হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَن حَفْصَةَ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهَا قَالَتْ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: مَنْ لَمْ يُجْمِعِ الصِّيَامَ قَبْلَ الْفَجْرِ فَلَا صِيَامَ لَه. رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِىُّ وَالدَّارِمِىُّ
হাফসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ফজরের আগে সওমের নিয়্যাত করবে না তার সওম হবে না।
(আবূ দাঊদ ২৪৫৪, তিরমিযী ৭৩০, নাসায়ী ২৩৩৩, আহমাদ ২৬৪৫৭, ইবনু খুযায়মাহ্ ১৯৩৩, মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৩৩৭, সহীহ আল জামি‘ ৬৫৩৫,মিশকাত ১৯৮৭।)
এ হাদীস থেকে জানা যায় যে, সিয়াম বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য ফজরের পূর্বে অর্থাৎ- রাত থাকতেই সিয়াম পালনের উদ্দেশে নিয়্যাত করা, অর্থাৎ- রাত থাকতেই সিয়াম পালনের উদ্দেশে দৃঢ় প্রত্যয় করা আবশ্যক। তা না হলে তার সিয়াম বিশুদ্ধ হবে না।
★ইমাম শাফি‘ঈ ও ইমাম আহমাদ বলেনঃ নফল সিয়ামের ক্ষেত্রে ফজরের পরে নিয়্যাত করলেও চলবে কিন্তু ফরযের ক্ষেত্রে তা চলবে না।
★ইমাম আবূ হানীফাহ্ বলেনঃ নির্দিষ্ট সময়ের সাথে সম্পৃক্ত সিয়ামের ক্ষেত্রে ফজরের পরে নিয়্যাত করলেও চলবে। যেমন, রমাযানের সিয়াম, নির্দিষ্ট দিনের জন্য মানৎ করা সিয়াম, অনুরূপভাবে নফল সিয়াম। কিন্ত যে সমস্ত ওয়াজিব সিয়ামের জন্য সময় নির্দিষ্ট নেই যেমন কাযা ও কাফফারা তার জন্য ফজরের পূর্বেই নিয়্যাত করতে হবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার রোজাটি যেহেতু রমজানের কাজা রোজা। আর রমজানের কাজা আদায়ের জন্য শর্ত হলো সুবহে সাদিকের পূর্বে কাজার নিয়ত করা। ফজরের ওয়াক্তে নিয়ত করলে সহীহ হবে না । সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি সুবহে সাদিকের পূর্বে কাজা রোযার নিয়ত না করার দরুন রমজনের কাজা রোজা আদায় হবে না। অতএব পরবর্তীতে আবারো এই রোযার কাজা আদায় করতে হবে।