আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
149 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (42 points)
আসসালামু আলাইকুম
১)মহিলারা কি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে? পরিবারে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত কি মহিলারা নিতে পারবে?

২) কেন পারবে না?

৩) মহিলারা কেন আমির বা নেতা হতে পারবে না?

৪) ইসলামে আমির হওয়ার যোগ্যতা কি?

৫) পরামর্শ করার ফযিলত ও পরামর্শ করার নিয়ম কি?
৬ ) পরিবারে কিভাবে মাশওয়ারার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হয়?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاءِ بِمَا فَضَّلَ اللَّهُ بَعْضَهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ وَبِمَا أَنفَقُوا مِنْ أَمْوَالِهِمْ ۚ فَالصَّالِحَاتُ قَانِتَاتٌ حَافِظَاتٌ لِّلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ اللَّهُ ۚ وَاللَّاتِي تَخَافُونَ نُشُوزَهُنَّ فَعِظُوهُنَّ وَاهْجُرُوهُنَّ فِي الْمَضَاجِعِ وَاضْرِبُوهُنَّ ۖ فَإِنْ أَطَعْنَكُمْ فَلَا تَبْغُوا عَلَيْهِنَّ سَبِيلًا ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيًّا كَبِيرًا
পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।(সূরা নিসা-৩৪)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
পুরুষ হবে পরিবারের প্রধান।এটাই কুরআনের ঘোষণা। পুরুষের সম্মতিতে নারীরাও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। পরিবারে পুরুষ অনুপস্থিত থাকলে, নারীরা মিলে সিদ্ধান্ত গ্রহণও নাজায়েয হবে না। 

(২) পারবে না,এমন নয়, বরং নারীরাও নিতে পারবে।তবে পুরুষকে নারীরা সু পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করবে।

(৩)
মহিলারা আমির বা নেতা না হতে পারাটা কুরআনের ঘোষণা।এখানে কারণ খুঁজতে যাওয়া কখনো উচিৎ হবে না।

(৪)
আমীর হওয়ার জন্য, আযাদ,সাবালক পুরুষ হওয়া শর্ত।

(৫) পরামর্শ করলে বরবত হয়। ত্বরিকা হল, একটি বৈঠকে বসে প্রথমে একজনকে ফয়সল বানানো হবে, তারপর একে একে সবাই মতামত দিবেন। ফয়সালাকারী শেষে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

(৬)
পরিবারের প্রধান সবার কাছ থেকে মতামত গ্রহণ করে, তারপর সিদ্ধান্ত নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...