আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
126 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (52 points)
আসসালামু আলাইকুম


আমি কিছুটা ওসওয়াসার রোগী। আমি অনেক সময় নিজে নিজেও কথা বলি, যেটা অনেকটা কারো সাথে ফিসফিসিয়ে কথা বলার সময় যেরকম আওয়াজ হয় ঠিক সেরকমভাবে আওয়াজ করে কথা বলি। এখন এই https://ifatwa.info/69887/ পোস্টে উল্লেখিত পরিস্থিতিতে আমি নিজে নিজে কথা বলতেছিলাম নাকি মনে মনে ভাবতেছিলাম তা স্মরণ করতে পারতেছিনা। যদিও প্রশ্ন এখন করছি কিন্তু ঔ দিন করা প্রশ্নটা করার ১ থেকে ২ দিনের মধ্যে আমি এই প্রশ্ন তৈরি করে রেখেছিলাম। আমি জানতে চাচ্ছিhttps://ifatwa.info/69887/ এখানে করা প্রশ্নে কী কেনায়া তালাক হতে পারে?   ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে শর্তাধীন তালাক দিলে হয়। কিন্তু আমার টা শর্তাধীন তালাক হবে না, কারণ আমি কোনো শর্তারোপ করে তালাক দেয়নি।


জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (574,410 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
 https://ifatwa.info/69887/ নং ফতোয়ার প্রশ্নে আপনি লিখেছিলেনঃ-

আমি আজকে একটা পোস্ট পড়তে ছিলাম যেখানে স্বামী-স্ত্রীর কিছু বিষয় নিয়ে লেখা ছিল। সেখানে কিছুটা এমন লেখা ছিল যে স্বামীর অনুগত না স্ত্রী। আমি তখন এ বিষয়টা নিয়ে ভাবতে ছিলাম এবং সেই সাথে এমন  চিন্তা করতে ছিলাম যদি আমার স্ত্রী এরকম করে কখনো( অনুগত না থাকতে চায়) তাহলে তখন তাকে বলবো যে আমি আরেকটা বিয়ে করবো। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি যদি নিশ্চিত ভাবে এই বাক্যে মুখে আওয়াজ করে উচ্চারণ করেন,তবুও তালাক হবেনা।

কেননা এটি তালাক হওয়ার মতো কোনো বাক্যই নয়।
এটি স্পষ্ট বাক্যও নয়,কেনায়া বাক্যও নয়। 

সুতরাং আপনি টেনশন মুক্ত থাকুন, আপনার বৈবাহিক জীবনে কোনো সমস্যা হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...