ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
আপনি এটাকে হায়েয ধরবেন।
(২)
রোযা অবস্থায় থুথু গিলে ফেললে রোযার কোনো সমস্যা হবে না। তবে ইচ্ছাকৃত থুথুকে জমা করা তারপর উক্ত থুথুকে গিলে ফেলা জায়েয হবে না।
الفتاوى الهندية (1 / 199):
"وَيُكْرَهُ لِلصَّائِمِ أَنْ يَجْمَعَ رِيقَهُ فِي فَمِهِ ثُمَّ يَبْتَلِعَهُ كَذَا فِي الظَّهِيرِيَّةِ".
(৩)
সূরা মিলানোর সময় সেই সূরা তিলাওয়াতে যদি ভুল হয়ে যায়, অতঃপর সঠিক করে তিলাওয়াত করা হয়, তাহলে এতে করে নামায ফাসিদ হবে না।এবং সাহু সিজদাও ওয়াজিব হবে না। তাছাড়া সালাতের দরুদ কিংবা দোয়ায়ে মাসুরায় ভুল হলে, সেটাকে যদি সঠিক করে পড়া হয়, তাহলে এতেকরেও সাহু সেজদা দিতে হবে না।