আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
347 views
in দাফন ও জানাজা (Burial & Janazah) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ শাইখ।

আমার প্রথম প্রশ্নঃ

মানুষ জীবিত অবস্থায় নিজের কবর কোথায় হবে তার মৃত মা,বাবার পাশে বা স্বামীর কবরের পাশে নিজের কবর বা স্ত্রীর কবরের পাশে স্বামীর কবর দিতে বলে যায়।এমনও দেখা যায় মায়ের কবরের উপর নিজের কবর দেয়ার কথা বলে যায়।আমার প্রশ্ন হচ্ছে,এমন কেন বলে তারা?
এতে কি কোন বিশেষ ফজিলত আছে কি?

দ্বিতীয় প্রশ্নঃ

বেওয়ারিশ ভাবে যে কবর দেয়া হয়,কবরের উপর কবর।অর্থাৎ একই কবরের উপর বারবার কবর দেয়া,এর কোন ফযিলত আছে কি?

আমার সর্বশেষ প্রশ্নঃ

নাবালকের কবরের উপর কবর দেয়ায় সেই মৃত ব্যক্তির কোন উপকার আছে কি?

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
জবাব
وعليكالسلام ورحمة الله وبركاته
 بسم الله الرحمن الرحيم

মানুষ মারা গেলে শুধুমাত্র তার আমল তার সাথে যাবে,অন্য কোনো কিছুর দ্বারা তার কোনো ফজিলত নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ     
আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ

إِذَا مَاتَ الْإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلَّا مِنْ ثَلَاثَةٍ إِلَّا مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ

“মানুষ মৃত্যু বরণ করলে তার আমলের সমস্ত পথ বন্ধ হয়ে যায় তিনটি ব্যতীত: যদি সে সাদকায়ে জারিয়া রেখে যায়,এমন শিক্ষার ব্যবস্থা করে যায় যার দ্বারা মানুষ উপকৃত হবে এবং এমন নেককার সন্তান রেখে যায় যে তার জন্য দুয়া করবে।” 

(বুখারী,অধ্যায়: মৃতের পক্ষ থেকে হজ্জ এবং মানত পালন করা এবং পুরুষ মহিলার পক্ষ থেকে হজ্জ করতে পারে।)
,
হ্যাঁ যদি কেহ মাইয়্যিতের জন্য মাগফিরাত এর দোয়া করে,বা নফল ইবাদত করে,ঈসালে ছওয়াব করে,তাহলে  তার ছওয়াব মাইয়্যিত পাবে।
এর দ্বারা মৃত ব্যাক্তির ফায়দা আছে।

কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে,
وَ الَّذِیْنَ جَآءُوْ مِنْۢ بَعْدِهِمْ یَقُوْلُوْنَ رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَ لِاِخْوَانِنَا الَّذِیْنَ سَبَقُوْنَا بِالْاِیْمَانِ وَ لَا تَجْعَلْ فِیْ قُلُوْبِنَا غِلًّا لِّلَّذِیْنَ اٰمَنُوْا رَبَّنَاۤ اِنَّكَ رَءُوْفٌ رَّحِیْمٌ۠ .
এবং (ফাই-এর সম্পদ তাদেরও প্রাপ্য আছে ) যারা তাদের (অর্থাৎ মুহাজির ও আনসারদের) পরে এসেছে। তারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! ক্ষমা করুন আমাদের এবং আমাদের সেই ভাইদেরও যারা আমাদের আগে ঈমান এনেছে এবং আমাদের অন্তরে ঈমানদারদের প্রতি কোনো  হিংসা-বিদ্বেষ রাখবেন না। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি অতি মমতাবান, পরম দয়ালু। সূরা হাশর (৫৯) : ১০

উসমান ইবনে আফফান রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃতের দাফনকার্য সম্পন্ন করে কবরের পাশে দাঁড়িয়ে বলতেন
استغفروا لأخيكم، وسلوا له بالتثبيت، فإنه الآن يسأل.
তোমরা তোমাদের ভাইয়ের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা কর এবং সে যেন সুদৃঢ় থাকতে পারে সে দুআ কর। কারণ এখনই তাকে ‘সুয়াল’ করা হবে। সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩২২১
,
কাহারো কবরের পাশে কবর হওয়া বা নাবালেগ এর কবরের উপর কবর দেওয়ার দ্বারা কোনো ফজিলত নেই।
হ্যাঁ বুযুর্গানে দ্বীন বা বেশি মানুষের কবরস্থানে কবর দিলে যেহেতু মাঝে মাঝেই লোকদের দোয়া পাওয়া যায়,অনেকে সেখানে ঈসালে ছওয়াব করলে সকল কবরস্থ দের জন্যই দোয়া করে,তাই সেই দোয়া,ছওয়াব পাওয়ার দিক লক্ষ্য করে সেখানে কবরস্থ হওয়ার ফায়েদা আছে।
,
তবে মা বাবা বা সন্তানের কবরের পাশে কবর হওয়ার বিশেষ কোনো ফজিলত বা লাভ নেই।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত তিনটি ছুরতেই বিশেষ  কোনো ফজিলত নেই।   
      


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...