আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
230 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)

আসসালামু আলাইকুম শায়েখ 

(১)কোন মেয়ের অতীতে প্রেম ছিল। এই ওয়েব সাইটে মেয়েটা এমন প্রশ্ন https://ifatwa.info/65637/ করে এবং এই ওয়েবসাইট এর একজন শায়েখ এর ইনবক্সেও এমন প্রশ্ন করে। ইনবক্সের শায়েখের উত্তর আসে এক্ষেত্রে কোন ইজাব কবুল হবে না। এখন সে আবার স্বামী কে বলে এমন প্রশ্ন দেখলাম উত্তর এটা আসছে এর মানে তো এভাবে বিয়ে হয় নাই ছেলেটার কথা বিশ্বাস করা যাবে তাই না। তার স্বামী তাকে বলে এরকম প্রশ্ন তুমি আগেও করছো। মেয়েটা তখন বলে আপনি কি সন্দেহ করেন? পাশ অন্য মেয়ে যাচ্ছিল স্ত্রী রেগে বলে আপনি তাকালেন কেন আপনার সম্যসা আছে তখন স্বামী রেগে বলছে অতীতে কি না কি করছো তারপর এসে এসব প্রশ্ন করো। তখন মেয়ে টা আল্লাহর কসম করে বলছে না এমন কোন কিছু ছিল না তবে নিয়ত করছে অতীত আগের দিন এমন কিছু ছিল না। তারপর স্বামীর রাগ ঠান্ডা হইছে। সে বলছে রাগে এমন বলছে সে সন্দেহ করে না আল্লাহর কসম সে সন্দেহ করে না এটা সে অনেক বার বলছে মেয়েটাও বার বার জিজ্ঞেস করছে সন্দেহ করেন কি না সে বলছে আল্লাহর কসম সন্দেহ করে না । স্বামী বলছে অতীত নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই বর্তমানে তুমি অনেক ভাল আমার জান্নাতী বৌ। পরে মেয়েটা বলছে আমি ভয় পাই যে আপনি যদি বলেন বিয়ের আগে কারও সাথে আমার শারীরিক সম্পর্ক ছিল তারপর ঘর থেকে বের করে দেন কই যাবো আমি এমন কথা অনেক বার বলছে। স্বামী বলছে সে কখনো এমন সন্দেহ করেন না আল্লাহর কসম। এমন কথা  অনেক বার বলছে।  এসব কথা রেল স্টেশনে বসে হইছে। প্রথমে তারা দুজন একটা বেঞ্চে বসা ছিল তারপর ট্রেনে উঠে বলছে মেয়েটা সন্দেহ করেন না তো? সে বলছে না করিনা।
উপরোক্ত কথোপকথন কি লিআন হবে?  আশে পাশে অনেক লোক ছিল যদি তারা সব কথা শোনেও? তাদের মধ্যে কাজী বা কাজীর প্রতিনিধি বা আদালতের লোক ছিল কি না জানি না সবাই অপরিচিত ছিল 

(২) কথোপকথন চলাকালীন প্রথমে আমি তারপর আমার স্বামি মোট কথা  দুজনই বলছি আল্লাহর কসম দিয়ে মিথ্যা বলতে হয় না। এখন আমার কথা মিথ্যা মানে অতীতে প্রেম ছিল না এই কথাটা মিথ্যা আবার এই ঘটনা ১২ তারিখের আল্লাহর কসম অতীতে প্রেম ছিল না বলার সময় নিয়ত করছি ১১ তারিখের আগের দিন কোন প্রেম ছিলনা এবং আল্লাহর কসম দিয়ে মিথ্যা বলতে হয় না দু জনের এমনটা বলা এবং রেল স্টেশন এ বসে এমন কথোপকথন হয়েছে লোকজন  তাদের মধ্য আদালাত বা কাজী বা কাজীর প্রতিনিধি ছিল কি না জানি না সবাই অপরিচিত ছিল।এমন টা বলা শুনলেও এবং আমার এমন নিয়ত ছিল তাহলেও তো লিআন হবে না তাই তো শায়েখ?

(৩) শায়েখ বিবাহিত জীবন শুদ্ধ তাই তো শায়েখ? 

৪. লিআন হলে লিআন অবস্থা থেকে ফিরে আসে কি করে? 

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


https://ifatwa.info/27335/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ

লি'আন মানে হচ্ছে অভিসম্পাত করা।
স্বামী,স্ত্রী একে অপরের উপর যেনার অভিশাপ দেয়া।

লি'আন করতে হয় কাজি বা বিচারকের মজলিসে।

,
এখানে লি‘আন প্রবর্তনের ঘটনা সম্পর্কিত হাদীছ উল্লেখ করা হ’ল।

 সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, উয়াইমির (রাঃ) আছিম ইবনু আদির নিকট আসলেন। তিনি ছিলেন আজলান গোত্রের সর্দার। উয়াইমির তাঁকে বললেন, তোমরা ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে কি বল, যে তার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য পুরুষ দেখতে পায়। সে কি তাকে হত্যা করবে? এরপর তো তোমরা তাকেই হত্যা করবে অথবা সে কি করবে? তুমি আমার পক্ষ হ’তে এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট জিজ্ঞেস কর। তারপর আছিম নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল...। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এ ধরনের প্রশ্ন অপসন্দ করলেন। তারপর উয়াইমির (রাঃ) তাঁকে প্রশ্ন করলেন। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এ ধরনের প্রশ্ন অপসন্দ করেছেন ও দূষণীয় মনে করেছেন। তখন উয়াইমির বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি এ বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকটে জিজ্ঞেস না করা পর্যন্ত ক্ষান্ত হব না। তারপর তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কোন পুরুষকে দেখতে পেলে সে কি তাকে হত্যা করবে? তখন তো আপনারা তাকে (কিছাছ স্বরূপ) হত্যা করে ফেলবেন। অন্যথা সে কি করবে? তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, তোমার ও তোমার স্ত্রী সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা কুরআন অবতীর্ণ করেছেন।

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্বামী-স্ত্রী দু’জনকে লি‘আন করার নির্দেশ দিলেন; যেভাবে আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় কিতাবে উল্লেখ করেছেন। তারপর উয়াইমির তার স্ত্রীর সঙ্গে লি‘আন করলেন। এরপর বললেন, (এরপরও) যদি আমি তাকে রাখি, তবে তার প্রতি আমি যালিম হব। তারপর তিনি তাকে তালাক দিয়ে দিলেন। অতএব তাদের পরবর্তী লোকদের জন্য, যারা পরস্পর লি‘আন করে এটি সুন্নাতে পরিণত হ’ল। এরপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, লক্ষ্য কর! যদি মহিলাটি একটি কালো ডাগর চক্ষু, বড় পাছা ও বড় পা ওয়ালা বাচ্চা জন্ম দেয়, তবে আমি মনে করব, উয়াইমিরই তার সম্পর্কে সত্য বলেছে এবং যদি সে লাল গিরগিটির মত একটি লাল বর্ণের সন্তান প্রসব করে তবে আমি মনে করব, উয়াইমির তার সম্পর্কে মিথ্যা বলেছে। এরপর সে এমন একটি সন্তান প্রসব করল, যার গুণাবলী রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) উয়াইমির সত্যবাদী হওয়ার পক্ষে বলেছিলেন। তারপর সন্তানটিকে মায়ের দিকে সম্পর্কযুক্ত করে পরিচয় দেয়া হ’ত (বুখারী হা/৪৭৪৫, ৫২৫৯)।

অন্য বর্ণনায় এসেছে, সাহল ইবনু সা‘দ সাঈদী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, উয়াইমির আজলানী (রাঃ) আছিম ইবনু আদী আনছারী (রাঃ)-এর কাছে এসে বললেন, হে আছিম! কী বল, যদি কেউ তার স্ত্রীর সঙ্গে অপর লোককে (ব্যভিচার-রত অবস্থায়) পায়, তবে সে কি তাকে হত্যা করবে? আর এতে তোমরাও কি তাকে হত্যা করবে? যদি সে হত্যা না করে) তাহ’লে কি করবে? হে আছিম! তুমি আমার এ ব্যাপারটি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস কর। এরপর আছিম (রাঃ) এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এ ধরনের জিজ্ঞাসাবাদ অপসন্দ করলেন এবং অশোভনীয় মনে করলেন। এমনকি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) থেকে আছিম (রাঃ) যা শুনলেন, তাতে তার খুব খারাপ লাগল। আছিম (রাঃ) বাড়ি ফিরলে উয়াইমির এসে জিজ্ঞেস করল, হে আছিম! রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তোমাকে কি উত্তর দিলেন? আছিম (রাঃ) উয়াইমিরকে বললেন, তুমি আমার কাছে কোন ভাল কাজ নিয়ে আসনি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এ ধরনের জিজ্ঞাসাকে অপসন্দ করেছেন, সে সম্বন্ধে আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করেছি। উয়াইমির (রাঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ! তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস না করে ক্ষান্ত হব না। এরপর উয়াইমির (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট এসে তাঁকে লোকদের মাঝে পেলেন এবং তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! কী বলেন, কেউ যদি তার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য লোককে (ব্যভিচাররত) দেখতে পায়, সে কি তাকে হত্যা করবে? আর আপনারাও কি তাকে হত্যার বদলে হত্যা করবেন? অন্যথা সে কি করবে? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, তোমার ও তোমার স্ত্রীর সম্পর্কে আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে, যাও তাকে নিয়ে এসো। সাহল (রাঃ) বলেন, তারা উভয়ে লি‘আন করল। যে সময় আমি লোকদের সঙ্গে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকটে ছিলাম। উভয়ে লি‘আন করা শেষ করলে উয়াইমির বলল, হে আল্লাহর রাসূল! যদি আমি তাকে স্ত্রী হিসাবে রাখি, তবে আমি তার উপর মিথ্যারোপ করেছি বলে প্রমাণিত হব। এরপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে নির্দেশ দেয়ার আগেই তিনি স্ত্রীকে তিন তালাক দিলেন। ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেন, উভয়কে বিচ্ছিন্ন করে দেয়াই পরবর্তীতে লি‘আনকারীদ্বয়ের সম্পর্কিত বিধান প্রচলিত হয়ে গেল’ (বুখারী হা/৫৩০৮)।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
উপরোক্ত কথোপকথনের দরুন কোনো ভাবেই লি'আন হবেনা।

আশে পাশে অনেক লোক ছিল যদি তারা সব কথা শোনেও,তবুও লি'আন হবেনা।

(০২)
এতে কোনো ভাবেই লি'আন হবেনা।

(০৩)
হ্যাঁ, আপনাদের বিবাহিত জীবন শুদ্ধ।

(০৪)
কাজীর সামনে স্ত্রীর উপর হতে এমন অভিযোগ ফিরিয়ে নিতে হবে। 
বলতে হবে যে অভিযোগটি মিথ্যা ছিলো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...