আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
146 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
প্রশ্ন: এক বোনের overian cyst আছে। Doctor আপুকে যে medicine দিয়েছেন তা খেলে আবার পিরিওড হয়।
এর আগের মাসে ১৮  তারিখ তার নরমাল পিরিয়ড হয়।  পিরিয়ডের সপ্তম দিনে সে ওই ওষুধ খাওয়া শুরু করে।  তবে এর মাঝে অর্থাৎ পিরিয়ড ভালো হওয়ার পর সে নামাজ ও শুরু করে।  এর পর দেখা যায় ৮ম দিনে সামান্য, ৯ম দিনেও সামান্য blood আসে ( খুব ই সামান্য) । সে তবুও নামাজ continue করে যেহেতু তার হায়েজ কাল পার হয়ে গেছে।  এরপর ৩ দিন তার আর কোনো blood আসে নি।
তারপর ১৪ দিন পর অর্থাৎ ১৮ তারিখ থেকে হিসাব করে ১৪ দিন পর তার আবার blood আসে আর সেটা normal পিরিয়ড কালীন যেমন bleeding হয় সেরকম ই।
তো এমতাবস্থায়,  সেই আপু কি নামায এবং রমজান এ রোজা রাখতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض)
সারমর্মঃ দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে   
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
দুই হায়েজের মাঝে সর্বনিম্ন ১৫ দিন পবিত্রতা থাকে।

সেই হিসেবে প্রশ্নে উল্লেখিত বোনের ফেব্রুয়ারীর ১৮ তারিখে পিরিয়ড শুরু হয়,প্রশ্নের বিবরণ মতে ৯ম দিনেও সামান্য blood আসে,এ দিনকেও হায়েজের মধ্যে গন্য ধরা হবে,সুতরাং ২৬ শে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত তার হায়েজ এসেছিলো। ধরা হবে।

২৭ শে ফেব্রুয়ারী থেকে তার সর্বনিম্ন পবিত্রতার ১৫ দিন ১৩ ই মার্চ পর্যন্ত।

সুতরাং ১৮ ই মার্চ থেকে যে ব্লাড আসছে,এটি তিন দিন তিন রাত বা তার চেয়ে হলে হায়েজ বলে গন্য হবে।
এ সময়ে নামাজ আদায় করা যাবেনা।
রোযাও রাখা যাবেনা।
পরবর্তীতে রোযার কাজা আদায় করতে হবে।
হায়েজ শেষ হলে রমজানের বাকি দিন গুলোর রোযা আদায় করবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 221 views
0 votes
1 answer 251 views
...