আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
268 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম হুজুর,
১. আমি ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত রুগী। ওয়াসওয়াসা হওয়ার পর আমার অনেক ভালো কিছু পরিবর্তন এসেছে জীবনে । আবার অনেক কষ্ট ও হয় খুবই অকারণে চিন্তা হয় । প্রচুর পরিমাণে চিন্তা হয়।

আল্লাহর প্রতি ভয় হয়েছে জীবনে,  একদম শান্ত প্রকৃতির হয়ে গেছি ।
তাই আমি যদি মনে করি ওয়াসওয়াসা হয়ে ভালো হয়েছে। অনেক পাপ থেকে ও বেচেঁ যাচ্ছি , কিছু ক্ষেত্রে ছাড় পাচ্ছি ।
ইত্যাদি ভাবলে কি  ঈমান চলে যাবে??
যদি না জেনে শুনে এমন ভাবনা হচ্ছে আল্লাহর কাছে দুয়া করি আমাকে যেনো মাফ করে দেই। আমি না জেনে না বুঝে জানার জন্য প্রশ্ন করছি।
হুজুর এমন ভাবনার জন্য কি ঈমান চলে যাবে ? বা কবিরা গুণহা হবে??

২. হুজুর একটা বাংলা গান আছে তার একটি লাইন হলো "" আমি বৌ পাগলা আমি বৌএর গোলাম""""

হুজুর আমি তহ শুধু মাত্র গানটা বলেছিলাম । হুজুর না জেনে বুঝে এমন গান করেছি আস্তাগিরুল্লাহ।

আমরা তো আল্লাহর গোলাম । হুজুর না জেনে বুঝে গান করেছি আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না জাস্ট মজা করে বৌ কে একটু হাসানোর জন্য গান করেছিলাম । হুজুর আমি না জেনে ভুল করেছি , এটা আমার জানা ছিল না ঈমানের জন্য ক্ষতিকর, ।

হুজুর না জেনে ভুল হয়েছে । সম্পূর্ণ না জেনে ভুল হয়েছে ।
আমার কি ঈমান চলে যাবে??

৩. হুজুর আমি জেনেছি ওয়াসওয়াসা রুগী দের তালাক গ্রাহ্য হয়না। এবং যতই কুফরী কথা বলুক তার ঈমান বহাল থাকবে।

এই কথা গুলো আমি আমার বন্ধু কে বলছিলাম যে , ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত রুগী যদি তালাক , তালাক, তালাক, বলে তবু ও কিছু হবে না।
হুজুর এইটা বলার পর আমার ভয় হচ্ছে তালাক হয়ে গেলো নাকি আমার তাই বলে। হুজুর আমি তহ শুধুমাত্র বন্ধুকে বোঝানোর জন্য বলেছি । আমার কোনো নিয়ত ছিল না। আমি
শুধুমাত্র ওয়াসওয়াসা রুগী দের তালাক এর বিষয় এ বোঝানোর ক্ষেত্রে বলেছি। এক্ষেত্রে কি আমার তালাক হবে নাকি ??

আমার খুব ভয় হচ্ছে হুজুর । আমি সাধারণ ভেবে বলেছি। শুধুমাত্র তাকে বোঝানোর জন্য বলেছি। আল্লাহ কসম করে বলছি আমি আমার বন্ধুকে বোঝানোর জন্য তালাক শব্দ টা ব্যাবহার করেছি।

আমার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো?

৪. হুজুর আমার  স্ত্রী র সঙ্গে একটু মন কষা কষি হয়।। আমার স্ত্রী আমাকে একটা কাজ করতে বলছিলো আমি সেটা করিনি বার বার বলার জন্য একটা গালে থাপ্পর মেরেছি । এর জন্য আমার স্ত্রী খুবই কষ্ট পাই দিয়ে বিছানা তে শুয়ে পড়েছে। আমি তাকে গিয়ে আদর করছি বলছি যা হয়েছে রাগ করোনা  যা হয়েছে বাদ দাও, দিয়ে হাত ধরে উঠতে বলছিলাম।
স্ত্রী বলছে আমি এখন বিছানা থেকে উঠবেনা আমাকে ছেড়ে দাও। আমর ভয় হয়ে যায় ছেড়ে দাও বললো কেনো , স্ত্রী কে জিজ্ঞাসা করলাম ছেড়ে  দাও বললে কেনো সে বললো আমি এখন বিছানা থেকে উঠবোনা পড়ে উঠবো ছেড়ে দাও মানে বোঝাতে চেয়েছি আমাকে জোর করোনা আমি বিছানা থেকে পরে উঠবো। আমি স্ত্রী কে আবারও জিজ্ঞাসা করলাম তুমি কি অন্য কিছু হিসেবে বলেছ , স্ত্রী বললো আমি কি পাগল নাকি যে অন্য কিছু হিসেবে বলবো । আমি সাধারণ হিসেবে বলেছি ছেড়ে দাও বিছানা থেকে পড়ে উঠবো সেই উদ্দেশে বলেছি।
হুজুর আমার খুব ভয় হচ্ছে , আমার স্ত্রী কে ছাড়া আমি শেষ। সে তো সাধারণ হিসাবে বলেছে  কোনো সমস্যাই নেই স্ত্রীকে অনেক বার জিজ্ঞাসা করেছি সে বলেছে আমি বিছানা থেকে পড়ে উঠবো সেই উদ্দেশ্যে বলেছি ছেড়ে দাও। আমি ওয়াসওয়াসা রুগী তাই আমার ভয় হচ্ছে।

হুজুর আমার কি এক্ষেত্রে তালাক বা তালাকের মজলিস হবে??

হুজুর একদম সাধারণ ঘটনা । আমার স্ত্রী কে জিজ্ঞাসা করেছি কোনো সমস্যা নেই তাই বলেছে। সে নরমালি বলছে হুজুর।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
 ( رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا )
হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না।(সূরা বাকারা-২৮৬)
অন্য এক আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
 (وَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ فِيمَا أَخْطَأْتُمْ بِهِ وَلَكِنْ مَا تَعَمَّدَتْ قُلُوبُكُمْ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا)
এ ব্যাপারে তোমাদের কোন বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তবে ইচ্ছাকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা আহযাব-৫)


রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4560


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
আপনার ভাবনা, আমি যদি মনে করেন যে, ওয়াসওয়াসা হয়ে ভালো হয়েছে। অনেক পাপ থেকে ও বেচেঁ যাচ্ছি , কিছু ক্ষেত্রে ছাড় পাচ্ছি ।
এসব ভাবলে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
না জেনে, না শুনে এমন ভাবনা এবং প্রশ্নর জন্য আপনার কোনো ক্ষতি হবে না।ঈমানেও কোনো সমস্যা হবে না। 

(২)
" আমি বৌ পাগলা আমি বৌএর গোলাম" এটা বলার সময় বৌকে আল্লাহর সমতুল্য প্রমাণিত করার যেহেতু নিয়ত ছিল না, তাই ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(৩)
প্রশ্নের বিবরণমতে আপনার কোনো সমস্যা হবে না।

(৪)
প্রশ্নের বিবরণমতে আপনার কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...