বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ভাই যদি কাউকে মারে,এবং যাকে মেরেছে সে কষ্ট পায়,এবং কষ্ট পেয়ে সে বকাবকি করে ও নিজ অভিভাবক তথা পিতামাতার নিকট বিচার দায়ের করে,তাহলে তাহলে এটা চোগলখোরি হবে না।কেননা এখানে সে অভিভাবকের নিকট অভিযোগ করছে।আর অভিযোগ করা নাজায়েয নয়।এবং গিবত বা চোগলখোরিও নয়।যেমন ১৭১৫ নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,কারো সম্পর্কে অভিযোগ দায়ের তরা গিবতের অন্তর্ভুক্ত হয় না,ঠিকতেমনি অভিযোগ দায়ের করা চোগলখোরি অন্তর্ভুক্তও হবে না।
الأول: التظلم. يجوز للمظلوم أن يتظلم إلى السلطان والقاضي وغيرهما ممن له ولاية أو له قدرة على إنصافه من ظالمه، فيذكر أن فلانا ظلمني وفعل بي كذا وأخذ لي كذا ونحو ذلك.
(এক) জালিমের জুলুম থেকে বাঁচতে বিচারকের নিকট জালিমের বিরুদ্ধে নালিশ/গিবত করা বৈধ।যেমন মজলুম ব্যক্তি বিচারকের নিকট গিয়ে বলল,অমুক ব্যক্তি আমার উপর জুলুম-নির্যাতন করেছে।এবং আমার সাথে সে এমন এমন ব্যবহার করেছে।আমার অমুক অমুক জিনিষ সে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নাবালক,যাকে তার বড় ভাই বা মাতাপিত আদাব শিক্ষা দিবে,নতুবা সে নাবালক আস্তে আস্তে বিয়াদব বনে যাবে,সুতরাং কোনো নাবালক যদি কাউকে প্রচন্ড রকম মারামারি করে,তাহলে তাকে শায়েস্তা করা তার অভিভাবকের দায়িত্বও কর্তব্য।সুতরাং তাকে শায়েস্তা করা ও আদাব শিক্ষা দানের উদ্দেশ্যে তার ব্যাপারে তার অভিভাবকের নিকট নালিশ করা যেতে পারে।
তবে যদি সে প্রচন্ড রকম মারামারি না করে থাকে,তাহলে তাকে ক্ষমার দৃষ্টিতেই দেখা উচিৎ।কেননা একটু আধটু মারামারি সে বয়সের দরুণই করছে।সেটা অবশ্যই সময়ে পরিবর্তন হয়ে যাবে।সর্বোপরি তার ব্যাপারে তার মারামারি বা চতুরতা ইত্যাদিকে তার অভিভাবকের নিকট পেশ করা গিবত বা চোগলখোরির অন্তর্ভুক্ত হবে না।