আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
115 views
in সালাত(Prayer) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু,
১/মহিলাদের জন্য তো জামাত ওয়াজিব না তাই আমি ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথেই সালাত আদায় করি।    যেমন: যোহরের ওয়াক্ত ১২:১৫ তে শুরু হলে আমি আগে যাওয়ালের সালাত আদায় করি তারপর যোহরের সালাত আদায় করি। ৪ রাকাআত সুন্নত আদায় করার পর যোহরের আযান হয়।  আমি অনেক সময় সালাম ফেরানোর পর যদি দেখি আযান হচ্ছে তখন আমি আযানের জবাব দেই। এভাবে ৪ রাকাআত সালাত আদায়ের পর আযানের জবাব দেওয়া যাবে কিনা?।

২/ যেহেতু আমি ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথেই সালাত আদায় করি তাই অনেক সময়  যোহরের ফরজ সালাত আযান ও ইকামাতের মধবর্তী সময়ে আদায় করতে হয়। এইভাবে নামাজ আদায় হবে কিনা?
৩/ সুন্নত, ফরজ, ওয়াজিব,  নফল সালাতে তাশাহুদ, দুরুদ শরীফ, দোয়ায়ে মা' সুরা এরপরে
➡️ফুরকানের৭৪ নং আয়াত

➡️সুরা আসসাফফাত ১০০ নং আয়াত
➡️দোআ: [৪১.১] ঋণ মুক্তির জন্য দো‘আ #১

اَللّٰهُمَّ اكْفِنِيْ بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِيْ بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আপনার হালাল দ্বারা পরিতুষ্ট করে আপনার হারাম থেকে ফিরিয়ে রাখুন এবং আপনার অনুগ্রহ দ্বারা আপনি ছাড়া অন্য সকলের থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে দিন।

আল্লা-হুম্মাকফিনী বিহালা-লিকা ‘আন হারা-মিকা ওয়া আগনিনী বিফাদ্বলিকা ‘আম্মান সিওয়া-ক

তিরমিযী ৫/৫৬০, নং ৩৫৬৩ আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৮০।

➡️দোআ: [২৪.১] কবর ও জাহান্নামের আযাব এবং জীবন, মৃত্যু ও দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাওয়ার দোআ

اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَمِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ، وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيْحِ الدَّجَّالِ
হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি কবরের আযাব থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে, জীবন-মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের ফিতনার অনিষ্টতা থেকে

আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি ওয়া মিন ‘আযা-বি জাহান্নামা, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহ্ইয়া ওয়াল মামা-তি, ওয়া মিন শাররি ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জা-ল

বুখারী ২/১০২, নং ১৩৭৭; মুসলিম ১/৪১২, নং ৫৮৮। আর শব্দ মুসলিমের।
এই চারটা দোয়া পাঠ করা যাবে কিনা???  সালাম ফিরানোর আগে পাঠ করা যাবে কিনা?

৪/ সেজদায় আরবিতে কোন কোন দোয়া করা যাবে তার লিস্ট দিন।  সেজদায় বাংলায় দোয়া করা সম্পর্কে কোনো মতবাদ আছে কিনা?
সেজদায় কুরআনের আয়াত পাঠ করা যাবে কিনা?  যেমন: ফুরকান এর ৭৪ নং আয়াত এবং
সুরা আস সাফফাত ১০০ নং আয়াত

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


মেয়েদের জন্য আউয়াল ওয়াক্তে নামাজ পড়া বেশি উত্তম।
,
আউয়াল ওয়াক্তে ছালাত আদায়ের গুরুত্ব :
আল্লাহ তা‘আলা ছালাতের ওয়াক্ত সম্পর্কে বলেন,

 إِنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِيْنَ كِتَابًا مَوْقُوْتًا 

‘নিশ্চয় মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে ছালাত ফরয করা হয়েছে’ (নিসা ১০৩)।

عَنْ أُمِّ فَرْوَةَ قَالَتْ سُئِلَ رَسُوْلُ اللهِ أَىُّ الأَعْمَالِ أَفْضَلُ قَالَ الصَّلاَةُ فِىْ أَوَّلِ وَقْتِهَا.

উম্মু ফারওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আমল সমূহের মধ্যে কোন্ আমল সর্বাধিক উত্তম? তিনি উত্তরে বলেন, আউয়াল ওয়াক্তে ছালাত আদায় করা।
ছহীহ আবুদাঊদ হা/৪২৬, ১/৬১ পৃঃ; তিরমিযী হা/১৭০, ১/৪২ পৃঃ; সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/৬০৭; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৫৫৯, ২/১৭৯ পৃঃ।

والمراد بأول وقت الصلاة من حين دخول وقتها.
في الشرح الممتع للشيخ ابن عثيمين: الصلاة على وقتها ـ أي: من حين دخول وقتها

সারমর্মঃ
নামাজের আওয়াল ওয়াক্ত দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ওয়াক্ত দাখিল হওয়ার পর পরই নামাজ আদায় করা।
শায়েখ ইবনে উসাইমিন রহঃ এমনটিই উল্লেখ করেছেন।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
এভাবে ৪ রাকাআত সালাত আদায়ের পর আযানের জবাব দেওয়া যাবে।

(০২)
এই ভাবে নামাজ আদায় হবে।
কোনো সমস্যা নেই।

(০৩)
এই চারটা দোয়া পাঠ করা যাবে সালাম ফিরানোর আগে পাঠ করা যাবে। 

তবে ফরজ আর ওয়াজিব নামাজে সালাম ফিরানোর আগে এ দোয়া গুলি পাঠ করা হতে অনেকে অনুৎসাহিত করেছেন।

(০৪)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন

إِنَّ هَذِهِ الصَّلَاةَ لَا يَصْلُحُ فِيهَا شَيْءٌ مِنْ كَلَامِ النَّاسِ، إِنَّمَا هُوَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ»

নিশ্চয় এ নামায; এতে মানুষের মুখে প্রচলিত কথা বলা উচিত নয়। নিশ্চয় এটি তাসবীহ, তাকবীর এবং কুরআন তিলাওয়াতের স্থান। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৫৩৭] 

আপনি নামাযের বাহিরে বাংলায় দু'আ করবেন, অথবা আপনি আপনার অন্তরে সেই বিশেষ বিষয়কে উপস্থিত রেখে মুজমাল দু'আ যাতে দুনিয়া আখেরাতের সকল প্রকার কল্যাণ রয়েছে,যেমন "রাব্বানা আতিনা ফিদ-দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ"  কুরআন-হাদীসে বর্ণিত এমন দু'আ করতে পারবেন।

নফল সালাতে বাংলায় দু'আ সম্পর্কে কেউ কেউ রুখসত দিয়ে থাকেন।

বিস্তারিত জানুনঃ   

নামাযের সেজদায় শুধুমাত্র কুরআন-হাদীসে বর্ণিত দু'আ গুলোই করা যাবে।
সেজদায় গিয়ে سبحان  ربي الأعلى 
ছাড়াও অন্যান্য দোয়া পড়া যাবে। সমস্যা নেই। কিন্তু দুনিয়াবি দোয়া বা আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষায় দুআ করা যাবে না।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেজদায় অনেক দোয়া পাঠ করতেনঃ

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- كَانَ يَقُولُ فِى سُجُودِهِ « اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِى ذَنْبِى كُلَّهُ دِقَّهُ وَجِلَّهُ وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ সেজদায় পড়তেন আল্লাহুম্মাগফিরলি জামবি’ কুল্লাহু দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু ওয়া আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু”। {তাহাবী শরীফ, হাদিস নং-১৩০৭, সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৮৭৮, সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-১১১২, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস নং-৬৭২, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-১৯৩১}
আরো জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
সেজদায়ে কুরআন হাদীসে বর্ণিত যেকোনো দোয়া আরবীতে করা যাবে।

তবে বাংলায় দোয়া করা যাবেনা।
কিছু ইসলামী স্কলারগন নফল নামাজে সেজদায় বাংলায় দোয়া করার রুখসত প্রদান করেছেন।
তাদের মতানুসারীগন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...