ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاءِ بِمَا فَضَّلَ اللَّهُ بَعْضَهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ وَبِمَا أَنفَقُوا مِنْ أَمْوَالِهِمْ ۚ فَالصَّالِحَاتُ قَانِتَاتٌ حَافِظَاتٌ لِّلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ اللَّهُ ۚ وَاللَّاتِي تَخَافُونَ نُشُوزَهُنَّ فَعِظُوهُنَّ وَاهْجُرُوهُنَّ فِي الْمَضَاجِعِ وَاضْرِبُوهُنَّ ۖ فَإِنْ أَطَعْنَكُمْ فَلَا تَبْغُوا عَلَيْهِنَّ سَبِيلًا ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيًّا كَبِيرًا
পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।(সূরা নিসা-৩৪)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
পুরুষ হবে পরিবারের প্রধান।এটাই কুরআনের ঘোষণা। পুরুষের সম্মতিতে নারীরাও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। পরিবারে পুরুষ অনুপস্থিত থাকলে, নারীরা মিলে সিদ্ধান্ত গ্রহণও নাজায়েয হবে না।
(২) পারবে না,এমন নয়, বরং নারীরাও নিতে পারবে।তবে পুরুষকে নারীরা সু পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করবে।
(৩)
মহিলারা আমির বা নেতা না হতে পারাটা কুরআনের ঘোষণা।এখানে কারণ খুঁজতে যাওয়া কখনো উচিৎ হবে না।
(৪)
আমীর হওয়ার জন্য, আযাদ,সাবালক পুরুষ হওয়া শর্ত।
(৫) পরামর্শ করলে বরবত হয়। ত্বরিকা হল, একটি বৈঠকে বসে প্রথমে একজনকে ফয়সল বানানো হবে, তারপর একে একে সবাই মতামত দিবেন। ফয়সালাকারী শেষে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
(৬)
পরিবারের প্রধান সবার কাছ থেকে মতামত গ্রহণ করে, তারপর সিদ্ধান্ত নিবেন।