুলি করার সময় বিড়বিড় করে গানটি বলছি, কিন্তু কতটুকু শব্দ হল তা বুঝতে পারছি না। উল্লেখ্য  যে সতর্কতা মূলক ভাবে  ঈমান নবায়ন এর পর থেকে  কুফরি বিষয়ে  আমি বেশ কিছুদিন ধরে ওয়াস্বাসায় ভুগছি । 

এখন তবুও সতর্কতা মূলক ভাবে  ঈমান নবায়ন  ও বিবাহ করতে হবে কি ? 

সাথে নতুন কয়েক টি প্রশনঃ

১। আমি শিক্ষকতা করি স্কুলে তাই - কেউ যদি নিজেকে বা কাউকে মাস্টার / বস বলে এতে কি কোন সমস্যা হবে? 

২। আমি গতকাল পেপারে একটি বিষয় পড়ার সময় জামেলায় পরে যায় তা হল - 

আমি যখন নিচের বাক্যটি পরি - 

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ বলেন, হে আদম সন্তান, আমার ইবাদতের জন্য তুমি ঝামেলা মুক্ত হও, আমি তোমার অন্তরকে প্রাচুর্য দিয়ে ভরে দেব এবং তোমার দারিদ্র্য ঘুচিয়ে দেব। আর যদি তা না করো, তবে তোমার হাত ব্যস্ততায় ভরে দেব এবং তোমার অভাব দূর করে দেব না।’ তিরমিজি

যখন এই শব্দ টি   মুক্ত পড়ি তখন হটাত বিবির কথা মনে পরে যায়, এতে কি কোন সমস্যা হবে? আমার মনে পরছে না কততুকু জোরে শব্দ করে বললাম। মনে হয় জোরেই পরলাম নাকি।      

আমাকে পরামর্শ ও আল্লাহর কাছে দোয়া করেন আমার জন্য। 

by (10 points)
৩। আজকে স্কুলের এক ছাত্রকে দুষ্টামির জন্য হটাত করে বললাম - তুমি কিন্তু খুব মকরবাজি করছ? এতে কি কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহি গ্রন্থ "আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যা"গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে,
نَقَل ابْنُ عَابِدِينَ عَنِ اللَّيْثِ: فِي مَسْأَلَةِ طَلاَقِ الْمُوَسْوَسِ  أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ  الْمُوَسْوَسِ  ، قَال: يَعْنِي الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
وَنَقَل ابْنُ الْقَيِّمِ: إِنَّ الْمُطْلِّقَ إِنْ كَانَ زَائِل الْعَقْل بِجُنُونٍ أَوْ إِغْمَاءٍ أَوْ وَسْوَسَةٍ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ،  قَال: وَهَذَا الْمَخْلَصُ مُجْمَعٌ عَلَيْهِ بَيْنَ عُلَمَ ـ اءِ الأُْمَّةِ

- رِدَّةُ الْمُوَسْوَسِ:  
٢١ - إِنْ تَكَلَّمَ الْمُوَسْوَسُ  بِكَلاَمٍ يَقْتَضِي الرِّدَّةَ لَمْ يَكُنْ فِي حَقِّهِ رِدَّةٌ. صَرَّحَ بِذَلِكَ الْحَنَفِيَّةُ، يَعْنُونَ الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
ইবনে আবেদিন শামী রাহ বর্ণনা করেন,ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ ব্যক্তি -যার বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে বসেছে-তার তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।
ইবনুল কাইয়িম রাহ বলেন, যদি তালাক প্রদানকারী ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা,বেহুশি বা পাগলামির দরুণ বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে থাকে, তাহলে তার তালাকও গ্রহণযোগ্য হবে না। এর উপর সমস্ত উলামাদের ঐক্যমত রয়েছে।

বিবেক বুদ্ধি লোপ পেতে বসা ওয়াসওয়াসা রোগীর এমন কোনো কথা বার্তা যা মুরতাদ হওয়াকে লাযিম করে দেয়, সেই কথাবার্তার দরুণ উক্ত ওয়াসওয়াসার রোগী মুরতাদ হবে না।(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যাহ-৪৩/১৫৬)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/835


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনাকে আর ঈমান নবায়ন করতে হবে না।

(২)
 কেউ যদি নিজেকে বা কাউকে মাস্টার / বস বলে, এতে কোনো সমস্যা হবে না।

(৩)
এতেও কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...