আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
225 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (38 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ।
জনৈক মুসলিম মেয়ের সাথে হিন্দু থেকে মুসলিম হওয়া ছেলের বিয়ে হয় কাজী অফিসে। কাজী এবং ছেলে আর মেয়ে ছাড়া কেউ ছিলো না সেখানে। কিছুদিন পর মেয়ে বুঝতে পারে,ছেলেটা ইসলাম সম্পর্কে,দ্বীন সম্পর্কে পুরোপুরি জানে না,বা মানতে পারছে না,নামায পড়তো না। তার মনে সন্দেহ তৈরি হয় যে ছেলেটি সত্যিই মন থেকে ঈমান এনেছিলো কিনা বা প্রকৃতপক্ষে মুসলিম হয়েছিলো কি না। বিয়ের আগ দিয়ে ইসলাম সম্পর্কে তাকে বুঝানো হয় এবং এভিডেভিড এর মাধ্যমে মুসলিম হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ছেলেটির কিছু কথাবার্তায় মেয়েটির মনে ভয় ঢুকে সে মুসলিম আছে কি নেই(আল্লাহই ভালো জানেন সত্যি সে মুসলিম ছিলো কিনা/ঈমান ছিল কিনা সঠিক)।ইত্যাদি কারণে+ফ্যামিলির চাপে সেই কাগজপত্র পুড়িয়ে ফেলা হয়,আর ঐ ছেলের সাথেও কোনো কথা হয়না। এরপর বেশ অনেক দিন চলে যায়।ভালো মুসলিম পরিবারের ছেলের সাথে মেয়েটির বিয়ে হয়,পারিবারিকভাবে,মূলত ঐ ছেলের কাছ থেকে মানসিকভাবে আলাদা হওয়ার জন্য+অর্ধেক দ্বীন পূরণে বিয়ের চিন্তাভাবনা করে ভালো মুসলিম কারো সাথে।আর যেহেতু বিয়ের সময় কাজী এবং তারা দুজন ছাড়া অন্য কেউ ছিলো না,তার মানে বিয়ে হয়তো হয়ই নি এজন্য তালাকও নেয়নি। আবার,এখন যেহেতু এখন যার সাথে বিবাহিত,স্বামীর দ্বীনি বুঝ আছে,এখন মেয়েটা চাচ্ছে না এ পূর্বের বিষয় টেনে এনে সংসারে পেরেশানি আনতে,তালাক বিষয় নিয়ে কোনো কথা তাই আর বলেনি,ভাবেও নি,এই রিলেটেড কিছু করা মানে সংসারে অশান্তি।

উল্লেখ্য, একসাথে ঐ ছেলের সাথে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছে,সহবাসের সুযোগ ছিল। ভিডিও কলে ন্যাকেড অবস্থায় থাকতো,একে অন্যের হস্তমৈথুনের কারণ হতো। কিন্তু কখনোই শারীরিকভাবে মিলিত হয়নি। আলাদা স্থানে থাকতো।

যাহোক,আল্লাহর রহমতে দ্বীনের হিয়াদাত এখন মেয়েটির আছে। তওবার উপর থাকে। আল্লাহর বিধান সূক্ষ্ণভাবে মানার তাগিদে পূর্ণ পর্দা ও শরীয়াহর নিয়ম মেনে চলে।

প্রশ্ন হলো,আগের ঐ ভুল করে বিয়েটা কি হয়ে গিয়েছিলো?আর পরবর্তী বিয়ে সহীহ হয়েছে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


বিবাহের ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদিস শরিফে এসেছে, 

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত আগের সেই ভুল করে বিবাহটি শুদ্ধ হয়নি।
পরবর্তী বিবাহ সহীহ হয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...