ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত উমর রাযি এর নিকট একজন ব্যক্তি এসে বলল,
أَتَى عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ رَجُلٌ , فَقَالَ : إِنَّ لِي بِنْتًا كُنْتُ وَأَدْتُهَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَاسْتَخْرَجْنَاهَا قَبْلَ أَنْ تَمُوتَ , فَأَدْرَكَتْ مَعَنَا الْإِسْلَامَ , فَأَسْلَمَتْ فَلَمَّا أَسْلَمَتْ أَصَابَهَا حَدٌّ مِنْ حُدُودِ اللَّهِ , فَأَخَذَتِ الشَّفْرَةَ لِتَذْبَحَ نَفْسَهَا , فَأَدْرَكْنَاهَا وَقَدْ قَطَعَتْ بَعْضَ أَوْدَاجِهَا , فَدَاوَيْتُهَا حَتَّى بَرِئَتْ ، ثُمَّ أَقْبَلَتْ بَعْدَ تَوْبَةٍ حَسَنَةٍ وَهِيَ تُخْطَبُ إِلَى قَوْمٍ , فَأُخْبِرُهُمْ مِنْ شَأْنِهَا بِالَّذِي كَانَ ؟ فَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : " أَتَعْمَدُ إِلَى مَا سَتَرَهُ اللَّهُ فَتُبْدِيهِ , وَاللَّهِ لَئِنْ أَخْبَرْتَ بِشَأْنِهَا أَحَدًا مِنَ النَّاسِ لَأَجْعَلَنَّكَ نَكَالًا لِأَهْلِ الْأَمْصَارِ أَنْكِحْهَا نِكَاحَ الْعَفِيفَةِ الْمُسْلِمَةِ "
(الزهد لهناد بن السري- باب الستر- حديث رقم 1402)
আমার একটি মেয়ে আছে, যাকে আমি জাহিলিয়াতের যুগে জীবন্ত পুতেছিলাম।অতঃপর মৃত্যুর পূর্বেই বের করে নিয়ে এসেছিলাম।অতঃপর আমাদের নিকট ইসলামের দাওয়াত পৌছল, আমাদের সাথে সেও ইসলাম গ্রহণ করলো। ইসলাম গ্রহণের পর তার উপর আল্লাহর হদ কায়েম হল অর্থাৎ তার উপর যিনার শাস্তি বাস্তবায়ন করা হল। সে একটি দাড়ালো চুরি হাতে নিল,নিজেকে শেষ করার জন্য। আমরা তাকে প্রতিহত করলাম তবে সে তার গলার সামান্য রগ কেটে ফেলল।আমরা তাকে চিকিৎসা করালাম,অতঃপর সে সুস্থ হল।সে সুস্থ হওয়ার পর তার বিয়ের পয়গাম আসলো।ম অর্থাৎ এক জায়গা থেকে তার রিশতা আসলো। হে আমিরুল মু'মিনিন উমর রাযি!
আমি কি তার অতীত সম্পর্কে তাদেরকে অবগত করে দেবো দেবো। হযরত উমর প্রতিউত্তরে তখন বললেন, তুমি এমন জিনিষ প্রকাশ করতে যাচ্ছো, যার উপর আল্লাহ পর্দা ঢেলে দিয়েছেন।
"আল্লাহর কসম করে বলতেছি, যদি তুমি তোমার মেয়ে সম্পর্কে কাউকে কিছু বলো, তাহলে তোমাকে শহরবাসীর জন্য ইবরতের নিশানা বানাবো। তুমি তাকে পূতঃপবিত্র মুসলিম রমনির মত বিয়ে দাও।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ঐ মেয়ে পূর্বের সম্পর্কের কথা আপনাকে না জানিয়ে সঠিক কাজই করেছে। কেননা গোনাহকে লুকিয়ে রাখাই হচ্ছে ওয়াজিব।
(১)
যিনা ব্যভিচার হলে অবিবাহিত ব্যক্তিদের শাস্তি হল, ১০০ টি বেত্রাঘাত। আর বিবাহিত হলে, মৃত্যুদণ্ড।
যিনা ব্যভিচার না হলে, তখন শরীয়তের পক্ষ্য থেকে কোনো শাস্তি নির্ধারিত নয়। হ্যা, সরকারের পক্ষ্য থেকে ছোটোমোটো শাস্তি নির্ধারিত করার সুযোগ অবশ্যই থাকবে।
(২)
স্ত্রী কে তাওবাহর সুযোগ দেওয়ার স্বামীর উপর ওয়াজিব।