আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)
নাবালক ভাই যদি মারে তাহলে আমি যদি রেগে গিয়ে বকাবকি করি আর পিতা মাতা যদি জানতে চায় যে ' কি হয়েছে' তাহলে আমি কি আমার ভাইয়ের কথা টা আমার পিতা মাতা কে জানাতে পারবো?  চোগলখোরি হয়ে যাবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ভাই যদি কাউকে মারে,এবং যাকে মেরেছে সে কষ্ট পায়,এবং কষ্ট পেয়ে সে বকাবকি করে ও নিজ অভিভাবক তথা পিতামাতার নিকট বিচার দায়ের করে,তাহলে তাহলে এটা চোগলখোরি হবে না।কেননা এখানে সে অভিভাবকের নিকট অভিযোগ করছে।আর অভিযোগ করা নাজায়েয নয়।এবং গিবত বা চোগলখোরিও নয়।যেমন ১৭১৫ নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,কারো সম্পর্কে অভিযোগ দায়ের তরা গিবতের অন্তর্ভুক্ত হয় না,ঠিকতেমনি অভিযোগ দায়ের করা চোগলখোরি অন্তর্ভুক্তও হবে না।
الأول: التظلم. يجوز للمظلوم أن يتظلم إلى السلطان والقاضي وغيرهما ممن له ولاية أو له قدرة على إنصافه من ظالمه، فيذكر أن فلانا ظلمني وفعل بي كذا وأخذ لي كذا ونحو ذلك. 
(এক) জালিমের জুলুম থেকে বাঁচতে বিচারকের নিকট জালিমের বিরুদ্ধে নালিশ/গিবত করা বৈধ।যেমন মজলুম ব্যক্তি বিচারকের নিকট গিয়ে বলল,অমুক ব্যক্তি আমার উপর জুলুম-নির্যাতন করেছে।এবং আমার সাথে সে এমন এমন ব্যবহার করেছে।আমার অমুক অমুক জিনিষ সে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।


সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নাবালক,যাকে তার বড় ভাই বা মাতাপিত আদাব শিক্ষা দিবে,নতুবা সে নাবালক আস্তে আস্তে বিয়াদব বনে যাবে,সুতরাং কোনো নাবালক যদি কাউকে প্রচন্ড রকম মারামারি করে,তাহলে তাকে শায়েস্তা করা তার অভিভাবকের দায়িত্বও কর্তব্য।সুতরাং তাকে শায়েস্তা করা ও আদাব শিক্ষা দানের উদ্দেশ্যে তার ব্যাপারে তার অভিভাবকের নিকট নালিশ করা যেতে পারে।
তবে যদি সে প্রচন্ড রকম মারামারি না করে থাকে,তাহলে তাকে ক্ষমার দৃষ্টিতেই দেখা উচিৎ।কেননা একটু আধটু মারামারি সে বয়সের দরুণই করছে।সেটা অবশ্যই সময়ে পরিবর্তন হয়ে যাবে।সর্বোপরি তার ব্যাপারে তার মারামারি বা চতুরতা ইত্যাদিকে তার অভিভাবকের নিকট পেশ করা গিবত বা চোগলখোরির অন্তর্ভুক্ত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

No related questions found

...