আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
195 views
in পবিত্রতা (Purity) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।১) আমার হায়েজ গতবারের আগে থেকে আমি ১০ দিন ধরে তারপর ফরজ গোসল করতাম।এতকিছু জানাও ছিলোনা।আর যতটুকু মনে পড়ে এমনটা করতাম কারণ পুরোপুরি ক্লিয়ার হতো না তাই!আগের এতটা খেয়ালও ছিলোনা কিন্তু গতমাসে আমার হায়েজ কখন ঠিক হইছে আমি খেয়াল করিনি।আর এই মাসে,অর্থাৎ মার্চের ৭ তারিখ  যোহরের আগে হায়েজ শুরু হইছে দেখেছিলাম।মার্চ মাসের ১৩ তারিখ যোহরের আগে হয়তো ক্লিয়ার দেখিনি, কথা হচ্ছে আমার হায়েজ বন্ধ হয়ে গেছে কিন্তু কিছুই দেখা যায় না,কোনো রঙ ই,তাই আমি ১৪ তারিখে নামাজ পড়া শুরু করি,টিসুতে সাদা টিসুর জন্য সাদা রঙ কেও একটু হলুদ ভাব দেখা যাচ্ছে,  এই ভেবে আমি নামাজ শুরু করে দেই।কিন্তু আজ ১৫ তারিখ আসরের ওয়াক্তে সাদা টিসুতে দেখলাম একটু হালকা কমলা রঙ এর।এখন আমি কি করবো বুঝতে পারতেছিনা।আমি কী অপেক্ষা করবো ১০ দিন হওয়ার?আর ১০ দিন কখন শুরু হবে যদি ৬ তারিখ রাত থেকে হায়েজ ধরা হয়? হায়েজের জন্য কি সাদাস্রাব হতে হবে নাকি সাদাস্রাব না আসলেও বন্ধ হয়ে গেলেই নামাজ পড়ে নিবো?আর প্রতিবার কি একই হিসাব অনুযায়ী নামাজ পড়বো,যেমন ৭ দিনে শেষ হয়ে গেলে পরের বার ৮ দিন লাগলেও ৭ দিনের দিন নামাজ শুরু করে দিবো? আরেকটি প্রশ্ন হচ্ছে ২) হারাম রিলেশন ছেড়ে দেয়ার পর যদি অন্য কাউকে বিয়ে করলেও হারাম রিলেশনে থাকা মানুষটার কথা মনে হয় তাহলে তো গুনাহ হবে তাই না?কি করলে হারাম রিলেশনে থাকা মানুষকে ভুলা যাবে?কল্পনা এসব সরানো যাবে? যার সাথে হারাম সম্পর্ক ছিলো তার সাথে বিয়ে হতে হলে অনেক ঝামেলা, পরিস্থিতি জটিল।আল্লাহ ভালো জানেন কার সাথে বিয়ে হবে।কিন্তু এখানে পরিস্থিতি জটিল কারণ ছেলের পরিবারের সাথে ঝামেলা মেয়ের পরিবারের।আর ছেলের ইনকাম এসব দিক দিয়েও মেয়ের পরিবার রাজি হবেনা।বড় ছেলে হওয়ায় ছেলের কাধে পরিবারের দায়িত্বও।ছেলে খারাপ না,ইসলামের এসব বুঝে,পর্দা নামাজ।কিন্তু পারিবারিক সমস্যা ছেলের দায়িত্ব এসব দিক দিয়ে,আর মেয়ের পরিবার ও রাজি হওয়ার সম্ভাবনা কম,ছেলের পরিবারও রাজি হওয়ার সম্ভাবনা কম।গ্রাম হওয়ায় ব্যাপারটা ছড়িয়ে গেছে। দুই পরিবারে ঝামেলা, কথা হয় কিন্তু ঝামেলা আছে।ছেলে মেয়ে চাচাতো ভাই বোন হয়।কি করা যাবে এখন? কি অনুযায়ী এখন চলা উচিত?অন্য ছেলেকে বিয়ে করতে গেলে ভয় কাজ করে যদি বিয়ের পর হারামে থাকা সেই ছেলেটার স্মৃতি,সেই ছেলেকে নিয়ে কল্পনা থাকে এই ভয় হয়।উপায় জানাবেন ইনশাআল্লাহ
একই বাড়ি হওয়ায় ভুলে থাকাটা কীভাবে পারা যাবে?ছেলেটার জন্য অপেক্ষা করে মেয়ে কি অন্য কাউকে বিয়ে করবে না?।আর ৩) উমরি কাযা নামাজ কি প্রতি ওয়াক্ত শুধু ফরজ টুকু পড়লেই হবে,যেমন যোহরের শুধু ফরজ ৪ রাকাত, এশার শুধু ফরজ ৪,মাগরিবের ৩ এরকম?

1 Answer

0 votes
by (589,170 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/78

اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি।
(ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7474

প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
আপনি অপেক্ষা করে দেখুন, যদি ১০ দিন বা ১০দিনের ভিতরে হায়েয বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে সেটা হায়েয হবে।যদি ১০ দিনকে পেরিয়ে যায়, তাহলে পূর্বের আদত যত দিনের ছিলো, সেইদিনগুলো হায়েয হবে, এবং অতিরিক্ত দিনগুলো ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য হবে। যদি পূর্বের কোনো অভ্যাস মনে না থাকে, তাহলে আপনি আপাতত ১০ দিন ধরে হায়েয গণনা করবেন এবং ১০ দিনের অতিরিক্ত দিনকে ইস্তেহাযা গণনা  করবেন।

(২)
আপনি তাকেই বিয়ে নিতে পারেন।অথবা অন্য কাউকেও বিয়ে করতে পারবেন।অন্য কাউকে বিয়ে করার পর তার কথা স্বরণ হলে সাথে সাথে মনকে ফিরিয়ে নিবেন।এতে আপনার কোনো গোনাহ হবে না।ইনশা'আল্লাহ।

(৩)
উমরি কাযা নামাযে ফরয এবং বিতির পড়লেই হবে।হ্যা, সময় সুযোগ থাকলে সুন্নতকে পড়ে নেয়াই উত্তম হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,170 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 162 views
...