তাওহীদের কথা শুনে যাদের মনে বিতৃষ্ণা আসে এবং বিপদে-আপদে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া থেকে দূরে থাকে। আর অন্তরে মুহাব্বতের সাথে ডাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বা মৃত ওলী আওলিয়া ও জীবিত (অনুপস্থিত) পীর মাশায়েখদেরকে এবং সাহায্য চায় তাদেরই কাছে । আল্লাহ তাআলা বলেন,
“আখিরাতের প্রতি প্রকৃত ঈমান যারা আনেনি তাদের কাছে যখন আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়, তখন তাদের অন্তরে বিতৃষ্ণা লাগে। আর যখন আল্লাহ ছাড়া অন্য উপাস্য (পীর বুজুর্গের) নাম উচ্চারণ করা হয়, তখন তাদের মনে আনন্দ লাগে।” (সূরা ৩৯; যুমার ৪৫)।
আসসালামুয়ালাইকুম হুজুর,
উপরুক্ত হাদীস টা সোনার পর মনে হচ্ছে আমি কোনো হুজুর কে কিছু বলছি বা চাইছি নানা কুফরী চিন্তা যেমন হুজুর এর কাছে কিছু চাওয়া আস্তাগিরুল্লাহ।। শুধু মাত্র মনে মনে একটু হচ্ছে আমি সঙ্গে সঙ্গে আস্তাগফিরুল্লাহ বলছি, লাহাউলা অলাওয়া কুয়াতা পড়ছি।
হুজুর আমি একজন ওয়াসওয়াসা রুগী। যা দেখছি তাই নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে। আমি আল্লাহ বিশ্বাস করি আখেরাত বিশ্বাস করি । ওয়াসওয়াসা র কারণে মনে না না রকমের প্রশ্ন হচ্ছে, যেগুলো নিয়ে আমি কখনো ভাবিনি ও করিনি। আমি ভীষন ওয়াসওয়াসা রুগী।
আমার এই রকম মনে হওয়ার জন্য কি কি কিছু হবে? আমি ইচ্ছাকৃত ভাবে মনে করছিনা তাও হয়ে যাচ্ছে আমি চেষ্টা করছি এ থেকে বিরত থাকা আমি মুখে কিছু উচ্চরণ করছিনা। আমি একদম মুখ বন্ধ করে আছি। আমি জানি এইগুলো শিরক , আমি সিরিক করতে চাইনা , মাঝে মাঝে নিজেকে কন্ট্রোল করে নিচ্ছি আবার মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে আমার ঈমান নিয়ে আমি ভীষন দুশচিন্তা তে রয়েছি। আমার ঈমান চলে গেলে জীবন শেষ। আমি ভীষন ওয়াসওয়াসা রুগী এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
আমার কি ঈমান চলে যাবে হুজুর??