আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
122 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায,
আমি খুবই ব্যথিত এবং মর্মাহত আমার পিতা মাতার জন্য। আল্লাহ আমাকে আমার পিতা মাতার মাধ্যমে কঠিন পরীক্ষা নিচ্ছেন।২০১৩ সাল থেকে তাদেরকে দ্বীনের দাওয়াত দিচ্ছি।তারা প্রচন্ড দুনিয়াদার। দ্বীনি জ্ঞান শূন্য একজন মানুষ যেমন দুনিয়ার প্রতি আকৃষ্ট এবং সন্তানদের শুধু দুনিয়ায় খ্যাতি লাভের শিক্ষা দেয়,তারাও ঠিক তেমনই।

ভার্সিটি লাইফে মারত্মক ফিতনায় পড়েছিলাম।বিয়ে করতে চাওয়ার বিষয়টা যখন তাদের জানালাম, তারা মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি করলো এবং হার্ট ফেইল সহ আরো নানা বিপত্তি তৈরি হল।একবারও আমার আবেগ, ঈমানের হিফাজত এবং বাস্তবতাকে বোঝার চেষ্টা করলোনা।বাধ্য হয়ে গোপনে বিয়ে করি।গত দু বছর যাবৎ সংসার করছিলাম একদম নিরবচ্ছিন্ন ভাবে এবং গোপনে আলহামদুলিল্লাহ।সমস্যা দাড়ালো সন্তান হওয়ার পর।বাধ্য হলাম মা বাবাকে জানানোর জন্য।মাকে কোনোমতে জানালাম।তিনি মৃতপ্রায় হয়ে গেলেন।শেষমেশ আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাকে বুঝ দান করলেন এবং স্বাভাবিকের দিকে এসেছেন।কিন্তু,আমার বাবাকে কোনোভাবেই বিষয়টা জানানো যাচ্ছেনা।এতে তিনি হার্ট এটাকও করতে পারেন।আম্মু আমাকে এভাবেই বললেন।

আমি চিন্তা করলাম যদি এমন একটি অবস্থা তৈরি করতে পারি যে,আমি আল্লাহর উপর ভরসা করে বাবাকে দ্বীন বুঝাতে কোনোভাবে সক্ষম হই তবে তিনি নিজেই আমার কাজের জন্য আনন্দিত হবেন এবং ফিতনা থেকে বেচে থাকার প্রয়াসকে সাধুবাদ দিবেন।আম্মুও এতে সম্মতি দিলেন।আমি চাচ্ছি এই রমাদানে তাকে সমস্ত বিষয়ে বিশদভাবে বোঝানোর।

আপ্নি আমাকে একটি কার্যকর দাওয়াতী পদ্ধতি বলে দিন যে টা এ মূহুর্তে এপ্লাই করতে পারবো।কিংবা এ বিষয়ে কোনো বই থাকলে সেটাও বলুন।

( উল্লেখ্য যে, আমার মা বাবাকে আমি ছাড়া পৃথিবীর কেউই কিছু বুঝিতে দমাতে পারবেনা)

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
لَأَنْ يَهْدِيَ اللَّهُ بِكَ رَجُلًا وَاحِدًا خَيْرٌ لَكَ مِنْ أَنْ يَكُونَ لَكَ حُمْرُ النَّعَمِ

“তোমার মাধ্যমে যদি আল্লাহ একজন লোককেও হেদায়েত দেন তবে তা তোমার জন্য একটি লাল উট পাওয়া থেকেও উত্তম।” (বুখারী ১২/৩৭)

তিনি আরো বলেন:

مَنْ دَعَا إِلَى هُدًى كَانَ لَهُ مِنْ الْأَجْرِ مِثْلُ أُجُورِ مَنْ تَبِعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا

“যে ব্যক্তি হেদায়েতের পথে আহবান করে সে ঐ পরিমাণ সওয়াবের অধিকারী হয় যে ব্যক্তি তদনুযায়ী আমল করে। কিন্তু এতে আহ্বানকারীর সওয়াব কমানো হয় না।”(সুনানু আবি দাউদ-৪৬০৯)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বাবাকে দ্বীনদার বানানোর জন্য আপনি তাকে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতে পাঠাতে পারেন,অথবা কোনো হক্কানী শায়েখের কাছে পাঠাতে পারেন।

সমাধান না হলে পরিবারের মুরব্বিদের মাধ্যমে বা এলাকার ইমাম/আলেমদের মাধ্যমে বুঝাতে পারেন।
এর পূর্বে আপনার বাবার মনে সে সমস্ত ইমাম/আলেমদের আস্থা সৃষ্টি করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...