প্রশ্ন(১)ঃ হুজুর, স্বামীকে বিয়ে করতে বলা কি মহিলাদের ক্ষেত্রে কেনায়া বাক্য?
প্রশ্ন(২)কোন মহিলা যদি তালাকের অধিকারপ্রাপ্ত হয়, তার ক্ষেত্রে কেনায়া তালাকের বাক্য কেমন হবে?
প্রশ্ন(৩)সে কোন কোন শব্দ দ্বারা কেনায়া তালাক নিতে পারবে?
প্রশ্ন(৪)আর কেনায়ার নিয়ত কেমন থাকবে? মহিলা নিজের ওপর পতিত করছে / নিচ্ছে এরকম নিয়ত থাকবে? একটু বুঝিয়ে বলবেন হুজুর প্লিজ।
ঘটনা(১)
হুজুর আমি আমার স্বামীকে বলি, শুনেন আপনি আমাকে কখনও যা খুশি কর এই বাক্য টা আর বলবেন না৷ তখন হাসবেন্ড বলে, বলছি? এখন কি বলছি? আমি বলি, না বলেন নাই। কিন্তু সাধারণ কথায়ও বলবেন না৷
হুজুর আমি তালাকের টেনশনে কাদতে থাকি, আর বলি, আমার সাথে কেন হলো এসব। কত সুন্দর সংসার ছিল। এটা বলার সঙ্গে সঙ্গে আমার হাজব্যান্ড চিল্লায়ে উঠে বলে, কি হইছে কি? ভেঙে গেছে? ভাঙছে?
তারপর আমি বলি ভাঙ্গে নাই।
আমি আরেকদিন আমার স্বামীকে বলি, আপনি আমাকে সম্পর্ক নাই, শেষ এসব বলেন নাই তো? তখন সে বলে, আমি নাই শেষ এসব কিছুই বলি নাই।
প্রশ্ন(৫)ঃহুজুর উপরের কথার মাঝে কোন সমস্যা হয়েছে?
প্রশ্ন(৬)ঃ হুজুর, "তোমার সাথে কোন সম্পর্ক রাখবো না" এটা তো ভবিষ্যৎ মূলক বাক্য। অনেকে বলেছে এটা ওয়াদামূলক বাক্য। এটা কি কেনায়া হবে?
প্রশ্ন(৭)হুজুর স্বামী সাথে ফোনে তালাকের মজলিস হওয়ার পর যদি তাদের কেউ একজন ফোন কেটে দেয়৷ তালহে কি মজলিস শেষ হয়েছে ধরা হবে?
প্রশ্ন(৮)তার কিছুক্ষণ পর আবার ফোন দিল তখনও কি মজলিস অব্যাহত থাকবে? নাকি প্রথম ফোন কেটে দেওয়ার পর মজলিস শেষ হবে?
ঘটনা (২)
হুজুর আমাকে কাবিন নামায় তালাকের অধিকার দেওয়া হয়েছে কিনা আমরা কেউ জানি না৷ তবে আমার স্বামী মৌখিকভাবে কখনও দেয় নাই। আমার এই ওয়াসওয়াসা শুরুর পর আমার ছোট ভাই এক হুজুরের কাছে যায়। তার সাথে আমার কথা বলায় দেয়। আমি তাকে আমার সমস্যা খুলে বলি৷ হুজুর সে জ্বীন দিয়ে তদবির করে। তখন আমি জানতাম না এটা জায়েজ না৷ তো সেই হুজুর বলে তিনদিন পর তার কাছে যেতে। আমার ছোট ভাই তিনদিন পর তার কাছে যায় কি সমস্যা এটা জানতে৷ তখন আমার টেনশন হচ্ছিল হুজুর কি বলে না বলে এটা নিয়ে। বেশ কয়েক ঘন্টা পরও আমার ভাই কোন কিছু জানাচ্ছিল না। পরে আমি আমার স্বামীকে ফোন দিয়ে বলি, "রিফাত তো ফোন ধরতেছে না। হুজুর কি সমস্যার কথা বললো নাকি। আমার খুব ভয় করতেছে৷ তাকে তো তালাকের ওয়াসওয়াসা নিয়ে বলছিলাম। সে নাকি জ্বীন দিয়ে তদবির করে। জ্বীন কি কোন সমস্যা হইছে বললো নাকি। তারপর হাসবেন্ড বলে আরে টেনশন কইরো না। কোন সমস্যা হয় নাই৷ পরে আমি কিছুক্ষন পরে আবার বলি, আমার মনে হয় সব শেষ। সব শেষ৷ কোন সমস্যা পাইছে। ( এখানে আমি বুঝাইতে চাইছি তালাক সংক্রান্ত কোন সমস্যা হইছে। আমাদের হয়ত সম্পর্ক আর নাই) । আমার স্বামী বলতেছিল, কিছুই হয় নাই।এত টেনশন কইরো না।
প্রশ্ন(৯)ঃ হুজুর আমার এসব বলা দ্বারা কি তালাক হইছে? আমার অধিকার আছে কিনা জানি না৷ ভয়ে, টেনশনে সন্দেহবশত বলছিলাম এমনটা।