বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
সে হিসেবে বাসায় কারো হাতের কাটা ফল খাওয়া যাবে।
(০২)
বাসার কেউ যদি ভেজা হাতে স্পর্শ করে তাহলে পাক হিসেবেই ধরবেন।
(০৩)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ ثِیَابَکَ فَطَہِّرۡ ۪﴿ۙ۴﴾
আর আপনার পরিচ্ছদ পবিত্র করুন।
(সুরা মুদ্দাচ্ছির ০৪)
الدر المختار: لُفَّ طَاهِرٌ فِي نَجِسٍ مُبْتَلٍّ بِمَاءٍ إنْ بِحَيْثُ لَوْ عُصِرَ قَطَرَ، تَنَجَّسَ وَإِلَّا لَا. وَلَوْ لُفَّ فِي مُبْتَلٍّ بِنَحْوِ بَوْلٍ، إنْ ظَهَرَ نَدَاوَتُهُ أَوْ أَثَرُهُ تَنَجَّسَ وَإِلَّا لَا
সারমর্মঃ
কোনো নাপাক কাপড় যদি পানি দ্বারা ভিজে যায়,এক্ষেত্রে সেই ভেজা কাপড়ের সাথে পবিত্র কাপড় স্পর্শ করলে উক্ত নাপাক কাপড় যদি নিংড়ানোর দ্বারা নিংড়ানো যায়,তাহলে উক্ত পবিত্র কাপড় নাপাক হয়ে যাবে।
আর যদি উক্ত নাপাক কাপড় পেশাব ইত্যাদি মিশ্রিত হয়,তাহলে সেই পবিত্র কাপড়ে নাপাকির চিন্হ,গন্ধ পাওয়া গেলে সেই পবিত্র কাপড় নাপাক হয়ে যাবে।
নতুবা নয়।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত নাপাক কাপড় যদি ভিজে যায়,অথবা ভেজা শরীরে নাপাকির কোনো গন্ধ বা চিন্হ পাওয়া যায়,সেক্ষেত্রে শরীর নাপাক হবে।
নতুবা শরীর নাপাক হবেনা।
আরো জানুনঃ
(০৪)
তাহলে নামাজ হবে।
(০৫)
তাদের দোকানের মিষ্টি খাওয়া যাবে।
তবে পাশে কোনো মুসলিমের মিষ্টির দোকান থাকলে মুসলিমের দোকান মিষ্টি ক্রয় উত্তম বলে বিবেচিত হবে।
(০৬)
তিনবার ধুয়ে নিবেন,আর প্রত্যেকবার ঝেড়ে নিবেন।
যদি সরাসরি ট্যাপে বা অন্য কোনো প্রবাহিত পানিতে সেটি ধৌত করেন,সেক্ষেত্রে ট্যাপ চালিয়ে একবার ভালোভাবে ধোয়া হলেই সেই ব্রাশ পাক হবে।