আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
148 views
in পবিত্রতা (Purity) by (16 points)

হুজুর দয়া করে আমার প্রশ্নটি মনোযোগ দিয়ে পরবেন।

আমি ফরয গোসল করছিলাম। সম্পূর্ন অজু গোসল করে গোসলের সব ফরয আদায়ের পর একদম শেষ প্রান্তে একটু গায়ে পানি নিচ্ছিলাম।

 বালতির উপর একটি সাবানের কেইস আছে স্টিলের তৈরি।ওই কেসে এর আগে নাপাক পানি লেগেছিল।আজকে তা শুকনোই ছিল কিন্তু গোসলের সময় একটু পানি ওই সাবানের কেসে যায়।এরপর কয়েক ফোঁটা পানি ওই কেসের নিচে ঝুলে ছিল।আমি বালতি একটু সাইড করে নিয়ে গায়ে পানি নিতে থাকি।এরপর কিছুক্ষণের মধ্যে দেখি কেসে ঝুলে থাকা পানি নাই।তারমানে তা নিচে পড়েছে এবং এটি বালতির কোনা বরাবর উপরে ছিল তাহলে ওই পানি বালতি তেই পড়েছে।

আমার গোসল তখন শেষ হয়তো শেষ যে কয়েক মগ পানি নিয়েছি তখন বালতিতে ওই ফোঁটা পড়ে।

আর কিছুক্ষণ পরেই জামাত শুরু হয়ে যাবে।তাই আমি আর বালতি না ধুয়ে শুধু মগ টা একবার ট্যাপের পানি নিয়ে খলিয়ে ধুই।এরপর ট্যাপ থেকে পানি নিয়ে তিন মগ অর্থাৎ তিনবার মাথায় পানি ঢালি যা সম্পূর্ন শরীর বেয়ে গড়িয়ে যায়।এরপর আমি দুই বাহুতে এক মগ পানি তিনবার করে ঢালি এরপর নাভির নিচের অংশেও এক মগ পানি তিনবার ঢালি এবং পা ধুয়ে তাড়াতাড়ি নামাযে চলে যাই।

আমার কি পবিত্রতা অর্জন হয়েছে?প্লিজ একটু জরুরি জানান

 

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে রাসুল সাঃ এর গোসলের পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে।     

حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ مَيْمُونَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم اغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ، فَغَسَلَ فَرْجَهُ بِيَدِهِ، ثُمَّ دَلَكَ بِهَا الْحَائِطَ ثُمَّ غَسَلَهَا، ثُمَّ تَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ غُسْلِهِ غَسَلَ رِجْلَيْهِ.

মাইমূনাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপবিত্রতার গোসল করলেন। তিনি নিজের লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর হাত দেয়ালে ঘষলেন এবং তা ধুলেন। তারপর সালাতের উযূর ন্যায় উযূ করলেন। গোসল শেষ করে তিনি তাঁর দু’পা ধুয়ে নিলেন। (বুখারী ২৬০২৪৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৮)
,
حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَتْ مَيْمُونَةُ وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَاءً لِلْغُسْلِ، فَغَسَلَ يَدَيْهِ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا، ثُمَّ أَفْرَغَ عَلَى شِمَالِهِ فَغَسَلَ مَذَاكِيرَهُ، ثُمَّ مَسَحَ يَدَهُ بِالأَرْضِ، ثُمَّ مَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ، ثُمَّ أَفَاضَ عَلَى جَسَدِهِ، ثُمَّ تَحَوَّلَ مِنْ مَكَانِهِ فَغَسَلَ قَدَمَيْهِ

ইবনু ‘আববাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাইমূনাহ্ (রাযি.) বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর জন্য গোসলের পানি রাখলাম। তিনি তাঁর হাত দু’বার বা তিনবার ধুয়ে নিলেন। পরে তাঁর বাম হাতে পানি নিয়ে তাঁর লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর মাটিতে হাত ঘষলেন। তারপর কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, তাঁর চেহারা ও দু’হাত ধুয়ে নিলেন। অতঃপর তাঁর সারা দেহে পানি ঢাললেন। তারপর একটু সরে গিয়ে দু’পা ধুয়ে নিলেন। (বুখারী ২৫৭,২৪৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৫)

আরো জানুনঃ

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার পবিত্রতা অর্জন হয়েছে। 

ঐ কেস এ পূর্বে নাপাকি লেগে থাকলেও পরবর্তীতে সেটি ধোয়াও হতে পারে,কেননা সেই কেস বালতির উপরেই ছিলো।

সুতরাং কেস এখনও নাপাকই রয়েছে,বিষয়টি নিশ্চিত ভাবে বলা যায়না।

আবার সেই কেস এর যেখানে নাপাকি লেগেছিলো,সেই স্থানেই আজ পানি লেগেছে,এটিও নিশ্চিত ভাবে বলা যায়না।

আবার সেই কেস থেকে পানির ফোটা বালতির পানির মধ্যেই পরেছে,এমনটিও নিশ্চিত ভাবে বলা যায়না।

আবার বালতিতে পানির ফোটা পড়লে সেটি গোসলের শেষে পড়েছিলো নাকি,গোসলের মাঝে বা শুরুতে পড়েছিলো,কোনোটিই নিশ্চিত ভাবে বলা যায়না।

সর্বপরি শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে আপনার আগের গোসলকে ত্রুটি পূর্ণ বলা যায়না।

তারপরেও আপনি যেহেতু পুনরায় গোসলের ফরজ আদায় করেছেন,সুতরাং কোনো সমস্যা নেই।
আপনার পবিত্রতা অর্জন হয়েছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 190 views
...