আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
154 views
in পবিত্রতা (Purity) by (5 points)

১)কারো যদি মুখের কোথাও নাপাক হয় যেমন কপালে বা চোখের আসে পাশে।তখন হাত দিয়ে তিনবার মুখ ধুলে কি পাক হবে?হাত দিয়ে ধুলে তো হাতও নাপাক মুখের সাথে স্পর্ষ করে আবার ধোয়ার পর মুখের পানি হাতে পরে এক্ষেত্রে করনীয় কি?

২)কারো স্বপ্নদোষ হলো কিন্তু লজ্জাস্থান ব্যতীত এর আশে পাশে রানের দিকে নাপাকীর চিন্হ নাই তাহলে দুই পায়ের রানে ধোয়ার সময় হাত দিয়ে না কচলিয়ে শুধু তিনবার পানি ঢেলে দিলে কি পাক হবে?

৩) অনুরূপভাবে শরীরের যেকোনো জায়গায় যদি নাপাকী লাগে কিন্তু নাপাকীর কোনো চিন্হ না থাকে না তরল নাপাকী শুকিয়ে গেলে হাত দিয়ে ডলে ডলে না ধুয়ে শুধু তিনবার পানি ঢেলে দিলে যদি নাপাকীর কোনো অস্তিত্ব না থাকে তাহলে কি পাক হবে?

৪)কোনো জিনিস যা সরাসরি হারাম নয় কিন্তু মাকরুহ যেমন কাকড়া শামুক খাওয়া 

এরকম মাকরুহ জিনিসকে হারাম বললে কি ঈমান ভঙ্গ হবে?

৫)কেউ যদি কোনো কারণে বলে ধুর আমার কি ভাগ্য 

অথবা যদি নিজের ভাগ্যকে গালি দেয় তাহলে কি ঈমান ভঙ্গ হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,440 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
প্রথমেই একটি মাসয়ালা জেনে নেইঃ-

https://ifatwa.info/16102/ ফতোয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে, নাপাক কাপড় ধৌত করার সময় প্রত্যেকবার ভিন্নভাবে বালতি ধুয়ে পাক করার প্রয়োজন নেই। তৃতীয়বার কাপড়টি ধৌত করার পর তা পাক হয়ে যাবে। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় বার বালতি থেকে পানি সবটুকু ফেলে দিয়ে পরবর্তী বারের জন্য পানি নেয়া প্রয়োজন। 
,
এখানে বালতি নাপাক হওয়ার বিষয়টা প্রয়োজনের খাতিরে রহিত হয়ে যাবে। অর্থাৎ এভাবে যদি আমরা বালতিকে নাপাক বলি, তাহলে একটি কাপড় পবিত্র করা জন্য অনেক পানির প্রয়োজনিয়তা দেখা দিবে। সুতরাং যত সামান্য পানি লেগে থাকার কারণে উক্ত বালতি নাপাক হবে না। 

উসূলঃ প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে সিদ্ধ করে দেয়

ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
স্থান-কাল-পাত্র বেধে সময়ের  প্রয়োজনে ফুকাহায়ে কিরামগন সহজতার স্বার্থে আসল হুকুম থেকে সরে এসে তার বিপরীত সাময়িক হুকুম মাঝেমধ্যে প্রয়োগ করে থাকেন।একেই পরিভাষায় জরুরত বলে। জরুরত বা সময়ের চাহিদায় অনেক বিধিত সিদ্বান্তকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক পরিবর্তন করে দেয়।
এরকম কিছু ফিকহী মূলনীতি 'উসূলে ফিকহ' এর কিতাবাদিতে সবিস্তারে বর্ণিত আছে,তন্মধ্যে কিছু মূলনীতি হল।
 যথাক্রমেঃ-
ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)
এটা একাটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা/ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।

যেমনঃ-কোরআন থেকে.....
 ﻭَﻣَﺎ ﻟَﻜُﻢْ ﺃَﻻَّ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﻣِﻤَّﺎ ﺫُﻛِﺮَ ﺍﺳْﻢُ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﻗَﺪْ ﻓَﺼَّﻞَ ﻟَﻜُﻢ ﻣَّﺎ ﺣَﺮَّﻡَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﺇِﻻَّ ﻣَﺎ ﺍﺿْﻄُﺮِﺭْﺗُﻢْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﻭَﺇِﻥَّ ﻛَﺜِﻴﺮًﺍ ﻟَّﻴُﻀِﻠُّﻮﻥَ ﺑِﺄَﻫْﻮَﺍﺋِﻬِﻢ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﻋِﻠْﻢٍ ﺇِﻥَّ ﺭَﺑَّﻚَ ﻫُﻮَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﺎﻟْﻤُﻌْﺘَﺪِﻳﻦ
তরজমাঃ-কোন কারণে তোমরা এমন জন্তু থেকে ভক্ষণ করবে না, যার উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয়, অথচ আল্লাহ ঐ সব জন্তুর বিশদ বিবরণ দিয়েছেন, যেগুলোকে তোমাদের জন্যে হারাম করেছেন; কিন্তু সেগুলোও তোমাদের জন্যে হালাল, যখন তোমরা নিরুপায় হয়ে যাও। অনেক লোক স্বীয় ভ্রান্ত প্রবৃত্তি দ্বারা না জেনে বিপথগামী করতে থাকে। আপনার প্রতিপালক সীমাতিক্রম কারীদেরকে যথার্থই জানেন।(সূরা আন-আম-আয়াতঃ-১১৯)
,
আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন,
কারো যদি মুখের কোথাও নাপাক হয় যেমন কপালে বা চোখের আসে পাশে।তখন হাত দিয়ে তিনবার মুখ ধুয়ে ফেললে চেহারা পাক হবে। 
হাতও পাক হবে।

(০২)
এক্ষেত্রে সেই স্থান পাক হবে।
তবে গোসল ফরজ থাকায় তার শরীরকে পাক বলা যাবেনা।

(০৩)
এক্ষেত্রে তিনবার পানি ঢেলে দিলে যদি নাপাকীর কোনো অস্তিত্ব না থাকে,এবং নাপাকি চলে যাওয়া সম্পর্কে আপনার প্রবল ধারনা হয়, তাহলে তাহা পাক হবে।

(০৪)
না,এতে ঈমান চলে যাবেনা।

(০৫)
না,এতে তার ঈমান চলে যাবেনা।
তবে ভাগ্যকে গালি দেয়ার দরুন অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 97 views
0 votes
1 answer 174 views
...