بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন
إِنَّ هَذِهِ الصَّلَاةَ لَا يَصْلُحُ فِيهَا شَيْءٌ مِنْ كَلَامِ النَّاسِ، إِنَّمَا هُوَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ»
নিশ্চয় এ নামায; এতে মানুষের মুখে প্রচলিত কথা বলা উচিত নয়। নিশ্চয় এটি তাসবীহ, তাকবীর এবং কুরআন তিলাওয়াতের স্থান। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৫৩৭]
আপনি নামাযের বাহিরে বাংলায় দু'আ করবেন, অথবা আপনি আপনার অন্তরে সেই বিশেষ বিষয়কে উপস্থিত রেখে মুজমাল দু'আ যাতে দুনিয়া আখেরাতের সকল প্রকার কল্যাণ রয়েছে,যেমন "রাব্বানা আতিনা ফিদ-দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ" কুরআন-হাদীসে বর্ণিত এমন দু'আ করতে পারবেন।
নফল সালাতে বাংলায় দু'আ সম্পর্কে কেউ কেউ রুখসত দিয়ে থাকেন।
বিস্তারিত জানুনঃ
নামাযের সেজদায় শুধুমাত্র কুরআন-হাদীসে বর্ণিত দু'আ গুলোই করা যাবে।
সেজদায় গিয়ে سبحان ربي الأعلى
ছাড়াও অন্যান্য দোয়া পড়া যাবে। সমস্যা নেই। কিন্তু দুনিয়াবি দোয়া বা আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষায় দুআ করা যাবে না।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেজদায় অনেক দোয়া পাঠ করতেনঃ
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- كَانَ يَقُولُ فِى سُجُودِهِ « اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِى ذَنْبِى كُلَّهُ دِقَّهُ وَجِلَّهُ وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ সেজদায় পড়তেন আল্লাহুম্মাগফিরলি জামবি’ কুল্লাহু দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু ওয়া আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু”। {তাহাবী শরীফ, হাদিস নং-১৩০৭, সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৮৭৮, সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-১১১২, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস নং-৬৭২, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-১৯৩১}
আরো জানুনঃ
.
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
হানাফী মাযহাব অনুসারে যেকোনো ধরনের স্বলাতে অর্থাৎ ফরজ, সুন্নাত, নফল, বিতির স্বলাতে সিজদায় আরবি কুরআন হাদীসে বর্ণিত দু'আ করা যাবে,তবে বাংলায় দু'আ করা যাবেনা।
বাংলায় দু'আ করলে স্বলাত ভেঙ্গে যাবে।
তবে নফল সালাতে বাংলায় দু'আ সম্পর্কে কেউ কেউ রুখসত দিয়ে থাকেন।
(০২)
সেজদায়ে কুরআন হাদীসে বর্ণিত দু'আ করতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
নামাজ ইবাদত। ইবাদতের মাঝে যা কিছু করা হয়, সবই উক্ত ইবাদতের অন্তর্ভূক্ত। সুতরাং তার মাঝে দোয়া করা সেটিও ইবাদতের অংশ।
আর ইবাদত আরবি ভাষায়ই আদায় করতে হয়। অন্য ভাষায় ইবাদত আদায় হয় না। যেমন নামাজ, হজ্বের তাকবির, আজান, ইকামত ইত্যাদি।
সুতরাং অন্য ভাষায় দোয়া করলে নামাজ হবে না। বরং দোয়া আরবি ভাষায়, বা কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত দোয়াই কেবল করা যাবে। নামাজে দোয়া করতে হলে আরবি দোয়াই করা এটিই বিধান।
নামাজের সেজদাহ ব্যাতিত নামাজের বাহিরে সেজদায় গিয়ে বাংলায় দোয়া করতে সমস্যা নেই।